alt

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচ দিয়ে তৈরি করা একটি সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসছেন ইসরায়েলি সেনারা -এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে এ উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাহর ‘ধ্বংসস্তূপের’ নিচে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।

যুদ্ধবিরতির প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও রাফাহর বিভিন্ন সুড়ঙ্গে আটকা পড়ে আছেন অনেক হামাস যোদ্ধা। সুড়ঙ্গের ভেতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা কক্ষে অবস্থান করছেন তাঁরা।

কোনোভাবেই যাতে গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙে না পড়ে, সে জন্য একটি স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু সুড়ঙ্গে আটকা পড়া হামাস যোদ্ধাদের বিষয়টি এ প্রচেষ্টাকে জটিলতার মুখে ঠেলে দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পর গাজা মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সদস্যদের সরে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সীমারেখা ‘ইয়েলো লাইন’–এর পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলো ইসরায়েলের দখলে। রাফাহও এ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। আর পশ্চিমে হামাস আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।

যুদ্ধবিরতির পর গাজা মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সদস্যদের প্রত্যাহারের জন্য নির্ধারিত সীমারেখা ‘ইয়েলো লাইন’–এর পূর্ব দিকের এলাকাগুলো এখনো ইসরায়েলের দখলে। রাফাহও এ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। আর পশ্চিমে হামাস আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।

গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অংশে আটকে থাকা প্রায় ২০০ হামাস যোদ্ধার ভবিষ্যৎ কী হবে—এ প্রশ্ন এখন আর শুধু সামরিক হিসাব-নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি পরিণত হয়েছে বহুমাত্রিক কূটনৈতিক সংকটে। এর সুস্পষ্ট কোনো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক মাস পরও সুড়ঙ্গের ছোট ছোট কক্ষের সঠিক সংখ্যা বা অবস্থান নির্ধারণ করা যায়নি। এ সময়ে হামাস যোদ্ধারা ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলো নিজেদের নিরাপদ ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন।

রাফাহতে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর গত ১৯ অক্টোবর ইসরায়েল সেখানে ভয়াবহ হামলা চালায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর ওই এলাকায় আরও এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায়। নিহত হন শতাধিক ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি সুড়ঙ্গগুলো থেকে হামাস যোদ্ধাদের বের হওয়ার কিংবা হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেবেন না। অন্যদিকে হামাস বলেছে, তাদের যোদ্ধারা কখনো আত্মসমর্পণ করবেন না কিংবা অস্ত্রও জমা দেবেন না।

দুই ইসরায়েলি সূত্র জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলকে কার্যকর সমাধানের দিকে এগোতে চাপ দিচ্ছে। মার্কিন দূত ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারও চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। একটি সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের দিকে এগোতে চায়।

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন, হামাসকে নিরস্ত্র করা ও আরও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি বিষয়েই একাধিক দেশের সঙ্গে বড় পরিসরে আলোচনা করা প্রয়োজন। গাজার সুড়ঙ্গে বেশ কিছু হামাস যোদ্ধার আটকে থাকার বিষয়টি এ জটিল কূটনৈতিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।

আরেকটি সূত্র বলেছে, একপর্যায়ে এ যোদ্ধাদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এমনটা ঘটেনি। নেতানিয়াহুর কার্যালয় রাফাহর ‘বন্দী’দের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্ন খবর বারবার অস্বীকার করেছে। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে বন্দী মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেননি। এ–সংক্রান্ত কোনো সমঝোতাও হয়নি।’

এর আগে ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের গাজা বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ শেহাদা বলেছিলেন, কোনো সমাধান না হওয়ায় সুড়ঙ্গের এ কক্ষগুলো বিস্ফোরণের অপেক্ষায় থাকা টাইম বোমায় পরিণত হয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও পানি নেই। ফলে তাঁদের জন্য মাত্র দুটি পথ খোলা আছে। হয় লড়াই করা, নয়তো আত্মসমর্পণ। হামাস যোদ্ধারা নিজেরাই জানেন না, সুড়ঙ্গগুলোয় এখন কতজন জীবিত আছেন।

বিষয়টি যুদ্ধবিরতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ সুড়ঙ্গ কক্ষগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক হামলার জন্য দায়ী।

প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল পাল্টা হামলা করেছে। ফলে দুবার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।

রাফাহতে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর গত ১৯ অক্টোবর ইসরায়েল সেখানে ভয়াবহ হামলা চালায়। এ হামলায় কমপক্ষে ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হন। প্রায় এক সপ্তাহ পর ওই এলাকায় আরও এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায়। নিহত হন শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ভূগর্ভস্থ এসব কক্ষে অভিযান চালাচ্ছে। গত বুধবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুবার আইডিএফ জানায়, তারা ‘ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ধ্বংসের’ অভিযানে গিয়ে ইসরায়েল-অধিকৃত এলাকায় ‘চারজন সশস্ত্র যোদ্ধাকে’ শনাক্ত করে ও গুলি চালায়।

