বাল্টিক সাগরে বাড়লো নেটোর
রাশিয়া আতঙ্কে পোল্যান্ডের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, বাল্টিক সাগরে বেড়েছে নেটোর উপস্থিতি। জানা যায়, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার নতুন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পোল্যান্ড। রাজধানী ওয়ারশ’র দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় লুবলিন ও রেজশোভ শহরের আকাশসীমা রোববার বন্ধ রাখা হয়। দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, ‘অপ্রত্যাশিত সামরিক কার্যক্রম’ মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেই নেটো বাল্টিক সাগরে তাদের মিশন জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। ডেনমার্ক ও নরওয়েতে সামরিক স্থাপনার কাছে একের পর এক রহস্যজনক ড্রোন দেখা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নেটোর একটি আকাশ প্রতিরক্ষা যুদ্ধজাহাজসহ গোয়েন্দা, নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের প্ল্যাটফর্ম মোতায়েন করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার কারণে রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে পুরো দেশে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়। এর আগে চলতি মাসেই পোল্যান্ড ও নেটো বাহিনী পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করা রাশিয়ার ড্রোন প্রতিহত করে, যা ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর সঙ্গে তাদের প্রথম প্রত্যক্ষ সামরিক সংঘর্ষ।
ডেনমার্ক এই ড্রোন অনুপ্রবেশকে ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, এটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণ। অন্যদিকে নরওয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েরল্যান্ড বিমানঘাঁটির কাছেও ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, যা দেশটির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলোর মূল ঘাঁটি।
জার্মানির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ড্ট জানিয়েছেন, ডেনমার্ক সীমান্তবর্তী শ্লেসভিগ-হলস্টাইনে ড্রোনের ‘ঝাঁক’ উড়তে দেখা গেছে। তিনি আইন সংশোধন করে সেনাবাহিনীকে ড্রোন ভূপাতিত করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, প্রায় ১০টি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষায় ‘ড্রোন ওয়াল’ গঠনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব পদক্ষেপ ইউরোপে সামরিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
বাল্টিক সাগরে বাড়লো নেটোর
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাশিয়া আতঙ্কে পোল্যান্ডের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, বাল্টিক সাগরে বেড়েছে নেটোর উপস্থিতি। জানা যায়, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার নতুন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পোল্যান্ড। রাজধানী ওয়ারশ’র দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় লুবলিন ও রেজশোভ শহরের আকাশসীমা রোববার বন্ধ রাখা হয়। দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, ‘অপ্রত্যাশিত সামরিক কার্যক্রম’ মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেই নেটো বাল্টিক সাগরে তাদের মিশন জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। ডেনমার্ক ও নরওয়েতে সামরিক স্থাপনার কাছে একের পর এক রহস্যজনক ড্রোন দেখা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নেটোর একটি আকাশ প্রতিরক্ষা যুদ্ধজাহাজসহ গোয়েন্দা, নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের প্ল্যাটফর্ম মোতায়েন করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার কারণে রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে পুরো দেশে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়। এর আগে চলতি মাসেই পোল্যান্ড ও নেটো বাহিনী পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করা রাশিয়ার ড্রোন প্রতিহত করে, যা ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর সঙ্গে তাদের প্রথম প্রত্যক্ষ সামরিক সংঘর্ষ।
ডেনমার্ক এই ড্রোন অনুপ্রবেশকে ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, এটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর সবচেয়ে গুরুতর আক্রমণ। অন্যদিকে নরওয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েরল্যান্ড বিমানঘাঁটির কাছেও ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, যা দেশটির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলোর মূল ঘাঁটি।
জার্মানির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ড্ট জানিয়েছেন, ডেনমার্ক সীমান্তবর্তী শ্লেসভিগ-হলস্টাইনে ড্রোনের ‘ঝাঁক’ উড়তে দেখা গেছে। তিনি আইন সংশোধন করে সেনাবাহিনীকে ড্রোন ভূপাতিত করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, প্রায় ১০টি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষায় ‘ড্রোন ওয়াল’ গঠনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব পদক্ষেপ ইউরোপে সামরিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।