ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
১৮ অক্টোবর ইরানের জন্য ছিল এক বিশেষ দিন। এ দিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ রাখা নিয়ে তাদের যে চুক্তি হয়েছিল, সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ চুক্তি হালনাগাদ না হওয়ায় দেশটি এখন কোনো সীমাবদ্ধতার গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়। ইরান দিনটিকে ‘অবসানের দিন’ বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, ইরানের এ ‘অবসান’ বা সীমাবদ্ধতামুক্ত হওয়া নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলো কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
কার্যত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েল বরাবরই সরব। তারাই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশকে এ নিয়ে চাপ দিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয় প্রভাবশালী দেশ জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) সই করে। পরে ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সে জন্য পরমাণু সমৃদ্ধকরণের একটি সীমা টেনে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সমৃদ্ধকরণ যন্ত্র সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনার শর্তও ছিল।
চুক্তি অনুযায়ী, পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমোদন ছিল আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন বা আইএইএর।
জেসিপিওএর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ইরান আর এসব শর্তের কোনোটিই মেনে চলবে না। সহজ কথায়, ইরান অবাধে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারবে। সেই সঙ্গে পরমাণু সমৃদ্ধকরণের সীমাও থাকছে না, যা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরিরও সুযোগ করে দিতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত ইরান বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার নিউজ এইটটিন জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমাবদ্ধকরণ ও এ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়সহ চুক্তির সব ধরনের বাধা সরে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জাতিসংঘর কাছে বলেন, তাঁর দেশ জেসিপিওএ চুক্তি বিশ্বস্ততার সঙ্গেই মেনে চলছিল; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে। চলতি বছরের ১৩ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধের কেন্দ্রে ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু সীমাবদ্ধকরণ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইরানজুড়ে হামলা চালিয়ে বসে ইসরায়েল। ক্রেমলিন সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
১৮ অক্টোবর ইরানের জন্য ছিল এক বিশেষ দিন। এ দিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ রাখা নিয়ে তাদের যে চুক্তি হয়েছিল, সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ চুক্তি হালনাগাদ না হওয়ায় দেশটি এখন কোনো সীমাবদ্ধতার গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়। ইরান দিনটিকে ‘অবসানের দিন’ বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, ইরানের এ ‘অবসান’ বা সীমাবদ্ধতামুক্ত হওয়া নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলো কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
কার্যত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েল বরাবরই সরব। তারাই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশকে এ নিয়ে চাপ দিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয় প্রভাবশালী দেশ জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) সই করে। পরে ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সে জন্য পরমাণু সমৃদ্ধকরণের একটি সীমা টেনে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সমৃদ্ধকরণ যন্ত্র সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনার শর্তও ছিল।
চুক্তি অনুযায়ী, পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমোদন ছিল আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন বা আইএইএর।
জেসিপিওএর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ইরান আর এসব শর্তের কোনোটিই মেনে চলবে না। সহজ কথায়, ইরান অবাধে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারবে। সেই সঙ্গে পরমাণু সমৃদ্ধকরণের সীমাও থাকছে না, যা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরিরও সুযোগ করে দিতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত ইরান বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার নিউজ এইটটিন জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমাবদ্ধকরণ ও এ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়সহ চুক্তির সব ধরনের বাধা সরে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জাতিসংঘর কাছে বলেন, তাঁর দেশ জেসিপিওএ চুক্তি বিশ্বস্ততার সঙ্গেই মেনে চলছিল; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে। চলতি বছরের ১৩ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধের কেন্দ্রে ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু সীমাবদ্ধকরণ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইরানজুড়ে হামলা চালিয়ে বসে ইসরায়েল। ক্রেমলিন সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।