ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সিন্ধু অঞ্চল এখন হয়তো ভারতের সঙ্গে নেই; কিন্তু সীমান্ত তো বদলাতেই পারে এবং ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলটি ভারতে ফিরেও আসতে পারে। রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ‘বিস্ফোরক’মন্তব্য করেন। এর মধ্য দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাত ও কূটনৈতিক অচলাবস্থার মুখে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলেন তিনি। এর কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তান।
প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ‘ভারত বরং তার নাগরিকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুক। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের অভাব-অভিযোগের সমাধান করুক।’
এনডিটিভি জানায়, রাজনাথ বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা বিশেষ করে লালকৃষ্ণ আদভানির মতো নেতাদের প্রজন্ম ভারত থেকে সিন্ধুর বিচ্ছিন্ন হওয়া কখনোই মেনে নিতে পারেননি। কেবল সিন্ধু নয়, ভারতজুড়ে হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করে। সিন্ধুর অনেক মুসলমানও বিশ্বাস করেন, সিন্ধুর পানির পবিত্রতা মক্কার আবে জমজমের চেয়ে কম নয়। এটা আদভানি সাহেবের উদ্ধৃতি– বলেন তিনি। এদিকে রাজনাথের মন্তব্যের পর পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নষ্ট করেনি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত রোববার রাতেই এক কড়া বিবৃতি জারি করে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নাম করে তাতে বলা হয়েছে, ‘ওই মন্তব্য শুধু ভ্রান্তই নয়, মারাত্মকভাবে সংশোধনবাদী। এ ধরনের মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী সম্প্রসারণবাদ মানসিকতার প্রকাশ এবং তা স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত বাস্তবতাকে চালেঞ্জ করে। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইন, স্বীকৃত সীমান্তের লঙ্ঘন ও সার্বভৌমত্বের বিরোধী।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটুকু বলেই থেমে থাকেনি। রাজনাথ সিং ও অন্য ভারতীয় শীর্ষ নেতাদের এমন ধরনের উস্কানিমূলক ও আঞ্চলিক শান্তির পরিপন্থি মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়েছে। বিবৃতিতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থান প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সিন্ধু অঞ্চল এখন হয়তো ভারতের সঙ্গে নেই; কিন্তু সীমান্ত তো বদলাতেই পারে এবং ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলটি ভারতে ফিরেও আসতে পারে। রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ‘বিস্ফোরক’মন্তব্য করেন। এর মধ্য দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাত ও কূটনৈতিক অচলাবস্থার মুখে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলেন তিনি। এর কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তান।
প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য না করার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ‘ভারত বরং তার নাগরিকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুক। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের অভাব-অভিযোগের সমাধান করুক।’
এনডিটিভি জানায়, রাজনাথ বলেন, সিন্ধি হিন্দুরা বিশেষ করে লালকৃষ্ণ আদভানির মতো নেতাদের প্রজন্ম ভারত থেকে সিন্ধুর বিচ্ছিন্ন হওয়া কখনোই মেনে নিতে পারেননি। কেবল সিন্ধু নয়, ভারতজুড়ে হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করে। সিন্ধুর অনেক মুসলমানও বিশ্বাস করেন, সিন্ধুর পানির পবিত্রতা মক্কার আবে জমজমের চেয়ে কম নয়। এটা আদভানি সাহেবের উদ্ধৃতি– বলেন তিনি। এদিকে রাজনাথের মন্তব্যের পর পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নষ্ট করেনি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত রোববার রাতেই এক কড়া বিবৃতি জারি করে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নাম করে তাতে বলা হয়েছে, ‘ওই মন্তব্য শুধু ভ্রান্তই নয়, মারাত্মকভাবে সংশোধনবাদী। এ ধরনের মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী সম্প্রসারণবাদ মানসিকতার প্রকাশ এবং তা স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত বাস্তবতাকে চালেঞ্জ করে। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইন, স্বীকৃত সীমান্তের লঙ্ঘন ও সার্বভৌমত্বের বিরোধী।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটুকু বলেই থেমে থাকেনি। রাজনাথ সিং ও অন্য ভারতীয় শীর্ষ নেতাদের এমন ধরনের উস্কানিমূলক ও আঞ্চলিক শান্তির পরিপন্থি মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়েছে। বিবৃতিতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থান প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে।