নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে কিছু বিড়ম্বনায় পড়ার পর ‘তিনটি নাশকতার’ অভিযোগ তুলে সেগুলোর তদন্ত দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, তিনি ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প একটি এসকেলেটরে ওঠার পর হঠাৎ করেই সেটি থেমে যায়, তিনি বক্তব্য রাখার সময় একটি টেলিপ্রম্পটারে সমস্যা দেখা দেয় আর এরপর অডিটোরিয়ামের অডিও বন্ধ হয়ে যায়।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অডিও সিস্টেমটি অনূদিত বক্তৃতা ইয়ারফোনের মাধ্যমে শোনার জন্য তৈরি করা।
এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ট্রাম্পের এক ভিডিওগ্রাফার এসকেলেটরে উল্টো দিক করে ওঠার সময় সম্ভবত একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সচল হয়ে উঠেছিল আর তাতেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আর যে টেলিপ্রম্পটারের কথা বলা হচ্ছে তা মার্কিন প্রতিনিধি দলেরই ছিল।
বিবিসি জানায়, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এসব ঘটনার সমালোচনা করেন। তিনি জানান, এসব ঘটনা নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত শুরুর দাবি জানিয়ে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বরাবর একটি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
বুধবার নিজের পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জাতিসংঘে সত্যি অপমানজনক ঘটনা ঘটেছে- একটা নয়, দুইটা নয়, তিন তিনটা অত্যন্ত অশুভ ঘটনা!
“এটা কাকতালীয় নয়, জাতিসংঘে তিনটি নাশকতার ঘটনা ছিল এটি। তাদের নিজেদের নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত।”
তিনি এসকেলেটর থেমে যাওয়ার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান। তিনি টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের তথ্য উল্লেখ করে বলেন যে এসকেলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে জাতিসংঘের কর্মীরা মস্কারা করেছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, “এসকেলেটরের সব নিরাপত্তা টেপ সেইভ করা উচিত, বিশেষ করে জরুরি স্টপ বাটনটি। সিক্রেট সার্ভিসেস যুক্ত আছে।”
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজও ট্রাম্পের মতো আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এসব ঘটনা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক্স এ তিনি লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার ওপর হুমকি যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করবে না। আমরা দ্রুত সহযোগিতা ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ চাই।”
বুধবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কেউ একজন ইচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটরটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
এক্সে তিনি লিখেন, “জাতিসংঘের কেউ যদি প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি পা দেওয়া মাত্র ইচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটরটি বন্ধ করে থাকে, তাদের চাকরিচ্যুত করে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করা দরকার।”
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফেন দুজারিক জানিয়েছেন, ট্রাম্প দম্পতি এসকেলেটর দিয়ে ওঠার সময় তাদের ভিডিওগ্রাফার তাদের দিকে মুখ করে কিন্তু এসকেলেটরের উপরের দিকে পেছন ফিরে ভিডিও করার সময় ‘সম্ভবত তার অসাবধানতাবশত নিরাপত্তা ফাংশনটি চালু হয়ে গিয়েছিল’।
এসকেলেটরে এই বিপত্তির পর বক্তৃতা করার সময় ট্রাম্প আরও বেশি প্রাযুক্তিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যান যখন তিনি জানান, টেলিপ্রম্পটারটি কাজ করছে না। অবশ্য তার বক্তৃতার শেষ দিকে সেটি ঠিক হয়।
এ নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি শুধু এটাই বলতে পারি, এই টেলিপ্রম্পটারটি যেই পরিচালনা করে থাকুক, বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে আছে।”
পরে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই সময় হোয়াইট হাউজ টেলিপ্রম্পটারটি পরিচালনা করছিল। তারা তাদের নিজস্ব ল্যাপটপগুলো নিয়ে এসেছিল এবং সেগুলো জাতিসংঘের সিস্টেমের সঙ্গে প্লাগিং করে দেয়।
ট্রাম্প তার দীর্ঘ পোস্টে অডিও সমস্যার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “অডিটোরিয়ামের ভেতরে সাউন্ড পুরোপুরি বন্ধ ছিল। দোভাষী ইয়ারপিস ব্যবহার করার আগ পর্যন্ত বিশ্ব নেতারা কিছুই শুনতে পাননি।”
ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “সাউন্ড সিস্টেম এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে উপস্থিত ব্যক্তিরা নিজেদের আসনে বসে ইয়ারপিসের মাধ্যমে অনুদিত ছয়টি ভাষায় বক্তব্য শুনতে পান।”
