মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখামাত্রই সেটি থেমে যায়। পরে জাতিসংঘে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প এ প্রসঙ্গ তুলে হাসিঠাট্টাও করেন।
কেন হঠাৎই চলন্ত সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা সম্ভবত এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছে। তাদের ধারণা, ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফারের কারণেই এমনটি হয়েছে। তিনি সম্ভবত ভুল করে সেফটি ফাংশন সচল করে ফেলেছিলেন।
গতকাল ট্রাম্প জাতিসংঘে যে শুধু চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, তা নয়; এদিন তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় টেলিপ্রম্পটারটিও (বক্তব্যের লিখিত রূপ ভেসে ওঠার স্ক্রিন) কাজ করছিল না। এমন অবস্থায় ট্রাম্প এসব বিভ্রাট নিয়ে ঠাট্টাচ্ছলে অভিযোগ করেন।
১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “জাতিসংঘ থেকে আমি দুটি জিনিস পেয়েছি—একটি খারাপ চলন্ত সিঁড়ি এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।” ট্রাম্পের এ কথায় সেখানে উপস্থিত বিশ্বনেতাদের অনেকে হেসে ওঠেন।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ ঘটনাকে অতটা হালকাভাবে নেননি। ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি চলন্ত সিঁড়িতে ওঠার সময় জাতিসংঘের কেউ যদি সচেতনভাবে এটি থামিয়ে দেয়, তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত।”
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ওই চলন্ত সিঁড়ির কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সিঁড়িটির ওপরের অংশের কম্ব স্টেপে যুক্ত থাকা নিরাপত্তাব্যবস্থা সচল হয়ে গিয়েছিল। আর এতেই সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে যায়।
ডুজারিক বলেন, ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফার প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার আগমনের মুহূর্ত ভিডিও করতে উল্টোমুখী হয়ে চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে ওপরের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “সম্ভবত ভিডিওগ্রাফার ভুল করে চলন্ত সিঁড়ির সেফটি ফাংশন সচল করে ফেলেছিলেন।”
জাতিসংঘের মুখপাত্র আরও বলেন, সেফটি ফাংশনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন কোনো মানুষ বা বস্তু দুর্ঘটনাক্রমে চলন্ত সিঁড়ির যন্ত্রাংশে আটকা না পড়ে।
জাতিসংঘের এমন বক্তব্যের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
টেলিপ্রম্পটারের প্রসঙ্গে ট্রাম্প গতকাল সাধারণ পরিষদকে বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, যিনি এই টেলিপ্রম্পটার চালাচ্ছেন, তিনি বড় সমস্যার মধ্যে আছেন।”
তবে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হোয়াইট হাউস তাদের নিজস্ব টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করেছিল। ট্রাম্পের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট আনালেনা বেয়ারবক বলেন, “জাতিসংঘের টেলিপ্রম্পটার ঠিকঠাক কাজ করছে।”
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখামাত্রই সেটি থেমে যায়। পরে জাতিসংঘে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প এ প্রসঙ্গ তুলে হাসিঠাট্টাও করেন।
কেন হঠাৎই চলন্ত সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা সম্ভবত এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছে। তাদের ধারণা, ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফারের কারণেই এমনটি হয়েছে। তিনি সম্ভবত ভুল করে সেফটি ফাংশন সচল করে ফেলেছিলেন।
গতকাল ট্রাম্প জাতিসংঘে যে শুধু চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, তা নয়; এদিন তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় টেলিপ্রম্পটারটিও (বক্তব্যের লিখিত রূপ ভেসে ওঠার স্ক্রিন) কাজ করছিল না। এমন অবস্থায় ট্রাম্প এসব বিভ্রাট নিয়ে ঠাট্টাচ্ছলে অভিযোগ করেন।
১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “জাতিসংঘ থেকে আমি দুটি জিনিস পেয়েছি—একটি খারাপ চলন্ত সিঁড়ি এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।” ট্রাম্পের এ কথায় সেখানে উপস্থিত বিশ্বনেতাদের অনেকে হেসে ওঠেন।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ ঘটনাকে অতটা হালকাভাবে নেননি। ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি চলন্ত সিঁড়িতে ওঠার সময় জাতিসংঘের কেউ যদি সচেতনভাবে এটি থামিয়ে দেয়, তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত।”
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ওই চলন্ত সিঁড়ির কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সিঁড়িটির ওপরের অংশের কম্ব স্টেপে যুক্ত থাকা নিরাপত্তাব্যবস্থা সচল হয়ে গিয়েছিল। আর এতেই সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে যায়।
ডুজারিক বলেন, ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফার প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার আগমনের মুহূর্ত ভিডিও করতে উল্টোমুখী হয়ে চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে ওপরের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “সম্ভবত ভিডিওগ্রাফার ভুল করে চলন্ত সিঁড়ির সেফটি ফাংশন সচল করে ফেলেছিলেন।”
জাতিসংঘের মুখপাত্র আরও বলেন, সেফটি ফাংশনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন কোনো মানুষ বা বস্তু দুর্ঘটনাক্রমে চলন্ত সিঁড়ির যন্ত্রাংশে আটকা না পড়ে।
জাতিসংঘের এমন বক্তব্যের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
টেলিপ্রম্পটারের প্রসঙ্গে ট্রাম্প গতকাল সাধারণ পরিষদকে বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, যিনি এই টেলিপ্রম্পটার চালাচ্ছেন, তিনি বড় সমস্যার মধ্যে আছেন।”
তবে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হোয়াইট হাউস তাদের নিজস্ব টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করেছিল। ট্রাম্পের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট আনালেনা বেয়ারবক বলেন, “জাতিসংঘের টেলিপ্রম্পটার ঠিকঠাক কাজ করছে।”