পাকিস্তানের সঙ্গে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এর প্রভাব সীমান্তের দুই পাশের মানুষের ওপরই পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান বাণিজ্যকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা শুরু করেছে।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়ে উঠছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে আসছে যে, আফগানিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা তালেবান সরকার অস্বীকার করে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী (অর্থনৈতিক বিষয়ক) আব্দুল গনি বারাদর ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের বদলে বিকল্প রুটে বাণিজ্য পরিচালনা করুন।
পাকিস্তান আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। দেশটি আফগানিস্তানে চাল, ওষুধ ও বিভিন্ন কাঁচামাল সরবরাহ করে। একই সঙ্গে পাকিস্তান ২০২৪ সালে আফগানিস্তানের মোট রপ্তানির ৪৫ শতাংশ গ্রহণ করেছে। অক্টোবরের ১২ তারিখ গোলাগুলোর ঘটনায় মৃত্যুর পর সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেলে, ডজনখানেক আফগান ট্রাক পণ্য নিয়ে সীমান্তে আটকে পড়ে।
পরে একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি হলেও ক্ষতি আর পুষিয়ে ওঠেনি। পাকিস্তান-আফগানিস্তান জয়েন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি জানায়, দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি ডলারেরও বেশি এবং প্রায় ২৫ হাজার সীমান্তকর্মী প্রভাবিত হয়েছেন। বারাদর সতর্ক করে বলেন, ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীলতা না কমালে কাবুল সরকার কোনো সহায়তা করবে না। নতুন করে কোনো বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় তালেবান সরকার এখন বাণিজ্য রুটের বিকল্প হিসেবে ইরান, মধ্য এশিয়া-এমনকি আরো দূরবর্তী অঞ্চলের দিকেও নজর দিচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের সঙ্গে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এর প্রভাব সীমান্তের দুই পাশের মানুষের ওপরই পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান বাণিজ্যকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা শুরু করেছে।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়ে উঠছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে আসছে যে, আফগানিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে, যা তালেবান সরকার অস্বীকার করে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী (অর্থনৈতিক বিষয়ক) আব্দুল গনি বারাদর ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের বদলে বিকল্প রুটে বাণিজ্য পরিচালনা করুন।
পাকিস্তান আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। দেশটি আফগানিস্তানে চাল, ওষুধ ও বিভিন্ন কাঁচামাল সরবরাহ করে। একই সঙ্গে পাকিস্তান ২০২৪ সালে আফগানিস্তানের মোট রপ্তানির ৪৫ শতাংশ গ্রহণ করেছে। অক্টোবরের ১২ তারিখ গোলাগুলোর ঘটনায় মৃত্যুর পর সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেলে, ডজনখানেক আফগান ট্রাক পণ্য নিয়ে সীমান্তে আটকে পড়ে।
পরে একটি নাজুক যুদ্ধবিরতি হলেও ক্ষতি আর পুষিয়ে ওঠেনি। পাকিস্তান-আফগানিস্তান জয়েন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি জানায়, দুই দেশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি ডলারেরও বেশি এবং প্রায় ২৫ হাজার সীমান্তকর্মী প্রভাবিত হয়েছেন। বারাদর সতর্ক করে বলেন, ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীলতা না কমালে কাবুল সরকার কোনো সহায়তা করবে না। নতুন করে কোনো বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় তালেবান সরকার এখন বাণিজ্য রুটের বিকল্প হিসেবে ইরান, মধ্য এশিয়া-এমনকি আরো দূরবর্তী অঞ্চলের দিকেও নজর দিচ্ছে।