দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন করে নিজের অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতি না করে জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়, সেই কৌশল উদঘাটনের স্বীকৃতিতে তিন গবেষক পেয়েছেন এ বছরের চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার।
সোমবার সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এ বছরের বিজয়ী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ম্যারি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের সিমন সাকাগুচির নাম ঘোষণা করে। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা।
গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ভিক্টর অ্যাম্ব্রস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার ওপর আলো ফেলার স্বীকৃতিতে তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
চিকিৎসা শাস্ত্রের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়েই এবারের নোবেল পর্ব শুরু হলো। মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যা, বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সবশেষ ১৩ অক্টোবর অর্থনীতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি।
পুরস্কার দেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রাঙ্কো, রামসডেল ও সাকাগুচি ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স সংক্রান্ত তাদের আবিষ্কারের জন্য’ চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।
“আমাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যেন আমরা সব ধরণের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে পারি এবং তার সঙ্গে অটোইমিউন রোগ এড়াতে পারি—এই বছরের পুরস্কার সে সম্পর্কিত,” বলা হয়েছে ঘোষণায়।
পুরস্কারবিজয়ীরা সুইডেনের রাজার কাছ থেকে সোনার মেডেলও পাবেন।
“তাদের আবিষ্কার নতুন গবেষণা ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করেছে,” বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে পুরস্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।
১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া ম্যারি ই. ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। বর্তমানে তিনি সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির ঊর্ধ্বতন প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
ফ্রেড রামসডেল জন্মেছেন ১৯৬০ সালে। ২৭ বছর বয়সে লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা এ নোবেলজয়ী এখন স্যান ফ্র্যান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা।
৭৪ বছর বয়সী সিমন সাকাগুচি জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে ডক্টর অব মেডিসিন এবং ১৯৮৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি পান। বর্তমানে তিনি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারের সম্মানসূচক অধ্যাপক।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন করে নিজের অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতি না করে জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়, সেই কৌশল উদঘাটনের স্বীকৃতিতে তিন গবেষক পেয়েছেন এ বছরের চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার।
সোমবার সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এ বছরের বিজয়ী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ম্যারি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের সিমন সাকাগুচির নাম ঘোষণা করে। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা।
গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ভিক্টর অ্যাম্ব্রস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার ওপর আলো ফেলার স্বীকৃতিতে তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
চিকিৎসা শাস্ত্রের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়েই এবারের নোবেল পর্ব শুরু হলো। মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যা, বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। সবশেষ ১৩ অক্টোবর অর্থনীতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি।
পুরস্কার দেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রাঙ্কো, রামসডেল ও সাকাগুচি ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স সংক্রান্ত তাদের আবিষ্কারের জন্য’ চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।
“আমাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যেন আমরা সব ধরণের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে পারি এবং তার সঙ্গে অটোইমিউন রোগ এড়াতে পারি—এই বছরের পুরস্কার সে সম্পর্কিত,” বলা হয়েছে ঘোষণায়।
পুরস্কারবিজয়ীরা সুইডেনের রাজার কাছ থেকে সোনার মেডেলও পাবেন।
“তাদের আবিষ্কার নতুন গবেষণা ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করেছে,” বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে পুরস্কার প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।
১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া ম্যারি ই. ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। বর্তমানে তিনি সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির ঊর্ধ্বতন প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
ফ্রেড রামসডেল জন্মেছেন ১৯৬০ সালে। ২৭ বছর বয়সে লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা এ নোবেলজয়ী এখন স্যান ফ্র্যান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা।
৭৪ বছর বয়সী সিমন সাকাগুচি জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে ডক্টর অব মেডিসিন এবং ১৯৮৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি পান। বর্তমানে তিনি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারের সম্মানসূচক অধ্যাপক।