ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাশিয়া কোনো কাগুজে বাঘ নয়, বরং ভালুক। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছে ক্রেমলিন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মস্কোর স্থানীয় একটি রেডিওর সাক্ষাৎকারে গিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, ‘কাগুজে বাঘ বলে কিছু নাই। আর রাশিয়া বরাবরই ভালুকের প্রতীক দ্বারা পরিচিত।’
এ সময় ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ফল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুও। পেসকভ বলেন, ‘ ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া রুশ সেনাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই।’ পেসকভ আরও দাবি করেন, রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করতে ইউরোপ ও অন্য অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে চাপ তৈরি করছে তা কেবলই নিজেদের জ্বালানির বিক্রি বাড়ানোর কৌশল। তাঁর ভাষ্য—ইউরোপকে রুশ তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নিজের জ্বালানি রপ্তানি বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে বেশি দামে মার্কিন তেল ও তরলীকৃত গ্যাস কিনতে বাধ্য করার এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। জটিল কূটনৈতিক পথ এড়িয়ে তাই এই পথই বেছেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘রাশিয়া সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চালাচ্ছে। সত্যিই যদি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা অতটাই শক্তিশালী হতো তাহলে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে তারা জিতে যেত।
কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ থেকে প্রমাণিত হয় রাশিয়া আসলে শুধু কাগজে কলমেই “বাঘ”।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমার ধারণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে ইউক্রেন এখন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী। সময়, ধৈর্য এবং ইউরোপ বিশেষ করে ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন তার আসল সীমানা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম বলে আমি মনে করি।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাশিয়া কোনো কাগুজে বাঘ নয়, বরং ভালুক। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছে ক্রেমলিন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মস্কোর স্থানীয় একটি রেডিওর সাক্ষাৎকারে গিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, ‘কাগুজে বাঘ বলে কিছু নাই। আর রাশিয়া বরাবরই ভালুকের প্রতীক দ্বারা পরিচিত।’
এ সময় ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ফল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুও। পেসকভ বলেন, ‘ ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া রুশ সেনাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই।’ পেসকভ আরও দাবি করেন, রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করতে ইউরোপ ও অন্য অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে চাপ তৈরি করছে তা কেবলই নিজেদের জ্বালানির বিক্রি বাড়ানোর কৌশল। তাঁর ভাষ্য—ইউরোপকে রুশ তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নিজের জ্বালানি রপ্তানি বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে বেশি দামে মার্কিন তেল ও তরলীকৃত গ্যাস কিনতে বাধ্য করার এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। জটিল কূটনৈতিক পথ এড়িয়ে তাই এই পথই বেছেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এরপর নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘রাশিয়া সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চালাচ্ছে। সত্যিই যদি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা অতটাই শক্তিশালী হতো তাহলে এক সপ্তাহেরও কম সময়ে তারা জিতে যেত।
কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এ থেকে প্রমাণিত হয় রাশিয়া আসলে শুধু কাগজে কলমেই “বাঘ”।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমার ধারণা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে ইউক্রেন এখন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী। সময়, ধৈর্য এবং ইউরোপ বিশেষ করে ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন তার আসল সীমানা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম বলে আমি মনে করি।’