প্রায় দুই দশক ধরে পাকিস্তানে দারিদ্র্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ২০০১-০২ অর্থবছরে পাকিস্তানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৬৪ শতাংশ। সেখান থেকে কমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২২ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু চলতি বছরে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তান এখন উল্টো পথে অর্থাৎ দারিদ্র্যের হার আবার বেড়েছে।
এই পরিস্থিতি হঠাৎ ধস নয়, বরং দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার ফল। ২০১৫ সালের পর থেকেই দারিদ্র্য হ্রাসের গতি কমে যাচ্ছিল, আর দুর্বল সেফটি নেট, মানবসম্পদের ঘাটতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মুদ্রাস্ফীতির মতো ধাক্কা পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তোলে। ২০১৮ সালের পর থেকে দারিদ্র্য বৃদ্ধির ধারা শুরু হয়।প্রতিবেদন অনুসারে, দারিদ্র্য কমার ৫৭ শতাংশ অংশই কৃষিবহির্ভূত আয়ের কারণে হয়েছিল যেমন শহরভিত্তিক অনানুষ্ঠানিক কাজ, সেবা খাত ও রেমিট্যান্স।
এসব খাত অস্থায়ী ছিল, তাই এটি স্থায়ী সুরক্ষা দিতে পারেনি। ফলে সামান্য ধাক্কাতেই লাখো মানুষ আবার দারিদ্র্যের ফাঁদে পড়ে গেছে। সর্বশেষ সংকট যেমন কভিড-১৯, মুদ্রাস্ফীতি ও ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যা এসব ঘটনাই শুধু পরিস্থিতি ত্বরান্বিত করেছে। আসল সমস্যা হলো, দুর্বল কাঠামো ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠী। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা রোধ করতে হলে দারিদ্র্যকে শুধু সাময়িক ধাক্কার ফল নয়, বরং ভঙ্গুর ব্যবস্থার স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে বুঝতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রায় দুই দশক ধরে পাকিস্তানে দারিদ্র্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ২০০১-০২ অর্থবছরে পাকিস্তানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৬৪ শতাংশ। সেখান থেকে কমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২২ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু চলতি বছরে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তান এখন উল্টো পথে অর্থাৎ দারিদ্র্যের হার আবার বেড়েছে।
এই পরিস্থিতি হঠাৎ ধস নয়, বরং দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার ফল। ২০১৫ সালের পর থেকেই দারিদ্র্য হ্রাসের গতি কমে যাচ্ছিল, আর দুর্বল সেফটি নেট, মানবসম্পদের ঘাটতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মুদ্রাস্ফীতির মতো ধাক্কা পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তোলে। ২০১৮ সালের পর থেকে দারিদ্র্য বৃদ্ধির ধারা শুরু হয়।প্রতিবেদন অনুসারে, দারিদ্র্য কমার ৫৭ শতাংশ অংশই কৃষিবহির্ভূত আয়ের কারণে হয়েছিল যেমন শহরভিত্তিক অনানুষ্ঠানিক কাজ, সেবা খাত ও রেমিট্যান্স।
এসব খাত অস্থায়ী ছিল, তাই এটি স্থায়ী সুরক্ষা দিতে পারেনি। ফলে সামান্য ধাক্কাতেই লাখো মানুষ আবার দারিদ্র্যের ফাঁদে পড়ে গেছে। সর্বশেষ সংকট যেমন কভিড-১৯, মুদ্রাস্ফীতি ও ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যা এসব ঘটনাই শুধু পরিস্থিতি ত্বরান্বিত করেছে। আসল সমস্যা হলো, দুর্বল কাঠামো ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠী। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা রোধ করতে হলে দারিদ্র্যকে শুধু সাময়িক ধাক্কার ফল নয়, বরং ভঙ্গুর ব্যবস্থার স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবে বুঝতে হবে।