ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রতিশোধ না নিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে যুক্তরাজ্যের দেওয়া স্বীকৃতির বদলায় ইসরায়েল যাতে পশ্চিম তীরের অংশ দখল না করে। সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে যোগদানের আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন।
জাতিসংঘের এই সম্মেলনে ফ্রান্স এবং অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোরও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে রোববার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য পর্যায়ক্রমে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এই ঘোষণাকে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের কিছু অংশ দখলের অজুহাত হিসেবে নেবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করলে কুপার বলেন, তিনি ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, তার এবং তার সরকারের অবশ্যই সেটি করা ঠিক হবে না।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের দুই কট্টরপন্থি মন্ত্রী—জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতমার বেন গাভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব দাবি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি স্মোট্রিচ সম্প্রতি পশ্চিম তীরের ৮২ শতাংশ এবং বাকি ফিলিস্তিনি ভূমিও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করছেন।
কুপার বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের নিরাপত্তাকে সম্মান জানাতে সর্বোত্তম উপায় হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপ শান্তি রক্ষা করা, ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আমরা এই অঞ্চল জুড়ে সবার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। আমরা যেমন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিই যে ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র... তেমনি আমাদের ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকারকেও স্বীকৃতি দিতে হবে।”
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, কুপার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক সমঝোতার একটি কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রতিশোধ না নিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে যুক্তরাজ্যের দেওয়া স্বীকৃতির বদলায় ইসরায়েল যাতে পশ্চিম তীরের অংশ দখল না করে। সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে যোগদানের আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন।
জাতিসংঘের এই সম্মেলনে ফ্রান্স এবং অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোরও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে রোববার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য পর্যায়ক্রমে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এই ঘোষণাকে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের কিছু অংশ দখলের অজুহাত হিসেবে নেবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করলে কুপার বলেন, তিনি ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, তার এবং তার সরকারের অবশ্যই সেটি করা ঠিক হবে না।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের দুই কট্টরপন্থি মন্ত্রী—জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতমার বেন গাভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব দাবি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি স্মোট্রিচ সম্প্রতি পশ্চিম তীরের ৮২ শতাংশ এবং বাকি ফিলিস্তিনি ভূমিও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করছেন।
কুপার বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের নিরাপত্তাকে সম্মান জানাতে সর্বোত্তম উপায় হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপ শান্তি রক্ষা করা, ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আমরা এই অঞ্চল জুড়ে সবার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। আমরা যেমন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিই যে ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র... তেমনি আমাদের ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকারকেও স্বীকৃতি দিতে হবে।”
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, কুপার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক সমঝোতার একটি কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।