নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার ভাষণের শুরুতেই প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েক ডজন দেশের প্রতিনিধি অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।
ভাষণ চলাকালে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন নেতানিয়াহুর বক্তব্যে হাততালি দেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের অধিভুক্ত করতে না দেওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন। এর পরই নেতানিয়াহু জাতিসংঘে ভাষণ দেন।
হামাসকে হুঁশিয়ারি
নেতানিয়াহু তার বক্তব্যের শুরুতে গাজার হামাস নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “অস্ত্র নামিয়ে রাখুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন। এটি করলে আপনারা বাঁচতে পারবেন। আর না করলে ইসরায়েল আপনাদের খুঁজে বের করবে।”
পরে তিনি হাতে কয়েকটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন এবং সেগুলো পড়ে শুনিয়ে প্রশ্ন করেন—“আমেরিকা নিপাত যাক বলে চেঁচায় কারা?” এরপর তিনি তালিকায় দেখান: ১. ইরান, ২. হামাস, ৩. হিজবুল্লাহ, ৪. হুতি, ৫. সবগুলোই। কক্ষে হৈচৈ শুরু হলে তিনি ‘সবগুলোই’-তে টিক দেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রসঙ্গ টেনে নেতানিয়াহু বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) অন্য যে কোনো নেতার চেয়ে ভালো জানেন, আমেরিকা ও ইসরায়েল একই হুমকির মুখে রয়েছে।”
সমর্থন হারানোর অভিযোগ
নেতানিয়াহু বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বহু নেতা ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সমর্থন উবে গেছে। ইসরায়েলের সবসময় শত্রু ছিল, তবে এখন মিত্ররাও সমালোচনা করছে।
তার ভাষ্য, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন ইসরায়েলকে একঘরে রাষ্ট্র হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফিলিস্তিন স্বীকৃতির ঢেউ
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসব দেশ যুক্তি দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান টিকিয়ে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের ওপর শুল্ক ও ট্যারিফ আরোপের চিন্তা করছে। জার্মানি ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েল নিয়ে জনমত নেতিবাচক হয়ে উঠছে।
অধিবেশনে প্রতিবাদ
নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি ও আরব প্রতিনিধিদের বাধা আসতে পারে। বাস্তবে তার ভাষণ শুরু হতেই বহু দেশের প্রতিনিধি দুয়ো দিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন।
তবে তিনি বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ ছাড়ার সময় ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। অধিবেশন হলের নিচের খালি আসনগুলোর বিপরীতে ওপরতলার ব্যালকনি থেকে কিছু পর্যবেক্ষক তাকে দাঁড়িয়ে সংবর্ধনা জানান।
ভাষণে নেতানিয়াহু বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিন স্বীকৃতিকে ‘নিছক পাগলামি’ আখ্যা দেন। তিনি এটিকে ‘মর্যাদাহানিকর’ বলেও উল্লেখ করেন এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া তার ভাষণ গাজায় লাউডস্পিকারের মাধ্যমে সম্প্রচার করে ইসরায়েল।
শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার ভাষণের শুরুতেই প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েক ডজন দেশের প্রতিনিধি অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।
ভাষণ চলাকালে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন নেতানিয়াহুর বক্তব্যে হাততালি দেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের অধিভুক্ত করতে না দেওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন। এর পরই নেতানিয়াহু জাতিসংঘে ভাষণ দেন।
হামাসকে হুঁশিয়ারি
নেতানিয়াহু তার বক্তব্যের শুরুতে গাজার হামাস নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “অস্ত্র নামিয়ে রাখুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন। এটি করলে আপনারা বাঁচতে পারবেন। আর না করলে ইসরায়েল আপনাদের খুঁজে বের করবে।”
পরে তিনি হাতে কয়েকটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন এবং সেগুলো পড়ে শুনিয়ে প্রশ্ন করেন—“আমেরিকা নিপাত যাক বলে চেঁচায় কারা?” এরপর তিনি তালিকায় দেখান: ১. ইরান, ২. হামাস, ৩. হিজবুল্লাহ, ৪. হুতি, ৫. সবগুলোই। কক্ষে হৈচৈ শুরু হলে তিনি ‘সবগুলোই’-তে টিক দেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রসঙ্গ টেনে নেতানিয়াহু বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) অন্য যে কোনো নেতার চেয়ে ভালো জানেন, আমেরিকা ও ইসরায়েল একই হুমকির মুখে রয়েছে।”
সমর্থন হারানোর অভিযোগ
নেতানিয়াহু বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর বহু নেতা ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সমর্থন উবে গেছে। ইসরায়েলের সবসময় শত্রু ছিল, তবে এখন মিত্ররাও সমালোচনা করছে।
তার ভাষ্য, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন ইসরায়েলকে একঘরে রাষ্ট্র হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফিলিস্তিন স্বীকৃতির ঢেউ
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসব দেশ যুক্তি দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান টিকিয়ে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের ওপর শুল্ক ও ট্যারিফ আরোপের চিন্তা করছে। জার্মানি ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েল নিয়ে জনমত নেতিবাচক হয়ে উঠছে।
অধিবেশনে প্রতিবাদ
নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি ও আরব প্রতিনিধিদের বাধা আসতে পারে। বাস্তবে তার ভাষণ শুরু হতেই বহু দেশের প্রতিনিধি দুয়ো দিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন।
তবে তিনি বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ ছাড়ার সময় ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। অধিবেশন হলের নিচের খালি আসনগুলোর বিপরীতে ওপরতলার ব্যালকনি থেকে কিছু পর্যবেক্ষক তাকে দাঁড়িয়ে সংবর্ধনা জানান।
ভাষণে নেতানিয়াহু বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিন স্বীকৃতিকে ‘নিছক পাগলামি’ আখ্যা দেন। তিনি এটিকে ‘মর্যাদাহানিকর’ বলেও উল্লেখ করেন এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া তার ভাষণ গাজায় লাউডস্পিকারের মাধ্যমে সম্প্রচার করে ইসরায়েল।