alt

লন্ডনে বিশাল আয়তনের দূতাবাস নির্মাণের অনুমোদন পাচ্ছে চীন

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

প্রবল বিতর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগ সত্ত্বেও ব্রিটেন সরকার লন্ডনের কেন্দ্রে চীনের জন্য একটি নতুন বিশাল আয়তনের দূতাবাস ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করতে চলেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়া না হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরকার যে পরামর্শ পেয়েছে, তাতে এই বিতর্কিত প্রকল্পের সবুজ সংকেত পাওয়ার পথ খুলে গেছে।

‘দ্য টাইমস’ পত্রিকায় এই অনুমোদনের খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ, তা নিয়ে জনপরিসরে চলমান বিতর্কের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে এটি। এই নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আবাসনমন্ত্রী স্টিভ রিডের হাতে। স্পর্শকাতরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এমআই ৫ এবং এমআই ৬-সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। বারবার স্থগিত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্তের সময়সীমা আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল মিন্ট কোর্টে প্রস্তাবিত এই দূতাবাসটি হবে ২০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের। সে হিসাবে আয়তনের দিক থেকে ইউরোপে মধ্যে কোনো দেশের সবচেয়ে বড় দূতাবাস হবে এটি। উদ্বেগের মূল কারণ হলো, এই স্থানটি সিটি অব লন্ডনের খুবই কাছাকাছি, যেখান দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্পর্শকাতর ডেটা বহনকারী ফাইবার অপটিক কেব্?ল গেছে।

সমালোচকদের মতে, এই অবস্থানটি গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

অন্যদিকে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে একাধিক দপ্তর রাখার চেয়ে একটি একক স্থানে দূতাবাস নির্মাণ করা হলে তা নজরদারির জন্য বরং সহজ হবে। ব্রিটিশ সরকারের অভ্যন্তরে এমন ধারণাও রয়েছে যে চীনের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত এই দূতাবাস নির্মাণে বাধা দিলে কূটনৈতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এই প্রত্যাশিত অনুমোদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেম প্রীতি প্যাটেল। তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বিরুদ্ধে ‘বেপরোয়া ও নীতিহীন’ হওয়ার অভিযোগ এনে সতর্ক করেছেন, এই অনুমোদন ব্রিটেনকে ঝুঁকিতে ফেলবে। লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা এড ডেভি এই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যেসব হংকংবাসী চীনের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে আমাদের দেশে এসেছেন, সরকার এখন তাঁদের নাকের ডগায় এমন কিছু হতে দিচ্ছে।’

লেবার পার্টি গত বছর সাধারণ নির্বাচনে জেতার পর থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক উষ্ণ করার চেষ্টা করছে। চ্যান্সেলর র?্যাচেল রিভস এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার কাইলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চীনে সফর করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও সম্ভবত আগামী বছরের প্রথম দিকেই বেইজিং সফরে যাবেন।

জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের কাছে স্টারমার চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ‘একই থাকবে, অর্থাৎ যেখানে পারি সহযোগিতা করব এবং যেখানে অবশ্যই প্রয়োজন সেখানে চ্যালেঞ্জ জানাব, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।’

তবে সমালোচকেরা বলছেন, সরকার বেইজিংয়ের হুমকি সম্পর্কে যথেষ্ট কঠোর নয় এবং যুক্তরাজ্যের উচিত আরও বেশি সতর্ক থাকা। ডেম প্রীতি প্যাটেল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্যার কিয়ার স্টারমার এতটাই দুর্বল এবং আমাদের অর্থনীতি এতটাই অনিশ্চিত যে লেবার পার্টি দেশের খরচের চিন্তা না করেই প্রতিটি সুযোগে চীনের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হচ্ছে।’

ছবি

নাইজেরিয়ায় স্কুলে হামলা, ২১৫ শিক্ষার্থী, ১২ শিক্ষককে অপহরণ

নারী সাংবাদিককে হেনস্তা, ট্রাম্পের সাফাই গাইলো হোয়াইট হাউজ

ছবি

যে প্রশ্নের উত্তরেই মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর ফাতিমা বশ

ছবি

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়

ছবি

ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ

ছবি

তেল অন্বেষণে সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ বানাবে পাকিস্তান

ছবি

ইউক্রেনকে পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই কি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব

ছবি

ব্রাজিলে জলবায়ু সম্মেলনস্থলে আগুন, আলোচনা স্থগিত

ছবি

গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র শীতের আতঙ্ক

ছবি

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫

ছবি

আগামী বছর জলবায়ু সম্মেলন কপ৩১ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তুরস্ক

ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে নতুন মার্কিন কাঠামো, স্বস্তিতে নেই জেলেনস্কি

