ঘূর্ণিঝড় রাগাসার প্রভাবে চীনের তলিয়ে যাওয়া একটি এলাকা -সংগৃহীত
তাইওয়ান, হংকংয়ের পর চীনে আঘাত হেনেছে এ বছরের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়- রাগাসা।
দক্ষিণ চীন সাগরে জন্ম নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢোকে তাইওয়ানে। এর আলোড়নে একটি হ্রদ উপচে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। নিহত হয়েছে ১৭ জন।
এরপর হংকংয়ের প্রান্তসীমায় ব্যাপক ভূমিধস ঘটায়। সেখানকার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বিবিসি জেনেছে, অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছে এতে।
তাইওয়ানে হ্রদ ভেসে বন্যায় ভূমিধসে ১৭ নিহত, নিখোঁজ অনেকে
হংকংয়ে ভূমিধসে আহত অন্তত ৯০
চীনের তিন
নগরীতে বন্যা
এরপরই এলো চীনে। বুধবার ঘূর্ণিঝড়টির তীব্রতা কিছুটা কমেছে যদিও, তবু চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের তাইশান অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতি ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি ছিল তার।
চীনেও ভূমিধস হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় আসছে- জানার পরই বিশ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় চীনের কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে উপকূলবর্তী গুয়াংডংয়ের ইয়ানজিয়ান শহরের হাইলিং দ্বীপে ভূমিধস হয়েছে ক্যাটাগরি ৫ শ্রেণীভুক্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। দক্ষিণ চীনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি নগরী জুহাই, শেনঝেন ও গুয়াংঝুতে সাগরের পানি ঢুকেছে।
এসব শহরের বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারিভাবে। চীনের সরকারি প্রচারমাধ্যমে আরও জানানো হয়েছে, চীনের গড় গতি ১৪৪ কিলোমিটারের মতো। আর পশ্চিমে তা আরও দুর্বল হতে থাকবে। আর পার্বত্য গুয়াংডংয়ে ভূমিধসের আশঙ্কায় রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে।
এদিকে ধ্বংসযজ্ঞ সামলে উঠতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে তাইওয়ান। সেখানকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়ে পরিস্থিতি আরও অনেক খারাপ।
প্রধানমন্ত্রী চো জুং তাই এত প্রাণহানির বিষয়ে তদন্ত চেয়েছেন। তিনি বলছেন, সেখানে দুর্গতদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজটি হয়নি। এ তদন্ত কারও ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য নয় বরং সত্যানুসন্ধানের প্রয়োজনে। সেখানে রাগাসার তাণ্ডবে সৃষ্ট ভূমিধসে হুলেন এলাকার হ্রদ ভেসে যায়। অনেকে এখন নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার সেখানকার দামা জেলার একজন গ্রামপ্রধানের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, সেখানকার হাজার খানেক বাসিন্দা এখন গৃহহীন দশায় পড়েছে। এখানে এখন সব জায়গায় কাদা আর মাটি। সেখানকার ভূতাত্ত্বিকেরা হ্রদ ভেসে যাওয়ায় সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসকে ‘পর্বতে সৃষ্ট সুনামি’ অভিহিত করেছে।
এতে সেখানকার অনেক সেতুর চিহ্ন পর্যন্ত মুছে গেছে, গাড়ি, বাড়ির একতলা পর্যন্ত তলিয়ে গেছে।
এসব ঘরের বাসিন্দারা বাড়ির ওপর তলায় বসে অপেক্ষা করছেন কখন উদ্ধার পাবেন।
কিছু কিছু জায়গায় পানি নামতে শুরু করেছে। ভারী কাদা মাড়িয়ে উদ্ধারকর্মীরা কারা কারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তার খোঁজ নিচ্ছেন।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও নামানো হয়েছে উদ্ধার তৎপরতায় ।
গত সোমবার উৎপত্তির সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতি ছিল ২৬০ কিলোমিটার। চীনের আবহাওয়া দপ্তর একে অভিহিত করছে ঘূর্ণিঝড়ের রাজা হিসেবে। এ বছর এর আগে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভূমিধস হয়েছে চীনের গুয়াংডংয়ে।