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে কিছু বিড়ম্বনায় পড়ার পর ‘তিনটি নাশকতার’ অভিযোগ তুলে সেগুলোর তদন্ত দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, তিনি ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প একটি এসকেলেটরে ওঠার পর হঠাৎ করেই সেটি থেমে যায়, তিনি বক্তব্য রাখার সময় একটি টেলিপ্রম্পটারে সমস্যা দেখা দেয় আর এরপর অডিটোরিয়ামের অডিও বন্ধ হয়ে যায়।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অডিও সিস্টেমটি অনূদিত বক্তৃতা ইয়ারফোনের মাধ্যমে শোনার জন্য তৈরি করা।
এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ট্রাম্পের এক ভিডিওগ্রাফার এসকেলেটরে উল্টো দিক করে ওঠার সময় সম্ভবত একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সচল হয়ে উঠেছিল আর তাতেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আর যে টেলিপ্রম্পটারের কথা বলা হচ্ছে তা মার্কিন প্রতিনিধি দলেরই ছিল।
বিবিসি জানায়, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এসব ঘটনার সমালোচনা করেন। তিনি জানান, এসব ঘটনা নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত শুরুর দাবি জানিয়ে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বরাবর একটি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
বুধবার নিজের পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জাতিসংঘে সত্যি অপমানজনক ঘটনা ঘটেছে- একটা নয়, দুইটা নয়, তিন তিনটা অত্যন্ত অশুভ ঘটনা!
“এটা কাকতালীয় নয়, জাতিসংঘে তিনটি নাশকতার ঘটনা ছিল এটি। তাদের নিজেদের নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত।”
তিনি এসকেলেটর থেমে যাওয়ার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান। তিনি টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের তথ্য উল্লেখ করে বলেন যে এসকেলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে জাতিসংঘের কর্মীরা মস্কারা করেছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, “এসকেলেটরের সব নিরাপত্তা টেপ সেইভ করা উচিত, বিশেষ করে জরুরি স্টপ বাটনটি। সিক্রেট সার্ভিসেস যুক্ত আছে।”
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজও ট্রাম্পের মতো আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এসব ঘটনা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক্স এ তিনি লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার ওপর হুমকি যুক্তরাষ্ট্র সহ্য করবে না। আমরা দ্রুত সহযোগিতা ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ চাই।”
বুধবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কেউ একজন ইচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটরটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
এক্সে তিনি লিখেন, “জাতিসংঘের কেউ যদি প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি পা দেওয়া মাত্র ইচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটরটি বন্ধ করে থাকে, তাদের চাকরিচ্যুত করে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করা দরকার।”
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফেন দুজারিক জানিয়েছেন, ট্রাম্প দম্পতি এসকেলেটর দিয়ে ওঠার সময় তাদের ভিডিওগ্রাফার তাদের দিকে মুখ করে কিন্তু এসকেলেটরের উপরের দিকে পেছন ফিরে ভিডিও করার সময় ‘সম্ভবত তার অসাবধানতাবশত নিরাপত্তা ফাংশনটি চালু হয়ে গিয়েছিল’।
এসকেলেটরে এই বিপত্তির পর বক্তৃতা করার সময় ট্রাম্প আরও বেশি প্রাযুক্তিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যান যখন তিনি জানান, টেলিপ্রম্পটারটি কাজ করছে না। অবশ্য তার বক্তৃতার শেষ দিকে সেটি ঠিক হয়।
এ নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি শুধু এটাই বলতে পারি, এই টেলিপ্রম্পটারটি যেই পরিচালনা করে থাকুক, বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে আছে।”
পরে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই সময় হোয়াইট হাউজ টেলিপ্রম্পটারটি পরিচালনা করছিল। তারা তাদের নিজস্ব ল্যাপটপগুলো নিয়ে এসেছিল এবং সেগুলো জাতিসংঘের সিস্টেমের সঙ্গে প্লাগিং করে দেয়।
ট্রাম্প তার দীর্ঘ পোস্টে অডিও সমস্যার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “অডিটোরিয়ামের ভেতরে সাউন্ড পুরোপুরি বন্ধ ছিল। দোভাষী ইয়ারপিস ব্যবহার করার আগ পর্যন্ত বিশ্ব নেতারা কিছুই শুনতে পাননি।”
ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “সাউন্ড সিস্টেম এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে উপস্থিত ব্যক্তিরা নিজেদের আসনে বসে ইয়ারপিসের মাধ্যমে অনুদিত ছয়টি ভাষায় বক্তব্য শুনতে পান।”