যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শনিবার থেকে অভিযান শুরু করেছে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে অবৈধ অভিবাসন রোধে অভিযানের পরিধি আরও বিস্তৃত হলো।
ডিএইচএসের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, “আমেরিকানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জননিরাপত্তায় যেকোনো হুমকি দূর করতে আমরা শার্লটে আইন প্রয়োগ কার্যক্রম বাড়াচ্ছি।” তিনি আরও জানান, শহরে বহু মানুষ অবৈধ ভিনদেশি অপরাধীদের শিকার হচ্ছেন। তবে অভিযানটি কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, কতজন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন কিংবা কতজনকে আটক করা হয়েছে—এসব তথ্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রকাশ করেনি।
ফেডারেল সংস্থাটি নর্থ ক্যারোলাইনার স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বলেছে, রাজ্য সরকার ১,৪০০ সন্দেহভাজনকে ৪৮ ঘণ্টা আটক রাখার ফেডারেল আবেদনে সহযোগিতা করেনি। এ কারণেই শনিবার অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয় ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। তবে গভর্নরের দপ্তর কিংবা শার্লট-মেকলেনবার্গ কাউন্টি পুলিশ বিভাগ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে শার্লটের ডেমোক্র্যাট মেয়র ভি লাইলস এবং শহরের কমিশনাররা বাসিন্দাদেরকে স্থানীয় পুলিশ বিভাগে সহায়তা চাইতে আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ স্থানীয় পুলিশ ফেডারেল অভিযানে অংশ নিচ্ছে না। শহরের কর্মকর্তারা বলেন, অভিবাসনসংক্রান্ত আইনি সহায়তার জন্য বিভিন্ন সংগঠন প্রস্তুত রয়েছে। তারা জানান, অন্যান্য শহরে পূর্ববর্তী অভিযানে অপরাধের কোনো রেকর্ড ছাড়াই মানুষকে আটক করা হয়েছিল—এ কারণেই শার্লটে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
শহর প্রশাসন জানিয়েছে, এ সপ্তাহের শুরুতেই তাদেরকে জানানো হয়েছিল যে শনিবার থেকে ফেডারেল অভিযান শুরু হবে। এ পরিস্থিতি ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিবিদরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য আলমা অ্যাডামস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি শার্লটে সীমান্ত টহল ও আইসিই কর্মীদের আগমন নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লেখেন, “শার্লটের অভিবাসী সম্প্রদায় কুইন সিটির গর্বিত অংশ। আমি চুপ করে বসে থেকে আমার নির্বাচকমণ্ডলীদের ভীত হতে দিতে পারি না।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শনিবার থেকে অভিযান শুরু করেছে ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে অবৈধ অভিবাসন রোধে অভিযানের পরিধি আরও বিস্তৃত হলো।
ডিএইচএসের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, “আমেরিকানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জননিরাপত্তায় যেকোনো হুমকি দূর করতে আমরা শার্লটে আইন প্রয়োগ কার্যক্রম বাড়াচ্ছি।” তিনি আরও জানান, শহরে বহু মানুষ অবৈধ ভিনদেশি অপরাধীদের শিকার হচ্ছেন। তবে অভিযানটি কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, কতজন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন কিংবা কতজনকে আটক করা হয়েছে—এসব তথ্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রকাশ করেনি।
ফেডারেল সংস্থাটি নর্থ ক্যারোলাইনার স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বলেছে, রাজ্য সরকার ১,৪০০ সন্দেহভাজনকে ৪৮ ঘণ্টা আটক রাখার ফেডারেল আবেদনে সহযোগিতা করেনি। এ কারণেই শনিবার অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয় ফেডারেল কর্তৃপক্ষ। তবে গভর্নরের দপ্তর কিংবা শার্লট-মেকলেনবার্গ কাউন্টি পুলিশ বিভাগ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে শার্লটের ডেমোক্র্যাট মেয়র ভি লাইলস এবং শহরের কমিশনাররা বাসিন্দাদেরকে স্থানীয় পুলিশ বিভাগে সহায়তা চাইতে আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ স্থানীয় পুলিশ ফেডারেল অভিযানে অংশ নিচ্ছে না। শহরের কর্মকর্তারা বলেন, অভিবাসনসংক্রান্ত আইনি সহায়তার জন্য বিভিন্ন সংগঠন প্রস্তুত রয়েছে। তারা জানান, অন্যান্য শহরে পূর্ববর্তী অভিযানে অপরাধের কোনো রেকর্ড ছাড়াই মানুষকে আটক করা হয়েছিল—এ কারণেই শার্লটে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
শহর প্রশাসন জানিয়েছে, এ সপ্তাহের শুরুতেই তাদেরকে জানানো হয়েছিল যে শনিবার থেকে ফেডারেল অভিযান শুরু হবে। এ পরিস্থিতি ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিবিদরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য আলমা অ্যাডামস বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি শার্লটে সীমান্ত টহল ও আইসিই কর্মীদের আগমন নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লেখেন, “শার্লটের অভিবাসী সম্প্রদায় কুইন সিটির গর্বিত অংশ। আমি চুপ করে বসে থেকে আমার নির্বাচকমণ্ডলীদের ভীত হতে দিতে পারি না।”