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

tab

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচ দিয়ে তৈরি করা একটি সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসছেন ইসরায়েলি সেনারা -এএফপি

সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে এ উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাহর ‘ধ্বংসস্তূপের’ নিচে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।

যুদ্ধবিরতির প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও রাফাহর বিভিন্ন সুড়ঙ্গে আটকা পড়ে আছেন অনেক হামাস যোদ্ধা। সুড়ঙ্গের ভেতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা কক্ষে অবস্থান করছেন তাঁরা।

কোনোভাবেই যাতে গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙে না পড়ে, সে জন্য একটি স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু সুড়ঙ্গে আটকা পড়া হামাস যোদ্ধাদের বিষয়টি এ প্রচেষ্টাকে জটিলতার মুখে ঠেলে দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পর গাজা মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সদস্যদের সরে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সীমারেখা ‘ইয়েলো লাইন’–এর পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলো ইসরায়েলের দখলে। রাফাহও এ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। আর পশ্চিমে হামাস আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।

যুদ্ধবিরতির পর গাজা মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সদস্যদের প্রত্যাহারের জন্য নির্ধারিত সীমারেখা ‘ইয়েলো লাইন’–এর পূর্ব দিকের এলাকাগুলো এখনো ইসরায়েলের দখলে। রাফাহও এ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। আর পশ্চিমে হামাস আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।

গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অংশে আটকে থাকা প্রায় ২০০ হামাস যোদ্ধার ভবিষ্যৎ কী হবে—এ প্রশ্ন এখন আর শুধু সামরিক হিসাব-নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি পরিণত হয়েছে বহুমাত্রিক কূটনৈতিক সংকটে। এর সুস্পষ্ট কোনো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক মাস পরও সুড়ঙ্গের ছোট ছোট কক্ষের সঠিক সংখ্যা বা অবস্থান নির্ধারণ করা যায়নি। এ সময়ে হামাস যোদ্ধারা ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলো নিজেদের নিরাপদ ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন।

রাফাহতে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর গত ১৯ অক্টোবর ইসরায়েল সেখানে ভয়াবহ হামলা চালায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর ওই এলাকায় আরও এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায়। নিহত হন শতাধিক ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি সুড়ঙ্গগুলো থেকে হামাস যোদ্ধাদের বের হওয়ার কিংবা হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেবেন না। অন্যদিকে হামাস বলেছে, তাদের যোদ্ধারা কখনো আত্মসমর্পণ করবেন না কিংবা অস্ত্রও জমা দেবেন না।

দুই ইসরায়েলি সূত্র জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলকে কার্যকর সমাধানের দিকে এগোতে চাপ দিচ্ছে। মার্কিন দূত ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারও চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। একটি সূত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের দিকে এগোতে চায়।

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন, হামাসকে নিরস্ত্র করা ও আরও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি বিষয়েই একাধিক দেশের সঙ্গে বড় পরিসরে আলোচনা করা প্রয়োজন। গাজার সুড়ঙ্গে বেশ কিছু হামাস যোদ্ধার আটকে থাকার বিষয়টি এ জটিল কূটনৈতিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।

আরেকটি সূত্র বলেছে, একপর্যায়ে এ যোদ্ধাদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এমনটা ঘটেনি। নেতানিয়াহুর কার্যালয় রাফাহর ‘বন্দী’দের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্ন খবর বারবার অস্বীকার করেছে। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে বন্দী মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেননি। এ–সংক্রান্ত কোনো সমঝোতাও হয়নি।’

এর আগে ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের গাজা বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ শেহাদা বলেছিলেন, কোনো সমাধান না হওয়ায় সুড়ঙ্গের এ কক্ষগুলো বিস্ফোরণের অপেক্ষায় থাকা টাইম বোমায় পরিণত হয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও পানি নেই। ফলে তাঁদের জন্য মাত্র দুটি পথ খোলা আছে। হয় লড়াই করা, নয়তো আত্মসমর্পণ। হামাস যোদ্ধারা নিজেরাই জানেন না, সুড়ঙ্গগুলোয় এখন কতজন জীবিত আছেন।

বিষয়টি যুদ্ধবিরতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ সুড়ঙ্গ কক্ষগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক হামলার জন্য দায়ী।

প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল পাল্টা হামলা করেছে। ফলে দুবার যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।

রাফাহতে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর গত ১৯ অক্টোবর ইসরায়েল সেখানে ভয়াবহ হামলা চালায়। এ হামলায় কমপক্ষে ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হন। প্রায় এক সপ্তাহ পর ওই এলাকায় আরও এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায়। নিহত হন শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ভূগর্ভস্থ এসব কক্ষে অভিযান চালাচ্ছে। গত বুধবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুবার আইডিএফ জানায়, তারা ‘ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ধ্বংসের’ অভিযানে গিয়ে ইসরায়েল-অধিকৃত এলাকায় ‘চারজন সশস্ত্র যোদ্ধাকে’ শনাক্ত করে ও গুলি চালায়।

back to top