alt

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা কমানো, সামাজিক সহায়তা সীমিত করা এবং শরণার্থীদের স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিটের আবেদনের জন্য অপেক্ষার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সরকারের দাবি, অনিয়মিত অভিবাসন এখন দেশটিকে “বিভক্ত” করে ফেলেছে এবং ছোট নৌকায় আগমনের ঘটনা রোধ করতে বড় ধরনের সংস্কারই একমাত্র পথ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই সম্পূর্ণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের এই সংস্কারে শরণার্থীদের মর্যাদা অস্থায়ী করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশটিকে ‘নিরাপদ’ ধরা হলে তাদের “নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে” এমন বিধান যুক্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শরণার্থীর পরিস্থিতি প্রতি ৩০ মাসে একবার পুনর্বিবেচনা করা হবে।

স্থায়ী বসবাসের আবেদন করার অপেক্ষার সময় ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করা হচ্ছে। আর মূলত ডেনমার্কের অভিবাসন মডেল থেকে নেওয়া। এছাড়া আশ্রয় প্রত্যাখ্যানের পর আপিলের সুযোগও কমিয়ে আনা হবে। সরকার একইসঙ্গে “নতুন বৈধ অভিবাসন পথ” খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৯২ জন ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। যা ২০২৪ সালের চেয়ে বেশি। তাদের প্রায় সবাই-ই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেই আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

সামাজিক সহায়তা সীমিত করার প্রস্তাব: লেবার সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় সাপ্তাহিক আর্থিক সহায়তা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ভাতা ও আবাসনের ব্যবস্থা সরকারই করে থাকে। তবে বিপুল ব্যয়ে হোটেল ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। যারা কাজ করার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করেন না অথবা অপরাধে দণ্ডিত তাদের জন্য সামাজিক সহায়তা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হতে পারে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এর খবর অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যক্তিগত সম্পদ বা অর্থ থেকে তাদের আবাসনের খরচ আদায় করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে সরকারের অভিবাসন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালেক্স নরিস টাইমস রেডিওকে বলেন, “যাদের সম্পদ আছে, তাদের পক্ষে নিজেদের ব্যয়ের একটি অংশ বহন করা স্বাভাবিক।”

ছবি

ভারতীয়দের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করছে ইরান

ছবি

এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

ছবি

আফ্রিকার ৬ দেশে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

ছবি

তহবিল ঘাটতি, প্রকট হচ্ছে ক্ষুধা সংকট, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ছবি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে

ছবি

ভারতে ২৬টি হামলার নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিদমা অভিযানে নিহত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

tab

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা কমানো, সামাজিক সহায়তা সীমিত করা এবং শরণার্থীদের স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিটের আবেদনের জন্য অপেক্ষার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সরকারের দাবি, অনিয়মিত অভিবাসন এখন দেশটিকে “বিভক্ত” করে ফেলেছে এবং ছোট নৌকায় আগমনের ঘটনা রোধ করতে বড় ধরনের সংস্কারই একমাত্র পথ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই সম্পূর্ণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের এই সংস্কারে শরণার্থীদের মর্যাদা অস্থায়ী করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশটিকে ‘নিরাপদ’ ধরা হলে তাদের “নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে” এমন বিধান যুক্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শরণার্থীর পরিস্থিতি প্রতি ৩০ মাসে একবার পুনর্বিবেচনা করা হবে।

স্থায়ী বসবাসের আবেদন করার অপেক্ষার সময় ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করা হচ্ছে। আর মূলত ডেনমার্কের অভিবাসন মডেল থেকে নেওয়া। এছাড়া আশ্রয় প্রত্যাখ্যানের পর আপিলের সুযোগও কমিয়ে আনা হবে। সরকার একইসঙ্গে “নতুন বৈধ অভিবাসন পথ” খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৯২ জন ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। যা ২০২৪ সালের চেয়ে বেশি। তাদের প্রায় সবাই-ই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেই আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

সামাজিক সহায়তা সীমিত করার প্রস্তাব: লেবার সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় সাপ্তাহিক আর্থিক সহায়তা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ভাতা ও আবাসনের ব্যবস্থা সরকারই করে থাকে। তবে বিপুল ব্যয়ে হোটেল ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। যারা কাজ করার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করেন না অথবা অপরাধে দণ্ডিত তাদের জন্য সামাজিক সহায়তা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হতে পারে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এর খবর অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যক্তিগত সম্পদ বা অর্থ থেকে তাদের আবাসনের খরচ আদায় করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে সরকারের অভিবাসন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালেক্স নরিস টাইমস রেডিওকে বলেন, “যাদের সম্পদ আছে, তাদের পক্ষে নিজেদের ব্যয়ের একটি অংশ বহন করা স্বাভাবিক।”

back to top