গাজার ৫৮ শতাংশ এলাকা এখনও ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে -রয়টাস
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখন ভিন্ন এক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপত্যকার বাসিন্দারা। এখনও ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষ খাবারের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্ষুধা নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে শিশুদের। প্রতিদিন ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত বোমার আকষ্মিক বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। টানা দুই বছরের ইসরায়েলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষ ও ত্রাণকর্মীরা ফিরতে শুরু করায় এই হুমকি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
গাজায় অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের মারাত্মক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস)। দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইউএনএমএএস-এর প্রধান লুক ডেভিড আর্ভিং বলেন, মানুষ ও মানবিক সহায়তাকর্মীরা যখন এসব এলাকায় চলাচল শুরু করেছে, তখন বিস্ফোরণের ঝুঁকি ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। অন্য সংঘাতের মতোই গাজাতেও যুদ্ধ শেষ হলেও এসব বোমা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করে যাচ্ছে।
আর্ভিং আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির ফলে আমরা যত বেশি এলাকায় প্রবেশ করতে পারছি ততই আরও বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পর গত সপ্তাহে অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু আহত হয়েছে, যার মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এমন তথ্য দিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি এমন শত শত ঘটনার একটি উদাহরণ যেখানে শিশু ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বা আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।
ইউএনএমএএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ৩২৮টি ঘটনায় মানুষ অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণের কারণে নিহত বা আহত হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সংস্থাটি গাজার প্রবেশযোগ্য এলাকাগুলোতে ৫৬০টি অবিস্ফোরিত বোমা শনাক্ত করেছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ জরিপ না হওয়া পর্যন্ত এর প্রকৃত পরিমাণ জানা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
যাতে মানবিক সহায়তা নির্বিঘে্ন পৌঁছানো যায় তাই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো যেমন রাস্তা, হাসপাতাল, পানি সরবরাহ কেন্দ্র, বেকারি ও কৃষি এলাকা পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, অক্টোবর ১০ তারিখে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবার পর থেকে ইউএনএমএএস প্রতিদিন গড়ে ১০টি করে বিস্ফোরক অপসারণের জন্য ডাক পাচ্ছে। বাসিন্দারা যখন ধ্বংসস্তূপে ফিরে নিজেদের সামান্য সম্পদ উদ্ধার করতে বা শিশুরা বাইরে খেলতে বের হচ্ছে, তখনও এই বোমা বিস্ফোরণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ত্রাণকর্মীরাও এই বিপদের মুখে কাজ করছেন।
ইউএনএমএএস এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৪৬০,০০০ মানুষকে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেছে। সংস্থাটি ৪ লক্ষাধিক প্রচারপত্র, স্টিকার ও শিক্ষামূলক সামগ্রী বিতরণ করেছে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অভিযানে ৬৮ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে, এদিকে যুদ্ধবিরতি যাতে ভেস্তে না যায়, সে জন্য মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগের দিন ইসরায়েলে আসেন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনা।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুটি পৃথক হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পূর্ব গাজা শহরের তুফাহ পাড়ার পূর্বে আল-শাফ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ছোড়ে। বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরে ফিরছিল। গত দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৮ হাজার ২২৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজার ৩৬১ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২২ হাজার ফিলিস্তিনি চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। সোমবার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে। ফলে যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে না– এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ফিলিস্তিনিদের মনে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি অবশ্যই বজায় রাখা উচিত।
গাজার হলুদ রেখা বলতে ট্রাম্পের শেয়ার করা যুদ্ধবিরতি মানচিত্রে আঁকা একটি সীমানাকে বোঝায়, যেখানে হলুদ রঙে চিহ্নিত ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সীমানা দেখানো হয়েছে।
মানচিত্র অনুযায়ী, হলুদ রেখার ভেতরের এলাকাটি প্রায় ১৫৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। হলুদ রেখা চিহ্নিত করার জন্য সাইনবোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে। দখলদার বাহিনী সতর্কতা দিয়েছে, হলুদ রেখা অতিক্রমকারী যে কেউ হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে। হলুদ রেখা কার্যকর করার পর থেকে গাজার পূর্বাঞ্চল থেকে বহু ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সীমানার মধ্যে প্রবেশ করলেই গুলি করছে দখলদার সেনারা।
ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল: গত রোববার ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্যের চালান বন্ধ করার হুমকি দেয়। যদিও তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ফের শুরু হয়েছে এবং সোমবার থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ত্রাণ সরবরাহ ফের শুরু হয়েছে। তবে ত্রাণের পরিমাণ স্পষ্ট করা হয়। আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েল এখনও গাজায় সাহায্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি সামরিক চেকপয়েন্টে ত্রাণবাহী ট্রাক থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ছয় হাজার ৬০০ ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৯৮৬টি ত্রাণ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।
