যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৮ হাজার ২২৯ প্যালেস্টাইনি নিহত ও ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন-এএফপি
বিধ্বস্ত গাজাকে যেন শ্বাস নেওয়ার অবকাশ দিয়েছে যুদ্ধবিরতি। তবু, জীবনে ফেরার রাস্তা কিছুতেই যেন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়। যুদ্ধ থামলেও তাই ঘরে ফেরার স্বপ্ন অধরাই থাকছে গাজার বহু মানুষের। কেননা চোখ রাঙাচ্ছে অদৃশ্য এক ‘ইয়োলো লাইন’।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, এই সীমানার ওপারে আছে ইসরায়েলের সেনা। এ পারে তথাকথিত ‘মুক্ত’ গাজা। তবে অনেকেরই ঘরবসত এই সীমানা পেরিয়ে। সেখানে ঘুরছে ইসরায়েলের সেনার সাঁজোয়া। একটু এদিক-ওদিক হলেই প্রাণ সংশয়। ভয় এড়িয়ে পালাতে পালাতে তাই ক্লান্ত গাজার মানুষ। গাজায় গত ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইসরায়েলের সৃষ্ট তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’।
এই নির্দিষ্ট সীমানা এখন ফিলিস্তিনিদের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে রেখার ভেতরে প্রবেশকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে দখলদার বাহিনী। গত সোমবার ও মঙ্গলবার গাজাজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে অন্তত ৭০ জনের মৃতদেহ আনা হয়েছে। বর্তমানে গাজার প্রায় ৫৮ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গাজার এই ‘হলুদ রেখা’ মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মানচিত্রে চিহ্নিত একটি সীমানা।
মানচিত্র অনুযায়ী, এটি প্রায় ১৫৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ইসরায়েলি বাহিনী সীমানা চিহ্নিত করতে সাইনবোর্ড বসাচ্ছে এবং সতর্কতা দিয়েছে যে কেউ এই রেখা অতিক্রম করলে তাকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ফলে গাজার পূর্বাঞ্চল থেকে বহু ফিলিস্তিনি ইতোমধ্যেই উচ্ছেদ হয়েছেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, সীমানার ভেতরে প্রবেশ করলেই দখলদার সেনারা গুলি চালাচ্ছে। অবিরাম সহিংসতা ও অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ত্রাণ সরবরাহও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, ফলে খাদ্যসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, শিশুদের অনেককে ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৬৮ হাজার ২২৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার আহত মানুষ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। এর মধ্যেই ইসরায়েল আবার গাজায় মানবিক ত্রাণচালান বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে। যদিও পরে কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তারা। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, ত্রাণ সরবরাহ আংশিকভাবে পুনরায় শুরু হয়েছে, তবে পরিমাণ উল্লেখযোগ্য নয়।
এখনও একাধিক সামরিক চেকপোস্টে ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে দেওয়া হচ্ছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ছয় হাজার ৬০০ ট্রাকের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন। ভ্যান্সের সঙ্গে রয়েছেন তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী উষা ভ্যান্স। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কাতারের সেনাবাহিনীও অংশ নেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তারা একসঙ্গে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের সঙ্গে এখন ৫৯টি দেশ যুক্ত রয়েছে। অনেক দেশই এতে স্বাক্ষর করেছে। এটি একটি স্থায়ী শান্তি হওয়া উচিত। এদিকে ইসরায়েলে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, গাজায় বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে জাতিসংঘের প্রস্তাব বা আন্তর্জাতিক অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। রুবিওর সঙ্গে আলোচনা শেষে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, শান্তিরক্ষী বাহিনী এমন দেশ দিয়েই গঠিত হবে, যাদের নিয়ে ইসরায়েল ‘স্বস্তি বোধ করে’।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত কয়েকশবার এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সকালে উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিকালেই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভূমধ্যসাগরের ঢেউ- দানব বাতাসের তা-বে দলবেঁধে আছড়ে পড়ছে সৈকতে, পরক্ষণেই আবার ফিরছে নিজ ঠিকানায়! একই দশা এখনও গাজাবাসীর। ছুটতে ছুটতে সবাই ক্লান্ত! বিরক্তি এসে গেছে জীবনের প্রতি! রুখে দাঁড়াচ্ছে অনেকেই আর স্থানচ্যুতি নয়! যাওয়ার জায়গাটাই বা আর কোথায় ঘুরেফিরে সেই তো গোলকধাঁধায় ফেরা।
ইসরায়েলের বর্বর সেনাদের নির্মম অত্যাচারে দৌড়াতে দৌড়াতে একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তারা। আদেশ না মানলে বোমার আঘাতে যেকোনো সময় ছিন্নভিন্ন হতে পারে দেহ।
তবুও বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরিবর্তে নিজের বাড়িতে থেকে ইসরাইলের আক্রমণের মুখোমুখি হওয়াকেই বেছে নিচ্ছেন গাজাবাসী। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৬৮ হাজার ২২৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
গাজার পর এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখলে নেমেছে বর্বর ইসরায়েল। এরই মধ্যে পশ্চিম তীরের দুটি ফিলিস্তিনি শহরকে ইসরায়েলের মানচিত্রে অন্তভূক্ত করে পার্লামেন্টে বিলও পাশ করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৮ হাজার ২২৯ প্যালেস্টাইনি নিহত ও ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন-এএফপি
