রুশ বাহিনী রা বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখছে -এএফপি
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি ২৮ দফা শান্তি-পরিকল্পনা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইউক্রেন, রাশিয়া এবং ইউরোপের আগ্রহী দেশগুলো আলোচনা করছে। পরিকল্পনাটি অনুসারে, রাশিয়া—যারা যুদ্ধক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে—তার অনেকটাই পেয়ে যাবে যা তারা চায়। তবে এতে এমন কিছু প্রস্তাবও আছে যা মস্কোর জন্য অস্বস্তিকর—কারণ সেগুলো মানলে রাশিয়া তার ঘোষিত যুদ্ধলক্ষ্য পুরোপুরি অর্জন করতে পারবে না এবং দখলকৃত কিছু এলাকা থেকে সেনা সরাতে হবে। নিচে সবচেয়ে বিতর্কিত পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হলো।
ভূখণ্ড: পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে ডোনেৎস্ক অঞ্চলের বাকি অংশ রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হবে—যেখানে স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোর্স্কের মতো দুর্গ-শহর এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ‘উপহার’ দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশিয়ার ২০২২ সালের আক্রমণের পর লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া, খেরসন এবং ডোনেৎস্কে যেসব যুদ্ধক্ষেত্র-অর্জন হয়েছে, সেগুলোও স্থায়ীভাবে রাশিয়ার অধীনে থেকে যাবে। ২০১৪-তে দখল করা ক্রিমিয়ার সংযুক্তিও স্থায়ী বলে স্বীকৃতি পাবে।
ইউক্রেনকে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সমঝোতা করতে হবে; কেন্দ্রটি পুনরায় চালু হবে এবং বিদ্যুৎ রাশিয়া–ইউক্রেন উভয় পক্ষকেই ৫০-৫০ ভাগে দেওয়া হবে। তবে ভূখণ্ডগুলোকে রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে ‘ডি-ফ্যাক্টো’, যা মস্কো হয়তো চায় না। রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও পাবে না—সেখানে বর্তমান ফ্রন্ট লাইনের ভিত্তিতে সীমা টানা হবে। ইউক্রেন যেটুকু ডোনেৎস্ক রাশিয়াকে দেবে, সেটিতে রুশ সেনা মোতায়েন করা যাবে না; সেটি হবে নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন, যদিও তা মস্কোর মালিকানায় থাকবে।
রাশিয়াকে খারকিভ ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের দখল করা এলাকা থেকেও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়া দাবি করেছে তারা খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক দখল করেছে, যদিও কিয়েভ তা অস্বীকার করেছে। মার্কিন পরিকল্পনায় কুপিয়ানস্ক থেকেও রাশিয়াকে সরে যেতে হবে।
টাকা–পয়সা: পশ্চিমা দেশগুলো প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার রুশ সম্পদ (মূলত ইউরোপে) যুদ্ধের শাস্তি হিসেবে স্থগিত রেখেছে। রাশিয়া চায় এসব সম্পদ মুক্ত হোক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাল্টা হুমকি দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন পরিকল্পনায় রাশিয়াকে ১০০ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হবে, যারা ইউক্রেন পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেবে—এবং সেই কাজের মুনাফার ৫০ শতাংশ পাবে যুক্তরাষ্ট্র।স্থগিত রুশ সম্পদের আরেক অংশ যাবে নতুন একটি যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া যৌথ বিনিয়োগ তহবিলে, যেখান থেকে রাশিয়া কিছু লাভ পাবে। তবে কোনো পক্ষই এসব অর্থ পুরোপুরি নিজের ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবে না।
এ পরিকল্পনা ইইউ–এর কিয়েভকে সহায়তার জন্য স্থগিত রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনাও নস্যাৎ করতে পারে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হবে না; ধাপে ধাপে আলোচনা সাপেক্ষে তা উঠবে। ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষতি বাবদ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতে হবে।
