alt

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই বর্তমানে হয় খাদ্য সংকটে ভুগছে, নয়তো ঋণের বোঝায় জর্জরিত। বিশেষ করে দারিদ্র্যপীড়িত পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে পাকিস্তান ও ইরান থেকে ফিরে আসা লাখো শরণার্থীর চাপ দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। শরণার্থী প্রত্যাবর্তন, বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশটি ক্রমেই এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার আগেই আফগানিস্তান অর্থসংকটে ছিল। দেশটির মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশই আসত বিদেশী ত্রাণ সহযোগিতা থেকে। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর সেই সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। অর্থের অভাবে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, পারিশ্রমিক দেওয়া যাচ্ছে না। কাজের অভাবে পথে বসেছেন লাখ লাখ আফগান, এবং অনাহার ও অপুষ্টির কারণে হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।

ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও ইরান এই বছর আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কারের প্রচেষ্টা জোরদার করায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক দেশে ফিরতে হয়েছে।

ফিরে আসা এই আফগানরা তীব্র অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এরইমধ্যে সহায়তা হ্রাস, নিষেধাজ্ঞা এবং আগস্ট মাসের ভয়াবহ ভূমিকম্প সহ বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান এই বিপুল সংখ্যক প্রত্যাবর্তনকারীদের জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ৪৮ হাজারের বেশি পরিবারের ওপর করা এক জরিপের ভিত্তিতে ইউএনডিপি এই তথ্য দিয়েছে।

জরিপে উঠে এসেছে, ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রত্যাবর্তনকারী পরিবার ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। অর্ধেকেরও বেশি পরিবার খাবারের টাকা জোগাড় করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা বাদ দিচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব পরিবারের গড় ঋণের পরিমাণ ৩৭৩ থেকে ৯০০ ডলার পর্যন্ত, অথচ এসব পরিবারের গড় মাসিক আয় মাত্র ১০০ ডলার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকাগুলোতে সম্পদের ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করেছে, যা দেশটির সামগ্রিক মানবিক সংকট আরও গভীর করছে।

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

ছবি

দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯ জন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি’ চায় ইরান

ছবি

জোহরান মামদানির কাজে কীভাবে ট্রাম্প বাগড়া দিতে পারেন

শুল্কের বিরোধীরা ‘মূর্খ’, রাজস্ব থেকে মার্কিনদের ২০০০ ডলার ‘লভ্যাংশ’ দেয়া হবে: ট্রাম্প

ছবি

বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি ট্রাম্পের, ক্ষমা চাইলেন সমির শাহ

ছবি

বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, নেতৃত্বহীন প্রতিষ্ঠান: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার

ছবি

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ সম্মাননা বাদশাহ আব্দুল আজিজ মেডেল পেলেন পাকিস্তানের শীর্ষ জেনারেল

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগ দেবে না

ছবি

সারকোজিকে মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ফরাসি আদালত

ছবি

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে নৌকাডুবিতে মৃত্যু বেড়ে ১১

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

ছবি

নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেইটে দূষণবিরোধী বিক্ষোভ, ডজনের বেশি আটক

ছবি

একুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গার মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু

ছবি

মামদানির নিউইয়র্ক পরিকল্পনায় বাদ সাধতে পারেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় মৃত্যু ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করলো হামাস

ছবি

পাকিস্তানে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল সিনেটে উপস্থাপন

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা বিরোধী জোটের

ছবি

লেবাননে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি

সিরিয়া- যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, ওয়াশিংটনে আল শারা

ছবি

তীব্র দূষণের ঝুঁকিতে গাজার জনস্বাস্থ্য

ছবি

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি ইংল্যান্ড

ছবি

মামদানির প্রচারকৌশলে এগোনোর চেষ্টা ট্রাম্পের

tab

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই বর্তমানে হয় খাদ্য সংকটে ভুগছে, নয়তো ঋণের বোঝায় জর্জরিত। বিশেষ করে দারিদ্র্যপীড়িত পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে পাকিস্তান ও ইরান থেকে ফিরে আসা লাখো শরণার্থীর চাপ দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। শরণার্থী প্রত্যাবর্তন, বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশটি ক্রমেই এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার আগেই আফগানিস্তান অর্থসংকটে ছিল। দেশটির মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশই আসত বিদেশী ত্রাণ সহযোগিতা থেকে। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর সেই সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। অর্থের অভাবে বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, পারিশ্রমিক দেওয়া যাচ্ছে না। কাজের অভাবে পথে বসেছেন লাখ লাখ আফগান, এবং অনাহার ও অপুষ্টির কারণে হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ শিশুর সংখ্যা বাড়ছে।

ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও ইরান এই বছর আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কারের প্রচেষ্টা জোরদার করায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক দেশে ফিরতে হয়েছে।

ফিরে আসা এই আফগানরা তীব্র অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এরইমধ্যে সহায়তা হ্রাস, নিষেধাজ্ঞা এবং আগস্ট মাসের ভয়াবহ ভূমিকম্প সহ বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান এই বিপুল সংখ্যক প্রত্যাবর্তনকারীদের জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ৪৮ হাজারের বেশি পরিবারের ওপর করা এক জরিপের ভিত্তিতে ইউএনডিপি এই তথ্য দিয়েছে।

জরিপে উঠে এসেছে, ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রত্যাবর্তনকারী পরিবার ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। অর্ধেকেরও বেশি পরিবার খাবারের টাকা জোগাড় করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা বাদ দিচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব পরিবারের গড় ঋণের পরিমাণ ৩৭৩ থেকে ৯০০ ডলার পর্যন্ত, অথচ এসব পরিবারের গড় মাসিক আয় মাত্র ১০০ ডলার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকাগুলোতে সম্পদের ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করেছে, যা দেশটির সামগ্রিক মানবিক সংকট আরও গভীর করছে।

back to top