সৌদি আরবকে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের একজন হিসেবে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্মানে নৈশভোজে অতিথিদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ রাতে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর বাইরের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র (নন-ন্যাটো মেজর অ্যালাই) হিসেবে মনোনীত করে আমাদের সামরিক সহযোগিতাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছি, যা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ১৯টি দেশকে এ মর্যাদা দিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখনই আপনাদের প্রথমবারের মতো এ কথা বলছি। কারণ, তাঁরা চেয়েছিলেন, আজ রাতের জন্য বিষয়টা একটু গোপন রাখা হোক।’ শুধু গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণাই নয়; বরং ট্রাম্প চান, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে পরিষদ গঠিত হবে, তাতেও একজন হিসেবে কাজ করবেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি, যুবরাজ, আপনি ওই পরিষদে থাকবেন। আশা করি, আপনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই বলেছেন, তিনি ওই পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বুধবার, (১৯ নভেম্বর ২০২৫) হোয়াইট হাউসে দুই নেতার বৈঠকে সামরিক অস্ত্র চুক্তি, পারমাণবিক সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে যুবরাজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগ ৬০ হাজার কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ কোটি ডলার করা হচ্ছে। সৌদি আরবের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
ট্রাম্প ও বিন সালমান বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার একটি চুক্তিতেও চূড়ান্ত স্বাক্ষর করেছেন, যা দীর্ঘমেয়াদি পারমাণবিক শক্তি অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং ‘যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সৌদি আরবের নাগরিক পারমাণবিক সহযোগিতার প্রাধান্যপ্রাপ্ত অংশীদার হিসেবে নিশ্চিত করে।’ চুক্তি আরও বলেছে, ‘সব সহযোগিতা শক্তিশালী স্থিতিস্থাপক নীতি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব একটি আলাদা চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছে, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে এবং জাতীয় কৌশলগুলোকে সমন্বয় করে ‘গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলাকে বৈচিত্র্যময় করতে’ সহায়তা করবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করেছেন দুই নেতা। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ‘সৌদি আরব বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান সিস্টেমগুলোতে প্রবেশাধিকার পাবে, একই সঙ্গে বিদেশি প্রভাব থেকে মার্কিন প্রযুক্তি রক্ষা পাবে, যা নিশ্চিত করবে যে আমেরিকান উদ্ভাবকেরা বৈশ্বিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ গড়বে।’ চুক্তিগুলোর পূর্ণাঙ্গ কপি এখনো প্রকাশিত হয়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
সৌদি আরবকে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের একজন হিসেবে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্মানে নৈশভোজে অতিথিদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ রাতে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর বাইরের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র (নন-ন্যাটো মেজর অ্যালাই) হিসেবে মনোনীত করে আমাদের সামরিক সহযোগিতাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছি, যা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ১৯টি দেশকে এ মর্যাদা দিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখনই আপনাদের প্রথমবারের মতো এ কথা বলছি। কারণ, তাঁরা চেয়েছিলেন, আজ রাতের জন্য বিষয়টা একটু গোপন রাখা হোক।’ শুধু গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণাই নয়; বরং ট্রাম্প চান, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে পরিষদ গঠিত হবে, তাতেও একজন হিসেবে কাজ করবেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করি, যুবরাজ, আপনি ওই পরিষদে থাকবেন। আশা করি, আপনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই বলেছেন, তিনি ওই পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বুধবার, (১৯ নভেম্বর ২০২৫) হোয়াইট হাউসে দুই নেতার বৈঠকে সামরিক অস্ত্র চুক্তি, পারমাণবিক সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে যুবরাজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগ ৬০ হাজার কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ কোটি ডলার করা হচ্ছে। সৌদি আরবের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
ট্রাম্প ও বিন সালমান বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার একটি চুক্তিতেও চূড়ান্ত স্বাক্ষর করেছেন, যা দীর্ঘমেয়াদি পারমাণবিক শক্তি অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং ‘যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন কোম্পানিগুলোকে সৌদি আরবের নাগরিক পারমাণবিক সহযোগিতার প্রাধান্যপ্রাপ্ত অংশীদার হিসেবে নিশ্চিত করে।’ চুক্তি আরও বলেছে, ‘সব সহযোগিতা শক্তিশালী স্থিতিস্থাপক নীতি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব একটি আলাদা চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছে, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে এবং জাতীয় কৌশলগুলোকে সমন্বয় করে ‘গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলাকে বৈচিত্র্যময় করতে’ সহায়তা করবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করেছেন দুই নেতা। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ‘সৌদি আরব বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান সিস্টেমগুলোতে প্রবেশাধিকার পাবে, একই সঙ্গে বিদেশি প্রভাব থেকে মার্কিন প্রযুক্তি রক্ষা পাবে, যা নিশ্চিত করবে যে আমেরিকান উদ্ভাবকেরা বৈশ্বিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ গড়বে।’ চুক্তিগুলোর পূর্ণাঙ্গ কপি এখনো প্রকাশিত হয়নি।