নিরাপত্তা: পরিকল্পনা অনুযায়ী, জেলেনস্কিকে স্থায়ীভাবে নেটোয় যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে। ন্যাটো অঙ্গীকার করবে কখনোই ইউক্রেনকে সদস্য করবে না এবং ইউক্রেনের সংবিধানও সংশোধন করতে হবে। নেটো আরো প্রতিশ্রুতি দেবে, জোট আর সম্প্রসারিত হবে না—যা রাশিয়ার বড় দাবি। বিনিময়ে থাকবে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি, তারা প্রতিবেশীদের আক্রমণ করবে না। রাশিয়া–ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে একটি অ-আক্রমণ চুক্তি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র যে নিরাপত্তা-গ্যারান্টি দেবে তা নিয়ে পরিকল্পনায় খুবই অস্পষ্ট ভাষা আছে। শুধু বলা হয়েছে এগুলো ‘বলিষ্ঠ’ হবে, তবে ইউক্রেনকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে। বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। নেটোর সেনা ইউক্রেনে মোতায়েন করা যাবে না এবং ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না। ইউক্রেনকে সেনাবাহিনীর আকার ছয় লাখে সীমিত রাখতে হবে—এটা ইউক্রেন আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন তাদের প্রায় ১০ লাখ সেনা রয়েছে। রাশিয়া চাইত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এক লাখেরও নিচে নামুক।
বিচার ও দায়বদ্ধতা: ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়াকে যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলছে। কিন্তু এই পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো আইনি মামলা তোলার পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে—যদিও রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ অস্বীকার করে।
পরিকল্পনায় রাশিয়াকে জি৮–এ পুনর্ভুক্ত করা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনার কথাও রয়েছে, যা কিয়েভের অপছন্দ হবে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়ার মধ্যে বিরাট বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহযোগিতার কথা আছে—দুর্লভ খনিজ, জ্বালানি, আর্কটিকসহ নানা খাতে। পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে ‘ডি-নাজিফাইড’ করার কথাও আছে—যা মস্কো দাবি করে ইউক্রেনে ‘জাতীয়তাবাদী রুশ-বিরোধি’ গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বোঝাতে। যদিও কিয়েভ এসব অভিযোগকে “মিথ্যা” বলে। ইউক্রেনের কথা উল্লেখ না করেই এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ‘সমস্ত নাৎসি মতাদর্শ বা কার্যকলাপ ত্যাগ করা উচিত অথবা নিষিদ্ধ করা উচিত।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রুশ বাহিনী রা বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখছে -এএফপি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি ২৮ দফা শান্তি-পরিকল্পনা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইউক্রেন, রাশিয়া এবং ইউরোপের আগ্রহী দেশগুলো আলোচনা করছে। পরিকল্পনাটি অনুসারে, রাশিয়া—যারা যুদ্ধক্ষেত্রে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে—তার অনেকটাই পেয়ে যাবে যা তারা চায়। তবে এতে এমন কিছু প্রস্তাবও আছে যা মস্কোর জন্য অস্বস্তিকর—কারণ সেগুলো মানলে রাশিয়া তার ঘোষিত যুদ্ধলক্ষ্য পুরোপুরি অর্জন করতে পারবে না এবং দখলকৃত কিছু এলাকা থেকে সেনা সরাতে হবে। নিচে সবচেয়ে বিতর্কিত পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হলো।
ভূখণ্ড: পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে ডোনেৎস্ক অঞ্চলের বাকি অংশ রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হবে—যেখানে স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোর্স্কের মতো দুর্গ-শহর এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ‘উপহার’ দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশিয়ার ২০২২ সালের আক্রমণের পর লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া, খেরসন এবং ডোনেৎস্কে যেসব যুদ্ধক্ষেত্র-অর্জন হয়েছে, সেগুলোও স্থায়ীভাবে রাশিয়ার অধীনে থেকে যাবে। ২০১৪-তে দখল করা ক্রিমিয়ার সংযুক্তিও স্থায়ী বলে স্বীকৃতি পাবে।
ইউক্রেনকে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সমঝোতা করতে হবে; কেন্দ্রটি পুনরায় চালু হবে এবং বিদ্যুৎ রাশিয়া–ইউক্রেন উভয় পক্ষকেই ৫০-৫০ ভাগে দেওয়া হবে। তবে ভূখণ্ডগুলোকে রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে ‘ডি-ফ্যাক্টো’, যা মস্কো হয়তো চায় না। রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও পাবে না—সেখানে বর্তমান ফ্রন্ট লাইনের ভিত্তিতে সীমা টানা হবে। ইউক্রেন যেটুকু ডোনেৎস্ক রাশিয়াকে দেবে, সেটিতে রুশ সেনা মোতায়েন করা যাবে না; সেটি হবে নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন, যদিও তা মস্কোর মালিকানায় থাকবে।
