ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আবারও পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আয়োজিত বৈঠকের এসব তথ্য রোববার প্রথম প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। বৈঠকের বিষয়ে অবগত দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আলোচনার সময় পরিবেশ যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল বৈঠকের ফলাফল নিয়ে বেশ হতাশ ছিল।
তারা আরও বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘ভূখণ্ড বিনিময়’ ধারণা আবারও উত্থাপন করেন— যা ট্রাম্প আগেও সমর্থন করেছিলেন। দ্রুত একটি সমঝোতা প্রয়োজন। এক কর্মকর্তার দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না করলে ইউক্রেন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তার এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন অন্যজন। প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয়, ইউক্রেনের উচিত তাদের ফ্রন্টলাইনে থেমে যাওয়া। এখন আলোচনায় একজন বলবে আমি এটা চাই, আরেকজন বলবে ওটা চাই— এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
রয়টার্সের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে পুরো ডনবাস ছাড়ার কথা তিনি বলেননি।
এখন যেভাবে বিভক্ত আছে, সেভাবেই থাকার পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৭৮ শতাংশ অঞ্চল এখন রাশিয়ার দখলে। পরে আলোচনা হতে পারে। হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর থেকেই তড়িঘড়ি ইউক্রেন সংকটের সমাধান চাইছিলেন ট্রাম্প। তার হুড়োহুড়িতে কিয়েভকে মস্কোর কাছে প্রায় বিকিয়ে দেওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের মিত্ররা। তবে বিগত কয়েক সপ্তাহে তার সমর্থনের পাল্লা কিয়েভের দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়ছিল। এমনকি জাতিসংঘে জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প প্রায় অসম্ভব এক কথাও বলেন- ইউক্রেন হয়তো দখল হয়ে যাওয়া ভূমি ফেরত পেতেও পারে। অথচ সবশেষ বৈঠকে আবারও হতাশ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আবারও পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আয়োজিত বৈঠকের এসব তথ্য রোববার প্রথম প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। বৈঠকের বিষয়ে অবগত দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আলোচনার সময় পরিবেশ যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল বৈঠকের ফলাফল নিয়ে বেশ হতাশ ছিল।
তারা আরও বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘ভূখণ্ড বিনিময়’ ধারণা আবারও উত্থাপন করেন— যা ট্রাম্প আগেও সমর্থন করেছিলেন। দ্রুত একটি সমঝোতা প্রয়োজন। এক কর্মকর্তার দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না করলে ইউক্রেন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তার এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন অন্যজন। প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয়, ইউক্রেনের উচিত তাদের ফ্রন্টলাইনে থেমে যাওয়া। এখন আলোচনায় একজন বলবে আমি এটা চাই, আরেকজন বলবে ওটা চাই— এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
রয়টার্সের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউক্রেনকে পুরো ডনবাস ছাড়ার কথা তিনি বলেননি।
এখন যেভাবে বিভক্ত আছে, সেভাবেই থাকার পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৭৮ শতাংশ অঞ্চল এখন রাশিয়ার দখলে। পরে আলোচনা হতে পারে। হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর থেকেই তড়িঘড়ি ইউক্রেন সংকটের সমাধান চাইছিলেন ট্রাম্প। তার হুড়োহুড়িতে কিয়েভকে মস্কোর কাছে প্রায় বিকিয়ে দেওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের মিত্ররা। তবে বিগত কয়েক সপ্তাহে তার সমর্থনের পাল্লা কিয়েভের দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়ছিল। এমনকি জাতিসংঘে জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প প্রায় অসম্ভব এক কথাও বলেন- ইউক্রেন হয়তো দখল হয়ে যাওয়া ভূমি ফেরত পেতেও পারে। অথচ সবশেষ বৈঠকে আবারও হতাশ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।