জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প- রয়টার্স
‘১৯৮০-এর দশক তাদের পররাষ্ট্রনীতি ফেরত দিতে আহ্বান জানাচ্ছে’ বারাক ওবামার সেই ব্যঙ্গাত্মক উক্তি যেন আবার সত্যি হয়ে উঠছে। পূর্ব ইউরোপে ‘শীতল যুদ্ধ’ পরবর্তী উত্তেজনা চরমে। পোল্যান্ড হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাদের আকাশসীমায় রুশ যুদ্ধবিমান ঢুকলেই গুলি করবে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার আকাশে রহস্যজনক ড্রোন, ধারণা করা হচ্ছে তাও রাশিয়ার। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সম্ভাব্য দখলদার নীতি ও গাজায় হামলা নিয়ে নতুন ইন্তিফাদার আশঙ্কা বাড়ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে মুদ্রাস্ফীতি। এমন এক অস্থির সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে দীর্ঘতম বক্তব্য রাখলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় ৫৬ মিনিটের এই ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের আশ্বস্ত করার বদলে তিনি দিলেন নিজের পুরনো অভিযোগ, অদ্ভুত সব মন্তব্য আর আত্মপ্রশংসার ভা-ার। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া ট্রাম্পের ভাষণের বড় অংশ জুড়ে ছিল জাতিসংঘ ভবনের পুরনো লিফট ও নকশা নিয়ে ক্ষোভ। তিনি সবাইকে আবারও স্মরণ করালেন, একসময় এই ভবন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তার বক্তব্য আরো বিভ্রান্তিকর। ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বাতাস ‘খুব পরিষ্কার’, কিন্তু চীনের মতো দেশগুলো থেকে ‘রুক্ষ বাতাস’ এসে তার দেশে ঢোকে পরিবেশবাদীদের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, তারা নাকি ‘সব গরু মেরে ফেলতে চায়!’
ট্রাম্প বক্তৃতায় দাবি করেন, তিনি অন্তত সাতটি যুদ্ধ শেষ করেছেন, যদিও বেশির ভাগ যুদ্ধ তিনি আসার পর চলমানই ছিল না। ‘আমার উচিত নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া,’ বললেও সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি পুরস্কার চাই না, আমি জীবন বাঁচাতে চাই।’
ভাষণে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো নতুন দিকনির্দেশনা দেননি ট্রাম্প। তবে পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘হ্যাঁ, ন্যাটো চাইলে রুশ বিমান ভূপাতিত করতে পারে।’ যদিও তাৎক্ষণিক আবার শর্ত জুড়ে দেন— ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। ’ তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অবশ্য জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান এ কাজ করবে না।
আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ইউক্রেন সব হারানো ভূখ- ফেরত পেতে পারে। তিনি রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতি তার এই সাময়িক সমর্থন ইউরোপকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে, কিন্তু মিত্ররা জানেন— ট্রাম্পের অবস্থান বদলে যেতে পারে মুহূর্তেই! ভাষণের এক পর্যায়ে ট্রাম্প সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, ‘জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কী?’ এই প্রশ্নই মিত্রদের শঙ্কা আরো বাড়িয়েছে। কারণ, যেই দেশটি জাতিসংঘ গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল, সেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই এখন এই সংস্থার অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, জাতিসংঘ শুধু চিঠি চালাচালি করতে পারে, কিছু বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা নেই। তিনি মন্তব্য করেন, ‘ফাঁকা কথায় যুদ্ধ থামে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এখন আর শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন, বরং বৈশ্বিক কট্টর ডানপন্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও জ্বালানি নীতি নিয়ে তার বক্তব্য ইউরোপের উদারপন্থী সরকারগুলোকে চাপে ফেলছে। ‘আমি ইউরোপকে ভালোবাসি। কিন্তু জ্বালানি ও অভিবাসনের এই দ্বিমুখী দানব সব ধ্বংস করছে,’ জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
