ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুধুমাত্র ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি উচ্চারণ করলেই তা ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে না বলে রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনো প্রমাণ ছাড়া এমন অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার ধর্ষণ বা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের মামলা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ১৭ অক্টোবরের এই রায়ে এক ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছেন, যিনি এর আগে ১০ বছরের সাজা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালের মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে অভিযুক্ত এক আত্মীয় এক ১৬ বছরের কিশোরীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ এক বছর ‘শারীরিক সম্পর্ক’ স্থাপন করেছিল।
আদালতের সামনে আসা প্রমাণে দেখা যায়, কিশোরী ও তার বাবা-মা কেবল ‘শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সেই সম্পর্কের প্রকৃতি বা তার অর্থ কী, তা ব্যাখ্যা করেননি। আদালত পর্যবেক্ষণ করে বলেছে, ‘এভাবে অস্পষ্টভাবে বলা ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি আইনগতভাবে ধর্ষণ প্রমাণের মানদণ্ডে পড়ে না।’
আদালতের মতে, প্রসিকিউশন বা নিম্ন আদালত কেউই কিশোরীকে প্রশ্ন করেনি যে সে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে, তাই অপরাধের মূল উপাদান প্রমাণ হয়নি। বিচারপতি ওহরি আরও বলেন, ‘শিশু সাক্ষীর বক্তব্য যদি অসম্পূর্ণ হয়, আদালতের দায়িত্ব থাকে প্রশ্ন করে সেটি পরিষ্কার করা।
আদালত কোনো অবস্থাতেই নির্বিকার থাকতে পারে না।’ ফরেনসিক রিপোর্ট বা চিকিৎসা প্রমাণের অভাবে আদালত মন্তব্য করে যে, পুরো মামলাটি কেবল মৌখিক সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করেছে।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটি ভারতীয় দণ্ডবিধি বা পকসো আইনে কোথাও সংজ্ঞায়িত নয়, তাই এর অর্থ নির্ভর করে সাক্ষীর বক্তব্যের ওপর, যা এই মামলায় ব্যাখ্যা করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, আবেগ বা সহানুভূতি নয়, বিচার হয় প্রমাণের ভিত্তিতে, আর প্রমাণ না থাকলে দণ্ড টেকসই নয়।
এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে— ভবিষ্যতে শিশু সাক্ষীর ক্ষেত্রে আদালতকে আরও সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, যাতে সত্য উদঘাটন হয়। আইনজীবীরা বলছেন, এই রায় যৌন অপরাধ মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড নতুনভাবে নির্ধারণ করবে এবং সমাজে প্রচলিত ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দের ব্যবহারের আইনগত ব্যাখ্যা যে ভিন্ন, এটিই রায়ের মূল বার্তা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
শুধুমাত্র ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি উচ্চারণ করলেই তা ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে না বলে রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনো প্রমাণ ছাড়া এমন অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার ধর্ষণ বা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের মামলা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ১৭ অক্টোবরের এই রায়ে এক ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছেন, যিনি এর আগে ১০ বছরের সাজা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালের মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে অভিযুক্ত এক আত্মীয় এক ১৬ বছরের কিশোরীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ এক বছর ‘শারীরিক সম্পর্ক’ স্থাপন করেছিল।
আদালতের সামনে আসা প্রমাণে দেখা যায়, কিশোরী ও তার বাবা-মা কেবল ‘শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সেই সম্পর্কের প্রকৃতি বা তার অর্থ কী, তা ব্যাখ্যা করেননি। আদালত পর্যবেক্ষণ করে বলেছে, ‘এভাবে অস্পষ্টভাবে বলা ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি আইনগতভাবে ধর্ষণ প্রমাণের মানদণ্ডে পড়ে না।’
আদালতের মতে, প্রসিকিউশন বা নিম্ন আদালত কেউই কিশোরীকে প্রশ্ন করেনি যে সে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছে, তাই অপরাধের মূল উপাদান প্রমাণ হয়নি। বিচারপতি ওহরি আরও বলেন, ‘শিশু সাক্ষীর বক্তব্য যদি অসম্পূর্ণ হয়, আদালতের দায়িত্ব থাকে প্রশ্ন করে সেটি পরিষ্কার করা।
আদালত কোনো অবস্থাতেই নির্বিকার থাকতে পারে না।’ ফরেনসিক রিপোর্ট বা চিকিৎসা প্রমাণের অভাবে আদালত মন্তব্য করে যে, পুরো মামলাটি কেবল মৌখিক সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করেছে।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটি ভারতীয় দণ্ডবিধি বা পকসো আইনে কোথাও সংজ্ঞায়িত নয়, তাই এর অর্থ নির্ভর করে সাক্ষীর বক্তব্যের ওপর, যা এই মামলায় ব্যাখ্যা করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, আবেগ বা সহানুভূতি নয়, বিচার হয় প্রমাণের ভিত্তিতে, আর প্রমাণ না থাকলে দণ্ড টেকসই নয়।
এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে— ভবিষ্যতে শিশু সাক্ষীর ক্ষেত্রে আদালতকে আরও সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, যাতে সত্য উদঘাটন হয়। আইনজীবীরা বলছেন, এই রায় যৌন অপরাধ মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড নতুনভাবে নির্ধারণ করবে এবং সমাজে প্রচলিত ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দের ব্যবহারের আইনগত ব্যাখ্যা যে ভিন্ন, এটিই রায়ের মূল বার্তা।