ছবি

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

দুই ধাপে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় ব্রাজিল

ছবি

প্রতিষ্ঠানটি আসলে চালাচ্ছে কারা

ছবি

পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিলে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা: শিশু সহ নিহত ২৫

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

মহাকাশে আরও তীব্র হচ্ছে সামরিক প্রতিযোগিতা

ছবি

গাজায় ঐতিহাসিক প্রাসাদ ধ্বংস, ২০ হাজারের বেশি প্রত্নবস্তু লুট

ছবি

হামাসকে গাজা থেকে বহিষ্কারের আহ্বান নেতানিয়াহুর

ছবি

সৌদি আরবকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল

ছবি

ভারতীয়দের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করছে ইরান

ছবি

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

ছবি

এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

ছবি

আফ্রিকার ৬ দেশে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

ছবি

তহবিল ঘাটতি, প্রকট হচ্ছে ক্ষুধা সংকট, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ছবি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে

ছবি

ভারতে ২৬টি হামলার নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিদমা অভিযানে নিহত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

tab

লন্ডনে বিশাল আয়তনের দূতাবাস নির্মাণের অনুমোদন পাচ্ছে চীন

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

প্রবল বিতর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগ সত্ত্বেও ব্রিটেন সরকার লন্ডনের কেন্দ্রে চীনের জন্য একটি নতুন বিশাল আয়তনের দূতাবাস ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করতে চলেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়া না হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরকার যে পরামর্শ পেয়েছে, তাতে এই বিতর্কিত প্রকল্পের সবুজ সংকেত পাওয়ার পথ খুলে গেছে।

‘দ্য টাইমস’ পত্রিকায় এই অনুমোদনের খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ, তা নিয়ে জনপরিসরে চলমান বিতর্কের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে এটি। এই নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আবাসনমন্ত্রী স্টিভ রিডের হাতে। স্পর্শকাতরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এমআই ৫ এবং এমআই ৬-সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। বারবার স্থগিত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্তের সময়সীমা আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল মিন্ট কোর্টে প্রস্তাবিত এই দূতাবাসটি হবে ২০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের। সে হিসাবে আয়তনের দিক থেকে ইউরোপে মধ্যে কোনো দেশের সবচেয়ে বড় দূতাবাস হবে এটি। উদ্বেগের মূল কারণ হলো, এই স্থানটি সিটি অব লন্ডনের খুবই কাছাকাছি, যেখান দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্পর্শকাতর ডেটা বহনকারী ফাইবার অপটিক কেব্?ল গেছে।

সমালোচকদের মতে, এই অবস্থানটি গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

অন্যদিকে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে একাধিক দপ্তর রাখার চেয়ে একটি একক স্থানে দূতাবাস নির্মাণ করা হলে তা নজরদারির জন্য বরং সহজ হবে। ব্রিটিশ সরকারের অভ্যন্তরে এমন ধারণাও রয়েছে যে চীনের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত এই দূতাবাস নির্মাণে বাধা দিলে কূটনৈতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এই প্রত্যাশিত অনুমোদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেম প্রীতি প্যাটেল। তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বিরুদ্ধে ‘বেপরোয়া ও নীতিহীন’ হওয়ার অভিযোগ এনে সতর্ক করেছেন, এই অনুমোদন ব্রিটেনকে ঝুঁকিতে ফেলবে। লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা এড ডেভি এই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যেসব হংকংবাসী চীনের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে আমাদের দেশে এসেছেন, সরকার এখন তাঁদের নাকের ডগায় এমন কিছু হতে দিচ্ছে।’

লেবার পার্টি গত বছর সাধারণ নির্বাচনে জেতার পর থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক উষ্ণ করার চেষ্টা করছে। চ্যান্সেলর র?্যাচেল রিভস এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার কাইলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চীনে সফর করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও সম্ভবত আগামী বছরের প্রথম দিকেই বেইজিং সফরে যাবেন।

জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের কাছে স্টারমার চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ‘একই থাকবে, অর্থাৎ যেখানে পারি সহযোগিতা করব এবং যেখানে অবশ্যই প্রয়োজন সেখানে চ্যালেঞ্জ জানাব, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।’

তবে সমালোচকেরা বলছেন, সরকার বেইজিংয়ের হুমকি সম্পর্কে যথেষ্ট কঠোর নয় এবং যুক্তরাজ্যের উচিত আরও বেশি সতর্ক থাকা। ডেম প্রীতি প্যাটেল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্যার কিয়ার স্টারমার এতটাই দুর্বল এবং আমাদের অর্থনীতি এতটাই অনিশ্চিত যে লেবার পার্টি দেশের খরচের চিন্তা না করেই প্রতিটি সুযোগে চীনের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হচ্ছে।’

back to top