নিজের বক্তব্য শেষ করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “ক্যাম্পেইনের সময় একটা টুপি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল—‘ট্রাম্প সব বিষয়ে সঠিক।’ আমি গর্ব করার জন্য বলছি না, কিন্তু আসলেই আমি সব বিষয়ে ঠিক ছিলাম।” মজার বিষয় নিজেকে সঠিক বলা ট্রাম্প অকপটে মিথ্যে বলছেন প্রতি মুহূর্তে। আর তার তোষামোদে কী লাভ হয় তা সবচেয়ে ভালো দেখল ব্রিটেন।
সম্প্রতি দীর্ঘদিনের মিত্র ব্রিটেনের লন্ডনে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়েও ব্রিটেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখানো তো দূরের কথা, বরং দাবি করলেন, লন্ডন নাকি শরিয়াহ আইন চালু করতে চায়! এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি নিয়েও কটাক্ষ করেন সবার সামনেই। ট্রাম্পকে খুশি রাখতে গত আট মাস নানা রকম তোষামোদ করেছে মিত্ররা। এখন তাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ—আগামী সাড়ে তিন বছর এই পাগলাটে প্রেসিডেন্টকে সামলানো ও নিজেদের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা।
গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যার’ মধ্যে মিত্ররা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে ভাষণে তার সমালোচনাও করেন ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেইনে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে বাধ্য করতে তার প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান। “তারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অর্থ দিচ্ছে। এর আগে এরকম কে কবে শুনেছে? রাশিয়া যদি যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তুত না হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর খুবই শক্তিশালী শুল্ক আরোপের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সেই শুল্ককে কার্যকর হাতিয়ার বানাতে হলে এখানে উপস্থিত সব ইউরোপীয় দেশকে আমাদের সঙ্গে মিলিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে,” বলেন তিনি। ভারত ও চীনের মতো রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলোর ওপর চড়া শুল্ক আরোপের কথা যুক্তরাষ্ট্র ভাবছে বলে কয়েক সপ্তাহ আগেই গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল। ইউরোপের দেশগুলোর রুশ তেল কেনা নিয়েও ট্রাম্প নারাজ। ইউরোপের মধ্যে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও তুরস্ক রাশিয়ার তেলের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প- রয়টার্স
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘১৯৮০-এর দশক তাদের পররাষ্ট্রনীতি ফেরত দিতে আহ্বান জানাচ্ছে’ বারাক ওবামার সেই ব্যঙ্গাত্মক উক্তি যেন আবার সত্যি হয়ে উঠছে। পূর্ব ইউরোপে ‘শীতল যুদ্ধ’ পরবর্তী উত্তেজনা চরমে। পোল্যান্ড হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাদের আকাশসীমায় রুশ যুদ্ধবিমান ঢুকলেই গুলি করবে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার আকাশে রহস্যজনক ড্রোন, ধারণা করা হচ্ছে তাও রাশিয়ার। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সম্ভাব্য দখলদার নীতি ও গাজায় হামলা নিয়ে নতুন ইন্তিফাদার আশঙ্কা বাড়ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে মুদ্রাস্ফীতি। এমন এক অস্থির সময়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে দীর্ঘতম বক্তব্য রাখলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় ৫৬ মিনিটের এই ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের আশ্বস্ত করার বদলে তিনি দিলেন নিজের পুরনো অভিযোগ, অদ্ভুত সব মন্তব্য আর আত্মপ্রশংসার ভা-ার। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া ট্রাম্পের ভাষণের বড় অংশ জুড়ে ছিল জাতিসংঘ ভবনের পুরনো লিফট ও নকশা নিয়ে ক্ষোভ। তিনি সবাইকে আবারও স্মরণ করালেন, একসময় এই ভবন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তার বক্তব্য আরো বিভ্রান্তিকর। ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের বাতাস ‘খুব পরিষ্কার’, কিন্তু চীনের মতো দেশগুলো থেকে ‘রুক্ষ বাতাস’ এসে তার দেশে ঢোকে পরিবেশবাদীদের উদ্দেশে তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, তারা নাকি ‘সব গরু মেরে ফেলতে চায়!’