রাশিয়াকে খারকিভ ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের দখল করা এলাকা থেকেও সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়া দাবি করেছে তারা খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক দখল করেছে, যদিও কিয়েভ তা অস্বীকার করেছে। মার্কিন পরিকল্পনায় কুপিয়ানস্ক থেকেও রাশিয়াকে সরে যেতে হবে।
টাকা–পয়সা: পশ্চিমা দেশগুলো প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার রুশ সম্পদ (মূলত ইউরোপে) যুদ্ধের শাস্তি হিসেবে স্থগিত রেখেছে। রাশিয়া চায় এসব সম্পদ মুক্ত হোক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাল্টা হুমকি দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন পরিকল্পনায় রাশিয়াকে ১০০ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হবে, যারা ইউক্রেন পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেবে—এবং সেই কাজের মুনাফার ৫০ শতাংশ পাবে যুক্তরাষ্ট্র।স্থগিত রুশ সম্পদের আরেক অংশ যাবে নতুন একটি যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া যৌথ বিনিয়োগ তহবিলে, যেখান থেকে রাশিয়া কিছু লাভ পাবে। তবে কোনো পক্ষই এসব অর্থ পুরোপুরি নিজের ইচ্ছামতো খরচ করতে পারবে না।
এ পরিকল্পনা ইইউ–এর কিয়েভকে সহায়তার জন্য স্থগিত রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনাও নস্যাৎ করতে পারে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হবে না; ধাপে ধাপে আলোচনা সাপেক্ষে তা উঠবে। ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষতি বাবদ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতে হবে।
নিরাপত্তা: পরিকল্পনা অনুযায়ী, জেলেনস্কিকে স্থায়ীভাবে নেটোয় যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে। ন্যাটো অঙ্গীকার করবে কখনোই ইউক্রেনকে সদস্য করবে না এবং ইউক্রেনের সংবিধানও সংশোধন করতে হবে। নেটো আরো প্রতিশ্রুতি দেবে, জোট আর সম্প্রসারিত হবে না—যা রাশিয়ার বড় দাবি। বিনিময়ে থাকবে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি, তারা প্রতিবেশীদের আক্রমণ করবে না। রাশিয়া–ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে একটি অ-আক্রমণ চুক্তি হবে।
যুক্তরাষ্ট্র যে নিরাপত্তা-গ্যারান্টি দেবে তা নিয়ে পরিকল্পনায় খুবই অস্পষ্ট ভাষা আছে। শুধু বলা হয়েছে এগুলো ‘বলিষ্ঠ’ হবে, তবে ইউক্রেনকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে। বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। নেটোর সেনা ইউক্রেনে মোতায়েন করা যাবে না এবং ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না। ইউক্রেনকে সেনাবাহিনীর আকার ছয় লাখে সীমিত রাখতে হবে—এটা ইউক্রেন আগেও প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন তাদের প্রায় ১০ লাখ সেনা রয়েছে। রাশিয়া চাইত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এক লাখেরও নিচে নামুক।
বিচার ও দায়বদ্ধতা: ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়াকে যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলছে। কিন্তু এই পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো আইনি মামলা তোলার পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে—যদিও রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ অস্বীকার করে।
পরিকল্পনায় রাশিয়াকে জি৮–এ পুনর্ভুক্ত করা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনার কথাও রয়েছে, যা কিয়েভের অপছন্দ হবে। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়ার মধ্যে বিরাট বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহযোগিতার কথা আছে—দুর্লভ খনিজ, জ্বালানি, আর্কটিকসহ নানা খাতে। পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে ‘ডি-নাজিফাইড’ করার কথাও আছে—যা মস্কো দাবি করে ইউক্রেনে ‘জাতীয়তাবাদী রুশ-বিরোধি’ গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বোঝাতে। যদিও কিয়েভ এসব অভিযোগকে “মিথ্যা” বলে। ইউক্রেনের কথা উল্লেখ না করেই এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ‘সমস্ত নাৎসি মতাদর্শ বা কার্যকলাপ ত্যাগ করা উচিত অথবা নিষিদ্ধ করা উচিত।’