গাজার ৫৮ শতাংশ এলাকা এখনও ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে -রয়টাস
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখন ভিন্ন এক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপত্যকার বাসিন্দারা। এখনও ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষ খাবারের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্ষুধা নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে শিশুদের। প্রতিদিন ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত বোমার আকষ্মিক বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। টানা দুই বছরের ইসরায়েলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষ ও ত্রাণকর্মীরা ফিরতে শুরু করায় এই হুমকি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
গাজায় অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের মারাত্মক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস)। দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইউএনএমএএস-এর প্রধান লুক ডেভিড আর্ভিং বলেন, মানুষ ও মানবিক সহায়তাকর্মীরা যখন এসব এলাকায় চলাচল শুরু করেছে, তখন বিস্ফোরণের ঝুঁকি ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। অন্য সংঘাতের মতোই গাজাতেও যুদ্ধ শেষ হলেও এসব বোমা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করে যাচ্ছে।
আর্ভিং আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির ফলে আমরা যত বেশি এলাকায় প্রবেশ করতে পারছি ততই আরও বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পর গত সপ্তাহে অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশু আহত হয়েছে, যার মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এমন তথ্য দিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি এমন শত শত ঘটনার একটি উদাহরণ যেখানে শিশু ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বা আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।
ইউএনএমএএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ৩২৮টি ঘটনায় মানুষ অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণের কারণে নিহত বা আহত হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সংস্থাটি গাজার প্রবেশযোগ্য এলাকাগুলোতে ৫৬০টি অবিস্ফোরিত বোমা শনাক্ত করেছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ জরিপ না হওয়া পর্যন্ত এর প্রকৃত পরিমাণ জানা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।
যাতে মানবিক সহায়তা নির্বিঘে্ন পৌঁছানো যায় তাই সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো যেমন রাস্তা, হাসপাতাল, পানি সরবরাহ কেন্দ্র, বেকারি ও কৃষি এলাকা পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, অক্টোবর ১০ তারিখে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবার পর থেকে ইউএনএমএএস প্রতিদিন গড়ে ১০টি করে বিস্ফোরক অপসারণের জন্য ডাক পাচ্ছে। বাসিন্দারা যখন ধ্বংসস্তূপে ফিরে নিজেদের সামান্য সম্পদ উদ্ধার করতে বা শিশুরা বাইরে খেলতে বের হচ্ছে, তখনও এই বোমা বিস্ফোরণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ত্রাণকর্মীরাও এই বিপদের মুখে কাজ করছেন।
ইউএনএমএএস এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৪৬০,০০০ মানুষকে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেছে। সংস্থাটি ৪ লক্ষাধিক প্রচারপত্র, স্টিকার ও শিক্ষামূলক সামগ্রী বিতরণ করেছে। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অভিযানে ৬৮ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে, এদিকে যুদ্ধবিরতি যাতে ভেস্তে না যায়, সে জন্য মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগের দিন ইসরায়েলে আসেন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনা।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুটি পৃথক হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পূর্ব গাজা শহরের তুফাহ পাড়ার পূর্বে আল-শাফ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি ছোড়ে। বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরে ফিরছিল। গত দুই বছরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৮ হাজার ২২৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজার ৩৬১ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২২ হাজার ফিলিস্তিনি চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। সোমবার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে। ফলে যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে না– এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ফিলিস্তিনিদের মনে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি অবশ্যই বজায় রাখা উচিত।
গাজার হলুদ রেখা বলতে ট্রাম্পের শেয়ার করা যুদ্ধবিরতি মানচিত্রে আঁকা একটি সীমানাকে বোঝায়, যেখানে হলুদ রঙে চিহ্নিত ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সীমানা দেখানো হয়েছে।
মানচিত্র অনুযায়ী, হলুদ রেখার ভেতরের এলাকাটি প্রায় ১৫৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। হলুদ রেখা চিহ্নিত করার জন্য সাইনবোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে। দখলদার বাহিনী সতর্কতা দিয়েছে, হলুদ রেখা অতিক্রমকারী যে কেউ হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে। হলুদ রেখা কার্যকর করার পর থেকে গাজার পূর্বাঞ্চল থেকে বহু ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সীমানার মধ্যে প্রবেশ করলেই গুলি করছে দখলদার সেনারা।
ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল: গত রোববার ইসরায়েল গাজায় মানবিক সাহায্যের চালান বন্ধ করার হুমকি দেয়। যদিও তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ফের শুরু হয়েছে এবং সোমবার থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পারছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ত্রাণ সরবরাহ ফের শুরু হয়েছে। তবে ত্রাণের পরিমাণ স্পষ্ট করা হয়। আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েল এখনও গাজায় সাহায্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি সামরিক চেকপয়েন্টে ত্রাণবাহী ট্রাক থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ছয় হাজার ৬০০ ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৯৮৬টি ত্রাণ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।