ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা কমানো, সামাজিক সহায়তা সীমিত করা এবং শরণার্থীদের স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিটের আবেদনের জন্য অপেক্ষার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সরকারের দাবি, অনিয়মিত অভিবাসন এখন দেশটিকে “বিভক্ত” করে ফেলেছে এবং ছোট নৌকায় আগমনের ঘটনা রোধ করতে বড় ধরনের সংস্কারই একমাত্র পথ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই সম্পূর্ণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের এই সংস্কারে শরণার্থীদের মর্যাদা অস্থায়ী করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশটিকে ‘নিরাপদ’ ধরা হলে তাদের “নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে” এমন বিধান যুক্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শরণার্থীর পরিস্থিতি প্রতি ৩০ মাসে একবার পুনর্বিবেচনা করা হবে।
স্থায়ী বসবাসের আবেদন করার অপেক্ষার সময় ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করা হচ্ছে। আর মূলত ডেনমার্কের অভিবাসন মডেল থেকে নেওয়া। এছাড়া আশ্রয় প্রত্যাখ্যানের পর আপিলের সুযোগও কমিয়ে আনা হবে। সরকার একইসঙ্গে “নতুন বৈধ অভিবাসন পথ” খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৯২ জন ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। যা ২০২৪ সালের চেয়ে বেশি। তাদের প্রায় সবাই-ই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেই আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
সামাজিক সহায়তা সীমিত করার প্রস্তাব: লেবার সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় সাপ্তাহিক আর্থিক সহায়তা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ভাতা ও আবাসনের ব্যবস্থা সরকারই করে থাকে। তবে বিপুল ব্যয়ে হোটেল ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। যারা কাজ করার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করেন না অথবা অপরাধে দণ্ডিত তাদের জন্য সামাজিক সহায়তা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হতে পারে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এর খবর অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যক্তিগত সম্পদ বা অর্থ থেকে তাদের আবাসনের খরচ আদায় করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
তবে সরকারের অভিবাসন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালেক্স নরিস টাইমস রেডিওকে বলেন, “যাদের সম্পদ আছে, তাদের পক্ষে নিজেদের ব্যয়ের একটি অংশ বহন করা স্বাভাবিক।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা কমানো, সামাজিক সহায়তা সীমিত করা এবং শরণার্থীদের স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিটের আবেদনের জন্য অপেক্ষার সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করার বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সরকারের দাবি, অনিয়মিত অভিবাসন এখন দেশটিকে “বিভক্ত” করে ফেলেছে এবং ছোট নৌকায় আগমনের ঘটনা রোধ করতে বড় ধরনের সংস্কারই একমাত্র পথ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই সম্পূর্ণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের এই সংস্কারে শরণার্থীদের মর্যাদা অস্থায়ী করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশটিকে ‘নিরাপদ’ ধরা হলে তাদের “নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে” এমন বিধান যুক্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শরণার্থীর পরিস্থিতি প্রতি ৩০ মাসে একবার পুনর্বিবেচনা করা হবে।
স্থায়ী বসবাসের আবেদন করার অপেক্ষার সময় ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করা হচ্ছে। আর মূলত ডেনমার্কের অভিবাসন মডেল থেকে নেওয়া। এছাড়া আশ্রয় প্রত্যাখ্যানের পর আপিলের সুযোগও কমিয়ে আনা হবে। সরকার একইসঙ্গে “নতুন বৈধ অভিবাসন পথ” খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৯২ জন ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। যা ২০২৪ সালের চেয়ে বেশি। তাদের প্রায় সবাই-ই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেই আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
সামাজিক সহায়তা সীমিত করার প্রস্তাব: লেবার সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় সাপ্তাহিক আর্থিক সহায়তা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ভাতা ও আবাসনের ব্যবস্থা সরকারই করে থাকে। তবে বিপুল ব্যয়ে হোটেল ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। যারা কাজ করার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করেন না অথবা অপরাধে দণ্ডিত তাদের জন্য সামাজিক সহায়তা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হতে পারে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এর খবর অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যক্তিগত সম্পদ বা অর্থ থেকে তাদের আবাসনের খরচ আদায় করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
তবে সরকারের অভিবাসন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যালেক্স নরিস টাইমস রেডিওকে বলেন, “যাদের সম্পদ আছে, তাদের পক্ষে নিজেদের ব্যয়ের একটি অংশ বহন করা স্বাভাবিক।”