ট্রাম্প বক্তৃতায় দাবি করেন, তিনি অন্তত সাতটি যুদ্ধ শেষ করেছেন, যদিও বেশির ভাগ যুদ্ধ তিনি আসার পর চলমানই ছিল না। ‘আমার উচিত নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া,’ বললেও সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি পুরস্কার চাই না, আমি জীবন বাঁচাতে চাই।’
ভাষণে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো নতুন দিকনির্দেশনা দেননি ট্রাম্প। তবে পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘হ্যাঁ, ন্যাটো চাইলে রুশ বিমান ভূপাতিত করতে পারে।’ যদিও তাৎক্ষণিক আবার শর্ত জুড়ে দেন— ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। ’ তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অবশ্য জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান এ কাজ করবে না।
আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ইউক্রেন সব হারানো ভূখ- ফেরত পেতে পারে। তিনি রাশিয়াকে ‘কাগুজে বাঘ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতি তার এই সাময়িক সমর্থন ইউরোপকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে, কিন্তু মিত্ররা জানেন— ট্রাম্পের অবস্থান বদলে যেতে পারে মুহূর্তেই! ভাষণের এক পর্যায়ে ট্রাম্প সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, ‘জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কী?’ এই প্রশ্নই মিত্রদের শঙ্কা আরো বাড়িয়েছে। কারণ, যেই দেশটি জাতিসংঘ গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল, সেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই এখন এই সংস্থার অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, জাতিসংঘ শুধু চিঠি চালাচালি করতে পারে, কিছু বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা নেই। তিনি মন্তব্য করেন, ‘ফাঁকা কথায় যুদ্ধ থামে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এখন আর শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন, বরং বৈশ্বিক কট্টর ডানপন্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও জ্বালানি নীতি নিয়ে তার বক্তব্য ইউরোপের উদারপন্থী সরকারগুলোকে চাপে ফেলছে। ‘আমি ইউরোপকে ভালোবাসি। কিন্তু জ্বালানি ও অভিবাসনের এই দ্বিমুখী দানব সব ধ্বংস করছে,’ জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
নিজের বক্তব্য শেষ করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “ক্যাম্পেইনের সময় একটা টুপি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল—‘ট্রাম্প সব বিষয়ে সঠিক।’ আমি গর্ব করার জন্য বলছি না, কিন্তু আসলেই আমি সব বিষয়ে ঠিক ছিলাম।” মজার বিষয় নিজেকে সঠিক বলা ট্রাম্প অকপটে মিথ্যে বলছেন প্রতি মুহূর্তে। আর তার তোষামোদে কী লাভ হয় তা সবচেয়ে ভালো দেখল ব্রিটেন।
সম্প্রতি দীর্ঘদিনের মিত্র ব্রিটেনের লন্ডনে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়েও ব্রিটেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখানো তো দূরের কথা, বরং দাবি করলেন, লন্ডন নাকি শরিয়াহ আইন চালু করতে চায়! এ ছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি নিয়েও কটাক্ষ করেন সবার সামনেই। ট্রাম্পকে খুশি রাখতে গত আট মাস নানা রকম তোষামোদ করেছে মিত্ররা। এখন তাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ—আগামী সাড়ে তিন বছর এই পাগলাটে প্রেসিডেন্টকে সামলানো ও নিজেদের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা।
গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যার’ মধ্যে মিত্ররা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার যে পদক্ষেপ নিয়েছে ভাষণে তার সমালোচনাও করেন ট্রাম্প। তিনি ইউক্রেইনে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে বাধ্য করতে তার প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান। “তারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অর্থ দিচ্ছে। এর আগে এরকম কে কবে শুনেছে? রাশিয়া যদি যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তুত না হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর খুবই শক্তিশালী শুল্ক আরোপের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সেই শুল্ককে কার্যকর হাতিয়ার বানাতে হলে এখানে উপস্থিত সব ইউরোপীয় দেশকে আমাদের সঙ্গে মিলিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে,” বলেন তিনি। ভারত ও চীনের মতো রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলোর ওপর চড়া শুল্ক আরোপের কথা যুক্তরাষ্ট্র ভাবছে বলে কয়েক সপ্তাহ আগেই গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল। ইউরোপের দেশগুলোর রুশ তেল কেনা নিয়েও ট্রাম্প নারাজ। ইউরোপের মধ্যে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও তুরস্ক রাশিয়ার তেলের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল।