alt

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিবিসি দুঃখ প্রকাশ করায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আর মামলার হুমকি দেবেন না—এমনটা যাঁরা ভেবেছিলেন, তাঁরা হয়তো ভুলের মধ্যে আছেন। বিবিসির সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক কেটি রাজালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মামলাবাজ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেন। বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পরদিন তিনি এ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্প যত মামলা করেছেন, তা থেকে সহজেই সামির শাহর বলা ‘মামলাবাজ’ কথার প্রমাণ পাওয়া যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জিবি নিউজকে ট্রাম্পের দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে বোঝা যায়, বিবিসি ‘বিভ্রান্তিকরভাবে’ তাঁর বক্তব্য সম্পাদনা করায় তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন।

বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্প যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন, সেটির পরিমাণও এখন বাড়িয়েছেন তিনি। এখন পরিস্থিতিটা এমন যে বিবিসি আদালতে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। যে সময়টাতে বিবিসিকে তাদের রয়েল চার্টার পরিবর্তনের দিকে শতভাগ মনোযোগ দেওয়া উচিত, সে সময়টাতে তাদের আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে। রয়েল চার্টার হলো বিবিসির সাংবিধানিক ভিত্তি। এ চার্টারের আওতায় বিবিসির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।

শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ১০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ চাওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছর লাইসেন্স ফি বাবদ বিবিসির বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৮০ কোটি পাউন্ড (৫০০ কোটি ডলার)। শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার মুখ থেকে বের হওয়া কথাগুলো তারা (বিবিসি) পরিবর্তন করেছে।’ বিবিসির প্যানোরমা অনুষ্ঠানে প্রচারিত তথ্যচিত্রে নিজের বক্তব্যের খ-িত অংশকে জোড়া দিয়ে কেন একেবারে ভিন্ন অর্থ তৈরি করা হলো, সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প। এটিকে অনিচ্ছাকৃত বলে বিবিসি যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা মানতে রাজি নন তিনি।

এখন বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের ট্রাম্পের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। তাঁর সঙ্গে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে হবে তাঁদের। এ লড়াই অত্যন্ত ব্যয়বহুলও হবে। শুধু লিগ্যাস ফি বাবদই প্রচুর খরচ হবে। বিবিসির ইতিহাসে এটি খুবই গুরুতর এক মুহূর্ত। কারণ, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যখন মানুষের আস্থা কমছে, তখন বিবিসি নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।

তাঁরা প্রতিষ্ঠানটিকে নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছিলেন।

কিন্তু এখন বিবিসিকে অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে। আর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তির সঙ্গে ব্যয়বহুল ও প্রকাশ্য লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এখন প্রশ্ন—এরপর কী: ট্রাম্প প্রথম বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলতে চায় না। বিবিসি কর্তৃপক্ষ মনে করে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানে যে ভুলভ্রান্তি ঘটেছে, তাতে ট্রাম্পের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিবিসি আরও বলেছে, অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হওয়ার পর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়নি। তাহলে এটা কীভাবে তাঁর ক্ষতি করল? কেটি রাজাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভেতর ও বাইরে অনেকে মনে করেন, লাইসেন্স ফি হিসেবে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করে ট্রাম্পের সঙ্গে মীমাংসা করাটা মোটেও মেনে নেওয়া যায় না।

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

ছবি

দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯ জন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি’ চায় ইরান

tab

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিবিসি দুঃখ প্রকাশ করায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আর মামলার হুমকি দেবেন না—এমনটা যাঁরা ভেবেছিলেন, তাঁরা হয়তো ভুলের মধ্যে আছেন। বিবিসির সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক কেটি রাজালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মামলাবাজ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেন। বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পরদিন তিনি এ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্প যত মামলা করেছেন, তা থেকে সহজেই সামির শাহর বলা ‘মামলাবাজ’ কথার প্রমাণ পাওয়া যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জিবি নিউজকে ট্রাম্পের দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে বোঝা যায়, বিবিসি ‘বিভ্রান্তিকরভাবে’ তাঁর বক্তব্য সম্পাদনা করায় তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন।

বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্প যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন, সেটির পরিমাণও এখন বাড়িয়েছেন তিনি। এখন পরিস্থিতিটা এমন যে বিবিসি আদালতে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। যে সময়টাতে বিবিসিকে তাদের রয়েল চার্টার পরিবর্তনের দিকে শতভাগ মনোযোগ দেওয়া উচিত, সে সময়টাতে তাদের আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে। রয়েল চার্টার হলো বিবিসির সাংবিধানিক ভিত্তি। এ চার্টারের আওতায় বিবিসির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।

শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ১০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ চাওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছর লাইসেন্স ফি বাবদ বিবিসির বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৮০ কোটি পাউন্ড (৫০০ কোটি ডলার)। শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার মুখ থেকে বের হওয়া কথাগুলো তারা (বিবিসি) পরিবর্তন করেছে।’ বিবিসির প্যানোরমা অনুষ্ঠানে প্রচারিত তথ্যচিত্রে নিজের বক্তব্যের খ-িত অংশকে জোড়া দিয়ে কেন একেবারে ভিন্ন অর্থ তৈরি করা হলো, সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প। এটিকে অনিচ্ছাকৃত বলে বিবিসি যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা মানতে রাজি নন তিনি।

এখন বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের ট্রাম্পের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। তাঁর সঙ্গে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে হবে তাঁদের। এ লড়াই অত্যন্ত ব্যয়বহুলও হবে। শুধু লিগ্যাস ফি বাবদই প্রচুর খরচ হবে। বিবিসির ইতিহাসে এটি খুবই গুরুতর এক মুহূর্ত। কারণ, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যখন মানুষের আস্থা কমছে, তখন বিবিসি নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।

তাঁরা প্রতিষ্ঠানটিকে নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছিলেন।

কিন্তু এখন বিবিসিকে অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছে। আর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তির সঙ্গে ব্যয়বহুল ও প্রকাশ্য লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এখন প্রশ্ন—এরপর কী: ট্রাম্প প্রথম বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলতে চায় না। বিবিসি কর্তৃপক্ষ মনে করে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানে যে ভুলভ্রান্তি ঘটেছে, তাতে ট্রাম্পের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিবিসি আরও বলেছে, অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হওয়ার পর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়নি। তাহলে এটা কীভাবে তাঁর ক্ষতি করল? কেটি রাজাল বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভেতর ও বাইরে অনেকে মনে করেন, লাইসেন্স ফি হিসেবে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করে ট্রাম্পের সঙ্গে মীমাংসা করাটা মোটেও মেনে নেওয়া যায় না।

back to top