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
বিধ্বস্ত গাজাকে যেন শ্বাস নেওয়ার অবকাশ দিয়েছে যুদ্ধবিরতি। তবু, জীবনে ফেরার রাস্তা কিছুতেই যেন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়। যুদ্ধ থামলেও তাই ঘরে ফেরার স্বপ্ন অধরাই থাকছে গাজার বহু মানুষের। কেননা চোখ রাঙাচ্ছে অদৃশ্য এক ‘ইয়োলো লাইন’।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, এই সীমানার ওপারে আছে ইসরায়েলের সেনা। এ পারে তথাকথিত ‘মুক্ত’ গাজা। তবে অনেকেরই ঘরবসত এই সীমানা পেরিয়ে। সেখানে ঘুরছে ইসরায়েলের সেনার সাঁজোয়া। একটু এদিক-ওদিক হলেই প্রাণ সংশয়। ভয় এড়িয়ে পালাতে পালাতে তাই ক্লান্ত গাজার মানুষ। গাজায় গত ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইসরায়েলের সৃষ্ট তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’।
এই নির্দিষ্ট সীমানা এখন ফিলিস্তিনিদের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে রেখার ভেতরে প্রবেশকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে দখলদার বাহিনী। গত সোমবার ও মঙ্গলবার গাজাজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে অন্তত ৭০ জনের মৃতদেহ আনা হয়েছে। বর্তমানে গাজার প্রায় ৫৮ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গাজার এই ‘হলুদ রেখা’ মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মানচিত্রে চিহ্নিত একটি সীমানা।
মানচিত্র অনুযায়ী, এটি প্রায় ১৫৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ইসরায়েলি বাহিনী সীমানা চিহ্নিত করতে সাইনবোর্ড বসাচ্ছে এবং সতর্কতা দিয়েছে যে কেউ এই রেখা অতিক্রম করলে তাকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ফলে গাজার পূর্বাঞ্চল থেকে বহু ফিলিস্তিনি ইতোমধ্যেই উচ্ছেদ হয়েছেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, সীমানার ভেতরে প্রবেশ করলেই দখলদার সেনারা গুলি চালাচ্ছে। অবিরাম সহিংসতা ও অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষ ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ত্রাণ সরবরাহও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি, ফলে খাদ্যসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, শিশুদের অনেককে ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে অন্তত ৬৮ হাজার ২২৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার আহত মানুষ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। এর মধ্যেই ইসরায়েল আবার গাজায় মানবিক ত্রাণচালান বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে। যদিও পরে কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তারা। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, ত্রাণ সরবরাহ আংশিকভাবে পুনরায় শুরু হয়েছে, তবে পরিমাণ উল্লেখযোগ্য নয়।
এখনও একাধিক সামরিক চেকপোস্টে ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে দেওয়া হচ্ছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ছয় হাজার ৬০০ ট্রাকের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন। ভ্যান্সের সঙ্গে রয়েছেন তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী উষা ভ্যান্স। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কাতারের সেনাবাহিনীও অংশ নেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তারা একসঙ্গে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমাদের সঙ্গে এখন ৫৯টি দেশ যুক্ত রয়েছে। অনেক দেশই এতে স্বাক্ষর করেছে। এটি একটি স্থায়ী শান্তি হওয়া উচিত। এদিকে ইসরায়েলে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, গাজায় বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে জাতিসংঘের প্রস্তাব বা আন্তর্জাতিক অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। রুবিওর সঙ্গে আলোচনা শেষে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, শান্তিরক্ষী বাহিনী এমন দেশ দিয়েই গঠিত হবে, যাদের নিয়ে ইসরায়েল ‘স্বস্তি বোধ করে’।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত কয়েকশবার এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। সকালে উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিকালেই আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভূমধ্যসাগরের ঢেউ- দানব বাতাসের তা-বে দলবেঁধে আছড়ে পড়ছে সৈকতে, পরক্ষণেই আবার ফিরছে নিজ ঠিকানায়! একই দশা এখনও গাজাবাসীর। ছুটতে ছুটতে সবাই ক্লান্ত! বিরক্তি এসে গেছে জীবনের প্রতি! রুখে দাঁড়াচ্ছে অনেকেই আর স্থানচ্যুতি নয়! যাওয়ার জায়গাটাই বা আর কোথায় ঘুরেফিরে সেই তো গোলকধাঁধায় ফেরা।
ইসরায়েলের বর্বর সেনাদের নির্মম অত্যাচারে দৌড়াতে দৌড়াতে একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তারা। আদেশ না মানলে বোমার আঘাতে যেকোনো সময় ছিন্নভিন্ন হতে পারে দেহ।
তবুও বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরিবর্তে নিজের বাড়িতে থেকে ইসরাইলের আক্রমণের মুখোমুখি হওয়াকেই বেছে নিচ্ছেন গাজাবাসী। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৬৮ হাজার ২২৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
গাজার পর এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখলে নেমেছে বর্বর ইসরায়েল। এরই মধ্যে পশ্চিম তীরের দুটি ফিলিস্তিনি শহরকে ইসরায়েলের মানচিত্রে অন্তভূক্ত করে পার্লামেন্টে বিলও পাশ করা হয়েছে।