আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ সমর্থন জানানো হয়। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখসারি বরাবর সংঘাত থামানোকে ভিত্তি ধরে ওই শান্তি আলোচনা করা হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তিনি। গত সপ্তাহেও মস্কো ও কিয়েভকে আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনারা যেখানে আছেন, সে বরাবর তাঁদের লড়াই বন্ধ করতে হবে।
আজ প্রকাশিত বিবৃতিতে সই করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান আন্তোনিও কস্তা ও উরসুলা ভর ডার লিয়েন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থানকে সমর্থন করছি। এতে তিনি অবিলম্বে লড়াই থামানোর কথা বলেছেন। আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে দুই পক্ষের লড়াইয়ের সম্মুখসারি হবে আলোচনার কেন্দ্র। আমরা এই নীতিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব যে শক্তি খাটিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পরিবর্তন করা যাবে না।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আগামী কিছু দিনের মধ্যে কোনও বৈঠকের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে তিনি ও পুতিন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন। তবে সোমবার হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে এমন কোনও বৈঠকের প্রস্তুতি বা সময়সূচি নেই।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ইতোমধ্যে ফলপ্রসু ফোনালাপ হয়েছে।
ফলে সরাসরি সাক্ষাৎ প্রয়োজনীয় নয় বলে মনে করা হয়েছে।
তবে বৈঠক স্থগিতের কারণ নিয়ে হোয়াইট হাউজ আর কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। এর আগে সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেনের বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেছিলেন, যেমনভাবে রেখাটি এখন আছে, সেভাবেই থাকুক। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল ঘিরেই এই মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু রাশিয়া এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ মঙ্গলবার বলেন, মস্কো শুধু দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তিতে আগ্রহী। বর্তমান ফ্রন্টলাইন বজায় রাখার অর্থ হবে কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ সমর্থন জানানো হয়। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখসারি বরাবর সংঘাত থামানোকে ভিত্তি ধরে ওই শান্তি আলোচনা করা হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তিনি। গত সপ্তাহেও মস্কো ও কিয়েভকে আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনারা যেখানে আছেন, সে বরাবর তাঁদের লড়াই বন্ধ করতে হবে।
আজ প্রকাশিত বিবৃতিতে সই করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান আন্তোনিও কস্তা ও উরসুলা ভর ডার লিয়েন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থানকে সমর্থন করছি। এতে তিনি অবিলম্বে লড়াই থামানোর কথা বলেছেন। আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে দুই পক্ষের লড়াইয়ের সম্মুখসারি হবে আলোচনার কেন্দ্র। আমরা এই নীতিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব যে শক্তি খাটিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পরিবর্তন করা যাবে না।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আগামী কিছু দিনের মধ্যে কোনও বৈঠকের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে তিনি ও পুতিন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন। তবে সোমবার হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে এমন কোনও বৈঠকের প্রস্তুতি বা সময়সূচি নেই।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ইতোমধ্যে ফলপ্রসু ফোনালাপ হয়েছে।
ফলে সরাসরি সাক্ষাৎ প্রয়োজনীয় নয় বলে মনে করা হয়েছে।
তবে বৈঠক স্থগিতের কারণ নিয়ে হোয়াইট হাউজ আর কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। এর আগে সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেনের বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেছিলেন, যেমনভাবে রেখাটি এখন আছে, সেভাবেই থাকুক। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল ঘিরেই এই মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু রাশিয়া এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ মঙ্গলবার বলেন, মস্কো শুধু দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তিতে আগ্রহী। বর্তমান ফ্রন্টলাইন বজায় রাখার অর্থ হবে কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।