ঘূর্ণিঝড় রাগাসার প্রভাবে চীনের তলিয়ে যাওয়া একটি এলাকা -সংগৃহীত
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তাইওয়ান, হংকংয়ের পর চীনে আঘাত হেনেছে এ বছরের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়- রাগাসা।
দক্ষিণ চীন সাগরে জন্ম নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢোকে তাইওয়ানে। এর আলোড়নে একটি হ্রদ উপচে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। নিহত হয়েছে ১৭ জন।
এরপর হংকংয়ের প্রান্তসীমায় ব্যাপক ভূমিধস ঘটায়। সেখানকার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বিবিসি জেনেছে, অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছে এতে।
তাইওয়ানে হ্রদ ভেসে বন্যায় ভূমিধসে ১৭ নিহত, নিখোঁজ অনেকে
হংকংয়ে ভূমিধসে আহত অন্তত ৯০
চীনের তিন
নগরীতে বন্যা
এরপরই এলো চীনে। বুধবার ঘূর্ণিঝড়টির তীব্রতা কিছুটা কমেছে যদিও, তবু চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের তাইশান অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতি ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি ছিল তার।
চীনেও ভূমিধস হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় আসছে- জানার পরই বিশ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় চীনের কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে উপকূলবর্তী গুয়াংডংয়ের ইয়ানজিয়ান শহরের হাইলিং দ্বীপে ভূমিধস হয়েছে ক্যাটাগরি ৫ শ্রেণীভুক্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। দক্ষিণ চীনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি নগরী জুহাই, শেনঝেন ও গুয়াংঝুতে সাগরের পানি ঢুকেছে।
এসব শহরের বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারিভাবে। চীনের সরকারি প্রচারমাধ্যমে আরও জানানো হয়েছে, চীনের গড় গতি ১৪৪ কিলোমিটারের মতো। আর পশ্চিমে তা আরও দুর্বল হতে থাকবে। আর পার্বত্য গুয়াংডংয়ে ভূমিধসের আশঙ্কায় রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে।
এদিকে ধ্বংসযজ্ঞ সামলে উঠতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে তাইওয়ান। সেখানকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়ে পরিস্থিতি আরও অনেক খারাপ।
প্রধানমন্ত্রী চো জুং তাই এত প্রাণহানির বিষয়ে তদন্ত চেয়েছেন। তিনি বলছেন, সেখানে দুর্গতদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজটি হয়নি। এ তদন্ত কারও ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য নয় বরং সত্যানুসন্ধানের প্রয়োজনে। সেখানে রাগাসার তাণ্ডবে সৃষ্ট ভূমিধসে হুলেন এলাকার হ্রদ ভেসে যায়। অনেকে এখন নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার সেখানকার দামা জেলার একজন গ্রামপ্রধানের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, সেখানকার হাজার খানেক বাসিন্দা এখন গৃহহীন দশায় পড়েছে। এখানে এখন সব জায়গায় কাদা আর মাটি। সেখানকার ভূতাত্ত্বিকেরা হ্রদ ভেসে যাওয়ায় সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসকে ‘পর্বতে সৃষ্ট সুনামি’ অভিহিত করেছে।
এতে সেখানকার অনেক সেতুর চিহ্ন পর্যন্ত মুছে গেছে, গাড়ি, বাড়ির একতলা পর্যন্ত তলিয়ে গেছে।
এসব ঘরের বাসিন্দারা বাড়ির ওপর তলায় বসে অপেক্ষা করছেন কখন উদ্ধার পাবেন।
কিছু কিছু জায়গায় পানি নামতে শুরু করেছে। ভারী কাদা মাড়িয়ে উদ্ধারকর্মীরা কারা কারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তার খোঁজ নিচ্ছেন।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও নামানো হয়েছে উদ্ধার তৎপরতায় ।
গত সোমবার উৎপত্তির সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতি ছিল ২৬০ কিলোমিটার। চীনের আবহাওয়া দপ্তর একে অভিহিত করছে ঘূর্ণিঝড়ের রাজা হিসেবে। এ বছর এর আগে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভূমিধস হয়েছে চীনের গুয়াংডংয়ে।