ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চায় জার্মানি। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণে ইতোমধ্যেই বড় ধরনের পুনর্গঠনে নেমেছে দেশটি।
মূলত রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তনের কারণে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়তে চায় জার্মানি। রোববার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এ বছর জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যারৎস ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চান। তবে জার্মানির মতো এমন এক দেশের ক্ষেত্রে এই লক্ষ্য অর্জন করা সহজ নয়, কারণ তাদের সামরিক বাহিনী বহু বছর ধরে অবহেলার শিকার হয়ে এসেছে।
রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে নতুন গৃহীত আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে জার্মান জোট সরকার।
নতুন সংস্কারের মাধ্যমে ২০৩৫ সালের মধ্যে জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৬০ হাজারে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সঙ্গে আরও ২ লাখ রিজার্ভ বাহিনী যুক্ত করার লক্ষ্যও রয়েছে।
শুরুর দিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বেচ্ছাসেবী ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা থাকবে। নতুন ব্যবস্থায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে শুরুর মাসিক বেতন হবে ২৬০০ ইউরো (৩০০০ মার্কিন ডলার), যা বর্তমান বেতনের চেয়ে ৪৫০ ইউরো বেশি।
তবে নির্ধারিত কোটা পূরণ না হলে সরকার প্রয়োজনমতো বাধ্যতামূলক ডাকে (ম্যান্ডেটরি কল-আপ) যেতে পারবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে সব ১৮ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর কাছে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ আছে কি না— এ বিষয়ে একটি প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। পুরুষদের জন্য এটি বাধ্যতামূলকভাবে পূরণ করতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে ১৮ বছর বয়সী পুরুষদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষাও দিতে হবে।
জার্মান সরকারের এই উদ্যোগ এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে এবং ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে বলছে এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, পরবর্তী ধাপে ন্যাটো সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। লন্ডনভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউসের ইউরোপ প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো মিন্?না অল্যান্ডার মনে করেন, ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থানের কারণে জার্মানি এই মহাদেশের প্রচলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, “নতুন সেনাসংখ্যা অর্জনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইউরোপের জন্য তা খুবই ভালো হবে, যদিও সেটা সম্ভবত ২০৩০-এর দশকের কোনো এক সময়েই দেখা যাবে।” এর আগে গত জুনে জার্মানির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল কার্স্টেন ব্রয়ার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ন্যাটোকে আগামী চার বছরের মধ্যে সম্ভাব্য রুশ হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনকি এই হামলা ২০২৯ সালেও হতে পারে। আর তাই সদস্য দেশগুলোকে প্রস্তুতি জোরদারের আহ্বানও জানান তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চায় জার্মানি। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণে ইতোমধ্যেই বড় ধরনের পুনর্গঠনে নেমেছে দেশটি।
মূলত রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তনের কারণে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়তে চায় জার্মানি। রোববার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এ বছর জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যারৎস ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে চান। তবে জার্মানির মতো এমন এক দেশের ক্ষেত্রে এই লক্ষ্য অর্জন করা সহজ নয়, কারণ তাদের সামরিক বাহিনী বহু বছর ধরে অবহেলার শিকার হয়ে এসেছে।
রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে নতুন গৃহীত আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে জার্মান জোট সরকার।
নতুন সংস্কারের মাধ্যমে ২০৩৫ সালের মধ্যে জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৬০ হাজারে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সঙ্গে আরও ২ লাখ রিজার্ভ বাহিনী যুক্ত করার লক্ষ্যও রয়েছে।
শুরুর দিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বেচ্ছাসেবী ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা থাকবে। নতুন ব্যবস্থায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে শুরুর মাসিক বেতন হবে ২৬০০ ইউরো (৩০০০ মার্কিন ডলার), যা বর্তমান বেতনের চেয়ে ৪৫০ ইউরো বেশি।
তবে নির্ধারিত কোটা পূরণ না হলে সরকার প্রয়োজনমতো বাধ্যতামূলক ডাকে (ম্যান্ডেটরি কল-আপ) যেতে পারবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে সব ১৮ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর কাছে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ আছে কি না— এ বিষয়ে একটি প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। পুরুষদের জন্য এটি বাধ্যতামূলকভাবে পূরণ করতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে ১৮ বছর বয়সী পুরুষদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষাও দিতে হবে।
জার্মান সরকারের এই উদ্যোগ এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে এবং ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে বলছে এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, পরবর্তী ধাপে ন্যাটো সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। লন্ডনভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউসের ইউরোপ প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো মিন্?না অল্যান্ডার মনে করেন, ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থানের কারণে জার্মানি এই মহাদেশের প্রচলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, “নতুন সেনাসংখ্যা অর্জনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইউরোপের জন্য তা খুবই ভালো হবে, যদিও সেটা সম্ভবত ২০৩০-এর দশকের কোনো এক সময়েই দেখা যাবে।” এর আগে গত জুনে জার্মানির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল কার্স্টেন ব্রয়ার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ন্যাটোকে আগামী চার বছরের মধ্যে সম্ভাব্য রুশ হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এমনকি এই হামলা ২০২৯ সালেও হতে পারে। আর তাই সদস্য দেশগুলোকে প্রস্তুতি জোরদারের আহ্বানও জানান তিনি।