ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতি দমনে পরিচালিত শুদ্ধি অভিযানে নয়জন শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। শুক্রবার,(১৭ অক্টোবর ২০২৫) বিবিসিতে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব জেনারেলদের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং তারা পার্টির শৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছেন।
বহিষ্কৃতদের অধিকাংশই ছিলেন তিন তারকা জেনারেল এবং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা, ‘সেন্ট্রাল কমিটির’ সদস্য। তাদের সকলকেই সামরিক বাহিনীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময় নেওয়া হলো, যখন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি নতুন সদস্য নির্বাচনের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
সবচেয়ে আলোচিত নাম: হে ওয়েইডোং
নয়জন বহিষ্কৃত কর্মকর্তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন হে ওয়েইডোং, যিনি ছিলেন চীনের সেনাবাহিনীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্বে রয়েছেন। হে ওয়েইডোং ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা পলিটব্যুরোরও সদস্য এবং তিনিই প্রথম সক্রিয় পলিটব্যুরো সদস্য যিনি তদন্তের মুখোমুখি হলেন।
তাকে মার্চ মাসের পর আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি, যা তখন থেকেই সন্দেহের জন্ম দেয় যে তিনি শুদ্ধি অভিযানের আওতায় রয়েছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে “পার্টির শৃঙ্খলা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ব্যাপক পরিমাণ অর্থের সঙ্গে জড়িত অপরাধে জড়িত থাকার” প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগগুলো “চরমভাবে ক্ষতিকর” বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
তাদের বিরুদ্ধে এখন সামরিক আদালতে মামলা পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে এটিকে সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের “গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগেই সংকেত মিলেছিল
চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত কয়েক মাস ধরেই সামরিক বাহিনীতে “বিষাক্ত প্রভাব” দূর করতে শুদ্ধি অভিযানের বার্তা দিয়ে আসছিল। চলতি বছরের জুলাই মাসে জারি করা নতুন নির্দেশনায় কঠোর নিয়ম-কানুন অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও কিছু ছোট পরিসরের শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে এবং লি শ্যাংফু-এর অপসারণ।
চীনের রকেট ফোর্সের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এই অভিযানের আওতায় পড়ে পদচ্যুত হন। তাদের একজন উত্তরসূরি ওয়াং হৌবিন— যিনি এবার নবম বহিষ্কৃত জেনারেলদের একজন।
বেসামরিক কর্মকর্তারাও
বাদ যাননি
এই শুদ্ধি অভিযান শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীতেই সীমাবদ্ধ নয়। বেসামরিক প্রশাসনেও এর প্রভাব পড়েছে। ২০২৩ সালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাং-এর পদচ্যুতি এবং তারপর নিখোঁজ হওয়াও এই ধারারই অংশ বলে মনে করা হয়। তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি লিউ জিয়ানচাও-ও জুলাই মাস থেকে জনসম্মুখে অনুপস্থিত।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতি দমনে পরিচালিত শুদ্ধি অভিযানে নয়জন শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। শুক্রবার,(১৭ অক্টোবর ২০২৫) বিবিসিতে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব জেনারেলদের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং তারা পার্টির শৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছেন।
বহিষ্কৃতদের অধিকাংশই ছিলেন তিন তারকা জেনারেল এবং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা, ‘সেন্ট্রাল কমিটির’ সদস্য। তাদের সকলকেই সামরিক বাহিনীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময় নেওয়া হলো, যখন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি নতুন সদস্য নির্বাচনের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
সবচেয়ে আলোচিত নাম: হে ওয়েইডোং
নয়জন বহিষ্কৃত কর্মকর্তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন হে ওয়েইডোং, যিনি ছিলেন চীনের সেনাবাহিনীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্বে রয়েছেন। হে ওয়েইডোং ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা পলিটব্যুরোরও সদস্য এবং তিনিই প্রথম সক্রিয় পলিটব্যুরো সদস্য যিনি তদন্তের মুখোমুখি হলেন।
তাকে মার্চ মাসের পর আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি, যা তখন থেকেই সন্দেহের জন্ম দেয় যে তিনি শুদ্ধি অভিযানের আওতায় রয়েছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে “পার্টির শৃঙ্খলা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ব্যাপক পরিমাণ অর্থের সঙ্গে জড়িত অপরাধে জড়িত থাকার” প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগগুলো “চরমভাবে ক্ষতিকর” বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
তাদের বিরুদ্ধে এখন সামরিক আদালতে মামলা পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে এটিকে সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের “গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগেই সংকেত মিলেছিল
চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত কয়েক মাস ধরেই সামরিক বাহিনীতে “বিষাক্ত প্রভাব” দূর করতে শুদ্ধি অভিযানের বার্তা দিয়ে আসছিল। চলতি বছরের জুলাই মাসে জারি করা নতুন নির্দেশনায় কঠোর নিয়ম-কানুন অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও কিছু ছোট পরিসরের শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে এবং লি শ্যাংফু-এর অপসারণ।
চীনের রকেট ফোর্সের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এই অভিযানের আওতায় পড়ে পদচ্যুত হন। তাদের একজন উত্তরসূরি ওয়াং হৌবিন— যিনি এবার নবম বহিষ্কৃত জেনারেলদের একজন।
বেসামরিক কর্মকর্তারাও
বাদ যাননি
এই শুদ্ধি অভিযান শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীতেই সীমাবদ্ধ নয়। বেসামরিক প্রশাসনেও এর প্রভাব পড়েছে। ২০২৩ সালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাং-এর পদচ্যুতি এবং তারপর নিখোঁজ হওয়াও এই ধারারই অংশ বলে মনে করা হয়। তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি লিউ জিয়ানচাও-ও জুলাই মাস থেকে জনসম্মুখে অনুপস্থিত।