পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিল শহরে রাতভর ভারি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে আবাসিক ভবনের দুটি ব্লকে আঘাত হানে এবং তিন শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়। ইউক্রেইন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, হামলায় আহত হয়েছে আরও প্রায় ৮০ জন। জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলার ফলে শীতের কড়াকড়ির মধ্যে অনেক অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী জানায়, রাশিয়া ৪৭৬টি ড্রোন এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। টার্নোপিলে আবাসিক ভবনের ওপর হামলায় উপরের তলাগুলো সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ভবন ভেদ করে বেরিয়ে আসা কালো ধোঁয়া আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ১০টি ছিল ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। রাজধানী কিইভের তুলনায় পোল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানে থাকলেও টার্নোপিল শহরটি এত বড় হামলার শিকার হয় খুব কমই।
হামলার স্যোশাল মিডিয়া ফুটেজে দেখা গেছে, টার্নোপিলের দিকে লক্ষ্য করে আকাশে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই হামলায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নেটো সদস্য দেশ পোল্যান্ডের সীমান্তের এত কাছে বড় ধরনের হামলার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে পোল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রজেসজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি পোলিশ ও নেটো যুদ্ধবিমান পূর্বসতর্কতামূলক টহল হিসেবে আকাশে চক্কর দেয়।
জেলেনস্কি বলেন, এই নির্বিচার হামলা প্রমাণ করে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ এখনও যথেষ্ট নয়। কার্যকর নিষেধাজ্ঞা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব। তিনি মিত্র দেশগুলোর কাছে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান। ইউক্রেইনের জ্বালানি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির সাতটি অঞ্চলের জ্বালানি স্থাপনা এই হামলার টার্গেট হয়েছে।
লিভিভে অবস্থানরত এক রয়টার্স সাংবাদিক জানান, শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আর কিইভের বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিল শহরে রাতভর ভারি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে আবাসিক ভবনের দুটি ব্লকে আঘাত হানে এবং তিন শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়। ইউক্রেইন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, হামলায় আহত হয়েছে আরও প্রায় ৮০ জন। জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলার ফলে শীতের কড়াকড়ির মধ্যে অনেক অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী জানায়, রাশিয়া ৪৭৬টি ড্রোন এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। টার্নোপিলে আবাসিক ভবনের ওপর হামলায় উপরের তলাগুলো সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ভবন ভেদ করে বেরিয়ে আসা কালো ধোঁয়া আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ১০টি ছিল ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। রাজধানী কিইভের তুলনায় পোল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানে থাকলেও টার্নোপিল শহরটি এত বড় হামলার শিকার হয় খুব কমই।
হামলার স্যোশাল মিডিয়া ফুটেজে দেখা গেছে, টার্নোপিলের দিকে লক্ষ্য করে আকাশে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই হামলায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নেটো সদস্য দেশ পোল্যান্ডের সীমান্তের এত কাছে বড় ধরনের হামলার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে পোল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রজেসজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি পোলিশ ও নেটো যুদ্ধবিমান পূর্বসতর্কতামূলক টহল হিসেবে আকাশে চক্কর দেয়।
জেলেনস্কি বলেন, এই নির্বিচার হামলা প্রমাণ করে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ এখনও যথেষ্ট নয়। কার্যকর নিষেধাজ্ঞা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব। তিনি মিত্র দেশগুলোর কাছে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান। ইউক্রেইনের জ্বালানি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির সাতটি অঞ্চলের জ্বালানি স্থাপনা এই হামলার টার্গেট হয়েছে।
লিভিভে অবস্থানরত এক রয়টার্স সাংবাদিক জানান, শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আর কিইভের বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন।