যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ফেডারেল শাটডাউন অবস্থা কোনো সমাধান ছাড়াই চতুর্থ সপ্তাহের কাছাকাছি পৌঁছেছে। দেশটির আইনপ্রণেতারা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে চলমান স্বাস্থ্যসেবা তহবিল-সংক্রান্ত বাজেট আলোচনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সুরাহা না হওয়ায় এই শাটডাউন শুরু হয়েছিল; যা এখনও সমাধান হয়নি।
গতকাল রোববার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান এই শাটডাউন পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটদের জন্য প্রচুর রাজনৈতিক ঝুঁকি বহন করছে। ট্রাম্পসহ রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে সরকারের অর্থায়ন করার দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ করেছে।
শাটডাউন পরিস্থিতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর দল রিপাবলিকানদেরও স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে, যা এই দলটির জন্য দীর্ঘকাল ধরে একটি বড় দুর্বলতা। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা এখনও তাদের অবস্থানে অনড় আছেন।
তারা বলছেন, রিপাবলিকানরা যদি অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্টের (এসিএ) মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলা ট্যাক্স ক্রেডিটগুলো না বাড়ায়, তাহলে তারা ব্যয় চুক্তিতে সম্মতি দেবেন না। কারণ এসিএর ট্যাক্স ক্রেডিটগুলো বাড়ানো হলে তা কোটি কোটি আমেরিকানের জন্য স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য কভারেজ হারানোর পরিস্থিতি এড়াতে পারে।
এদিকে, ট্রাম্পের অভিবাসন, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বহু শহরে গত শনিবার ‘নো কিংস’ শীর্ষক বিক্ষোভ–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকেরা বলেন, সারা দেশে ২ হাজার ৬০০–এর বেশি জায়গায় এমন বিক্ষোভ হয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ–সমাবেশ হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদের দিকে এগোচ্ছে এবং এখানে কোনো রাজা থাকা উচিত নয়।
গার্ডিয়ান আরও বলেছে, এদিন কয়েক লাখ মানুষ ‘নো কিং’ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘নাথিং ইজ মোর প্যাট্রিওটিক দ্যান প্রোটেস্টিং’ (বিক্ষোভের চেয়ে বড় দেশপ্রেম আর হয় না) কিংবা ‘রেজিস্ট ফ্যাসিজম’ (ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন) এমন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। বিক্ষোভগুলোকে অনেকটা সড়কে হওয়া উৎসবের মতো দেখাচ্ছিল।
শতাধিক আয়োজক যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শনিবার এ বিক্ষোভ–সমাবেশের আয়োজন করেছে। ছোট-বড় অনেক শহরে ২ হাজার ৬০০টির বেশি স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি তাঁর বিরুদ্ধে তৃতীয় বৃহৎ গণবিক্ষোভ। এবার এমন এক সময় বিক্ষোভ হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনে (অচলাবস্থায়) পড়েছে। সোমবার, (২০ অক্টোবর ২০২৫) ছিল শাটডাউনের ১৮তম দিন। তহবিলের জোগান না থাকায় শাটডাউনের কারণে বহু ফেডারেল কর্মসূচি ও সেবা বন্ধ হয়ে আছে।
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ফেডারেল শাটডাউন অবস্থা কোনো সমাধান ছাড়াই চতুর্থ সপ্তাহের কাছাকাছি পৌঁছেছে। দেশটির আইনপ্রণেতারা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে চলমান স্বাস্থ্যসেবা তহবিল-সংক্রান্ত বাজেট আলোচনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সুরাহা না হওয়ায় এই শাটডাউন শুরু হয়েছিল; যা এখনও সমাধান হয়নি।
গতকাল রোববার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান এই শাটডাউন পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটদের জন্য প্রচুর রাজনৈতিক ঝুঁকি বহন করছে। ট্রাম্পসহ রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে সরকারের অর্থায়ন করার দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ করেছে।
শাটডাউন পরিস্থিতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর দল রিপাবলিকানদেরও স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে, যা এই দলটির জন্য দীর্ঘকাল ধরে একটি বড় দুর্বলতা। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা এখনও তাদের অবস্থানে অনড় আছেন।
তারা বলছেন, রিপাবলিকানরা যদি অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্টের (এসিএ) মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলা ট্যাক্স ক্রেডিটগুলো না বাড়ায়, তাহলে তারা ব্যয় চুক্তিতে সম্মতি দেবেন না। কারণ এসিএর ট্যাক্স ক্রেডিটগুলো বাড়ানো হলে তা কোটি কোটি আমেরিকানের জন্য স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য কভারেজ হারানোর পরিস্থিতি এড়াতে পারে।
এদিকে, ট্রাম্পের অভিবাসন, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বহু শহরে গত শনিবার ‘নো কিংস’ শীর্ষক বিক্ষোভ–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকেরা বলেন, সারা দেশে ২ হাজার ৬০০–এর বেশি জায়গায় এমন বিক্ষোভ হয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ–সমাবেশ হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদের দিকে এগোচ্ছে এবং এখানে কোনো রাজা থাকা উচিত নয়।
গার্ডিয়ান আরও বলেছে, এদিন কয়েক লাখ মানুষ ‘নো কিং’ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘নাথিং ইজ মোর প্যাট্রিওটিক দ্যান প্রোটেস্টিং’ (বিক্ষোভের চেয়ে বড় দেশপ্রেম আর হয় না) কিংবা ‘রেজিস্ট ফ্যাসিজম’ (ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন) এমন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। বিক্ষোভগুলোকে অনেকটা সড়কে হওয়া উৎসবের মতো দেখাচ্ছিল।
শতাধিক আয়োজক যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শনিবার এ বিক্ষোভ–সমাবেশের আয়োজন করেছে। ছোট-বড় অনেক শহরে ২ হাজার ৬০০টির বেশি স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি তাঁর বিরুদ্ধে তৃতীয় বৃহৎ গণবিক্ষোভ। এবার এমন এক সময় বিক্ষোভ হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনে (অচলাবস্থায়) পড়েছে। সোমবার, (২০ অক্টোবর ২০২৫) ছিল শাটডাউনের ১৮তম দিন। তহবিলের জোগান না থাকায় শাটডাউনের কারণে বহু ফেডারেল কর্মসূচি ও সেবা বন্ধ হয়ে আছে।