alt

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

তহবিলের ঘাটতিজনিত কারণে ম্যালেরিয়াবিরোধী বৈশ্বিক অভিযান গতি হারিয়ে ফেলেছে। এই সংকট অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দেবে ম্যালেরিয়া।

ম্যালেরিয়া, এইডস এবং যক্ষা রোগের গবেষণা ও বিস্তাররোধে তহবিলদাতা আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফান্ড টু ফাইট এইডস, টিউবারকুলাসিস অ্যান্ড ম্যালেরিয়া-এর নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গতকাল বুধবারে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “বর্তমানে ম্যালেরিয়াবিরোধী বৈশ্বিক অভিযানে যে তহবিল সংকট চলছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এই রোগে মৃতদের সঙ্গে বাড়তি আরও ৯ লাখ ৯০ হাজার জন যুক্ত হবে এবং নতুন এই মৃতদের মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সংখ্যা থাকবে কমপক্ষে ৭ লাখ ৫০ হাজার।”

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দাতা দেশগুলো ম্যালেরিয়াবিরোধী অভিযানে অর্থ প্রদান অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলাফল আমরা চলতি বছরেই দেখতে পাচ্ছি। গত বছর বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় যত মৃত্যু হয়েছে, চলতি বছর মৃতদের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।”

“আমাকে যদি কেউ এখন জিজ্ঞেস করে, এইডস-যক্ষা-ম্যালেরিয়া— এই তিন রোগের মধ্যে বর্তমানে কোনটির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ; তাহলে আমি নির্দ্বিধায় ম্যালেরিয়ার নাম বলব।”

প্রসঙ্গত, ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ। প্লাজমোডিয়াম নামের একপ্রকার এককোষী পরজীবী প্রাণী এই রোগের জন্য দায়ী। তবে এই প্রাণীটি সরাসরি মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে না। শুধুমাত্র এনোফিলিস মশার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে প্লাজমোডিয়াম। এনোফিলিস মশা এই রোগের প্রধান এবং একমাত্র বাহক। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, কিছু সময় পর পর জ্বর ছেড়ে গিয়ে আবার ওঠা, ক্লান্তি, মাথাব্যাথা ও বমিবমি ভাব এই রোগের প্রধান উপসর্গ। দ্রুত চিকিৎসার আওতায় না আনা হলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু ঘটে।

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ছবি

‘শারীরিক সম্পর্ক’ মানেই ধর্ষণ নয়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়

ছবি

ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ‘বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের’ সমতুল্য: জাতিসংঘ

ছবি

আফগানিস্তানে ডায়রিয়ায় বছরে মৃত্যু ৯৭ হাজারের অধিক

ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের সায়

ছবি

যুদ্ধবিরতি হলেও ভিন্ন আতঙ্কে গাজার বাসিন্দারা

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩৫

ছবি

ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার কঠোর অবস্থান, অনিশ্চয়তায় ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক

ছবি

বিরল খনিজের সরবরাহে চীনা দাপট ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি

ছবি

শক্তিধরদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অবসানের পর ইরান এখন কী করবে

ছবি

ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের একাংশ

ছবি

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল, নাকি ভেস্তে গেছে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে তো?

ছবি

হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান

ছবি

ইইউ: ২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

বলিভিয়ায় দুই দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্ট মধ্যপন্থী পাজ

ছবি

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ছবি

ফের জেলেনস্কিকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

দোহায় আলোচনার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র হচ্ছে

ইসরায়েলের হামলা চলছেই, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি

ছবি

বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ, দুই দশকের বামপন্থি শাসনের অবসান

ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে সোনার ৯ আইটেম নিয়ে গেছে ডাকাতরা

ছবি

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে আসছে নতুন নিয়ম

ছবি

শিগরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে সৌদি, আশা ট্রাম্পের

ছবি

ফের বিমান হামলা করল পাকিস্তান, পাল্টা জবাব আফগানিস্তানের

tab

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

তহবিলের ঘাটতিজনিত কারণে ম্যালেরিয়াবিরোধী বৈশ্বিক অভিযান গতি হারিয়ে ফেলেছে। এই সংকট অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দেবে ম্যালেরিয়া।

ম্যালেরিয়া, এইডস এবং যক্ষা রোগের গবেষণা ও বিস্তাররোধে তহবিলদাতা আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফান্ড টু ফাইট এইডস, টিউবারকুলাসিস অ্যান্ড ম্যালেরিয়া-এর নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গতকাল বুধবারে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “বর্তমানে ম্যালেরিয়াবিরোধী বৈশ্বিক অভিযানে যে তহবিল সংকট চলছে, তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এই রোগে মৃতদের সঙ্গে বাড়তি আরও ৯ লাখ ৯০ হাজার জন যুক্ত হবে এবং নতুন এই মৃতদের মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সংখ্যা থাকবে কমপক্ষে ৭ লাখ ৫০ হাজার।”

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দাতা দেশগুলো ম্যালেরিয়াবিরোধী অভিযানে অর্থ প্রদান অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলাফল আমরা চলতি বছরেই দেখতে পাচ্ছি। গত বছর বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় যত মৃত্যু হয়েছে, চলতি বছর মৃতদের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।”

“আমাকে যদি কেউ এখন জিজ্ঞেস করে, এইডস-যক্ষা-ম্যালেরিয়া— এই তিন রোগের মধ্যে বর্তমানে কোনটির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ; তাহলে আমি নির্দ্বিধায় ম্যালেরিয়ার নাম বলব।”

প্রসঙ্গত, ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ। প্লাজমোডিয়াম নামের একপ্রকার এককোষী পরজীবী প্রাণী এই রোগের জন্য দায়ী। তবে এই প্রাণীটি সরাসরি মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে না। শুধুমাত্র এনোফিলিস মশার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে প্লাজমোডিয়াম। এনোফিলিস মশা এই রোগের প্রধান এবং একমাত্র বাহক। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, কিছু সময় পর পর জ্বর ছেড়ে গিয়ে আবার ওঠা, ক্লান্তি, মাথাব্যাথা ও বমিবমি ভাব এই রোগের প্রধান উপসর্গ। দ্রুত চিকিৎসার আওতায় না আনা হলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু ঘটে।

back to top