গাজা যুদ্ধের অবসান ও বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে মিসরের শারম আল-শেখে শুরু হওয়া ইসরায়েল ও হামাসের পরোক্ষ আলোচনার প্রথম দিনটি “ইতিবাচক” পরিবেশে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র। আলোচনায় যুক্ত থাকা পক্ষগুলোর মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠকে মূলত যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় এবং গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন হামাসের রাজনৈতিক শীর্ষনেতা খলিল আল-হায়া ও জাহের জাবারিন। মিসরের সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ জানায়, প্রথম দিনের বৈঠকে আলোচনার পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আল–জাজিরা অ্যারাবিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস প্রতিনিধি দল মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে—ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার কারণে বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ছে। আলোচনার সময়ও গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা অব্যাহত ছিল, যাতে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; এর মধ্যে তিনজন মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে মারা যান।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া শেষ করতে চান, যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রগতি আসে। তিনি বলেন, “আমাদের চুক্তি করার ভালো সুযোগ আছে।” ট্রাম্প আরও জানান, “হামাস এমন কিছু বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
ওয়াশিংটন থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক রোজিল্যান্ড জর্ডান বলেন, ট্রাম্প আলোচনার সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি প্রকাশ না করলেও এর সার্বিক মূল্যায়ন দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরব ও তুর্কি দেশগুলোর সমর্থনের প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে তাঁর দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের কূটনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন ইসরায়েলে হামাসের হামলার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়। পাল্টা হামলায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজারের বেশি।
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
গাজা যুদ্ধের অবসান ও বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে মিসরের শারম আল-শেখে শুরু হওয়া ইসরায়েল ও হামাসের পরোক্ষ আলোচনার প্রথম দিনটি “ইতিবাচক” পরিবেশে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র। আলোচনায় যুক্ত থাকা পক্ষগুলোর মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠকে মূলত যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় এবং গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন হামাসের রাজনৈতিক শীর্ষনেতা খলিল আল-হায়া ও জাহের জাবারিন। মিসরের সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ জানায়, প্রথম দিনের বৈঠকে আলোচনার পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আল–জাজিরা অ্যারাবিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস প্রতিনিধি দল মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে—ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার কারণে বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ছে। আলোচনার সময়ও গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা অব্যাহত ছিল, যাতে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; এর মধ্যে তিনজন মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে মারা যান।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া শেষ করতে চান, যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রগতি আসে। তিনি বলেন, “আমাদের চুক্তি করার ভালো সুযোগ আছে।” ট্রাম্প আরও জানান, “হামাস এমন কিছু বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
ওয়াশিংটন থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক রোজিল্যান্ড জর্ডান বলেন, ট্রাম্প আলোচনার সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি প্রকাশ না করলেও এর সার্বিক মূল্যায়ন দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরব ও তুর্কি দেশগুলোর সমর্থনের প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে তাঁর দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের কূটনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন ইসরায়েলে হামাসের হামলার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়। পাল্টা হামলায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এক লাখ ৬৯ হাজারের বেশি।