ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে অবস্থিত আসকার শিবিরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে আহত এক ফিলিস্তিনি তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ আহমেদ আবু হানিন ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আহত হয়েছিলেন।
ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল ভোরে পশ্চিম তীরের তুবাসের উত্তরে অবস্থিত আকাবা শহরেও অভিযান চালায় এবং হেবরন ও তাল শহরে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গত এক সপ্তাহে তারা দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে ৪৪ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের সবার নাম ইসরায়েলি বাহিনীর তালিকায় ছিল।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, অভিযানের সময় সেনারা অস্ত্র জব্দ করেছেন। আটক ফিলিস্তিনিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে হেবরনের আর-রিহিয়া এলাকায় ফুটবল খেলার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ১০ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল-হাল্লাক নিহত হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের পাঁচ ভাগের প্রায় এক ভাগই শিশু–কিশোর। এর মধ্যে ২০৬ জন ছেলে ও ৭ জন মেয়ে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত সাতজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও আছেন। একই সময় ইসরায়েলি হেফাজতে নিহত ফিলিস্তিনিদের এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, এর অংশ হিসেবে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অনেকের শরীরে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যেসব ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, তার অনেকগুলোই মারাত্মকভাবে বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বেশ কয়েকজনের দেহে নির্যাতন ও হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এদিকে দখলকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান চলার পাশাপাশি অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা রামাল্লার আশপাশে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। উদ্বেগজনক হারে ফিলিস্তিনিদের সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী বসতি স্থাপনকারীদের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ ভোরে পশ্চিম তীরের রামাল্লার পূর্বে দেইর দিবওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় ফিলিস্তিনিদের কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে।
জেরুজালেমের উত্তর–পশ্চিমে অবস্থিত বসতি স্থাপনকারীরা বেইত ইকসা গ্রামে ফিলিস্তিনি কৃষকদের ওপরও হামলা চালিয়েছেন।
গত রোববার পশ্চিম তীরের তুরমুস আয়া শহরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এক ফিলিস্তিনি নারীর ওপরও নৃশংস হামলা চালান। হামলায় ৫৩ বছর বয়সী আফাফ আবু আলিয়ার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে অবস্থিত আসকার শিবিরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে আহত এক ফিলিস্তিনি তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ আহমেদ আবু হানিন ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আহত হয়েছিলেন।
ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল ভোরে পশ্চিম তীরের তুবাসের উত্তরে অবস্থিত আকাবা শহরেও অভিযান চালায় এবং হেবরন ও তাল শহরে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গত এক সপ্তাহে তারা দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে ৪৪ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের সবার নাম ইসরায়েলি বাহিনীর তালিকায় ছিল।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, অভিযানের সময় সেনারা অস্ত্র জব্দ করেছেন। আটক ফিলিস্তিনিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে হেবরনের আর-রিহিয়া এলাকায় ফুটবল খেলার সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ১০ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল-হাল্লাক নিহত হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা ও বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের পাঁচ ভাগের প্রায় এক ভাগই শিশু–কিশোর। এর মধ্যে ২০৬ জন ছেলে ও ৭ জন মেয়ে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত সাতজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও আছেন। একই সময় ইসরায়েলি হেফাজতে নিহত ফিলিস্তিনিদের এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, এর অংশ হিসেবে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অনেকের শরীরে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যেসব ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, তার অনেকগুলোই মারাত্মকভাবে বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বেশ কয়েকজনের দেহে নির্যাতন ও হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এদিকে দখলকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান চলার পাশাপাশি অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা রামাল্লার আশপাশে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। উদ্বেগজনক হারে ফিলিস্তিনিদের সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী বসতি স্থাপনকারীদের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ ভোরে পশ্চিম তীরের রামাল্লার পূর্বে দেইর দিবওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় ফিলিস্তিনিদের কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে।
জেরুজালেমের উত্তর–পশ্চিমে অবস্থিত বসতি স্থাপনকারীরা বেইত ইকসা গ্রামে ফিলিস্তিনি কৃষকদের ওপরও হামলা চালিয়েছেন।
গত রোববার পশ্চিম তীরের তুরমুস আয়া শহরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এক ফিলিস্তিনি নারীর ওপরও নৃশংস হামলা চালান। হামলায় ৫৩ বছর বয়সী আফাফ আবু আলিয়ার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।