নিউইয়র্ক সিটির নব নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির ট্র্যানজিশন টিমে গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্ধারণী দায়িত্ব পেয়েছেন নয়জন বাংলাদেশি আমেরিকান। নতুন বছরের প্রথম দিন দায়িত্ব নেবেন নতুন মেয়র। সেজন্য গত ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ৪০০ সদস্যের ১৭টি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ছয়টি কমিটিতে বাংলাদেশিরা রয়েছেন।
কমিটি অন কমিউনিটি অরগানাইজিংয়ে জায়গা পেয়েছেন হিলসাইড ইসলামিক সেন্টারের আব্দুল আজিজ ভুইয়া। কমিটি অন কমিউনিটি সেইফটিতে আছেন ‘রাইজ আপ নিউইয়র্ক’-এর সামশুল হক। সিএভির ফারিয়া আক্তার কমিটি অন ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিসে জায়গা পেয়েছেন। কমিটি অন ওয়ার্কার জাস্টিসে আছেন ‘এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার’-এর মোহাম্মদ করিম চৌধুরী, সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের স্কুল অব ল-এর অ্যাটর্নি সমতলী হক এবং ড্রাম বিটের কাজী ফৌজিয়া। মুনার আরমান চৌধুরী এবং ভালোর (বাংলাদেশি হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড লিডারশিপ আউটরিচ) শাহারিয়ার রহমান কমিটি অন স্মল বিজনেসে রয়েছেন। তাজিন আজাদ জায়গা পেয়েছেন কমিটি অন ইয়্যুথ অ্যান্ড এডুকেশনে।
গত ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে মামদানির পক্ষে গণজোয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সরব ছিলেন। বাসায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা, ফোন-টেক্সট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি মামদানির নির্বাচনি তহবিলেও তারা অংশ নেন। যে ৯ বাংলাদেশিকে ট্রানজিশন কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সমাজ সংগঠনে সক্রিয় রয়েছেন অনেকদিন ধরেই। মামদানির ৪০০ জনের এই ট্রানজিশন টিমে ১৬ জন ভারতীয় এবং ১১ জন পাকিস্তানিও রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশের সময় জোহরান মামদানি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রমীদের প্রতি আমার ভালবাসার অন্ত নেই, নিউইয়র্ক সিটির ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারের প্রতিও আমার অগাধ আস্থা রয়েছে। সব কর্মসূচি যথাযথভাবে সম্পাদনের অঙ্গীকার থেকেই মানবতার কল্যাণে বিশেষভাবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৪০০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। প্রতিভাসম্পন্ন স্মার্ট লোকজনের সমন্বয়ে কমিটিগুলো সামনের চার বছরের করণীয় নির্ধারণে সক্ষম হবে।’
এর আগে পাঁচ নারীকে কো-চেয়ার করে ট্রানজিশন টিমের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেন মামদানি। তারাই সমন্বয় করবেন এই ১৭ কমিটির সব কার্যক্রম।
ট্রানজিশন টিমের কাজ
নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের ট্রানজিশন টিম হলো একটি অন্তর্বর্তীকালীন দল, যারা নির্বাচিত মেয়র অফিসে বসা পর্যন্ত সময়টায় পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ বাহিনী, দমকল বাহিনী, শিক্ষা, গৃহায়ন, পার্ক, স্যানিটেশনসহ শতাধিক এজেন্সি রয়েছে। এসব এজেন্সির কাজ, বাজেট, দুর্বলতা, জরুরি সমস্যা সব একসঙ্গে পর্যালোচনা করে নতুন মেয়রকে প্রতিবেদন দেবে কমিটিগুলো। এছাড়া নতুন মেয়রের প্রশাসনের জন্য কর্মী বাছাই করাও তাদের বড় কাজ। ডেপুটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার, শিক্ষা কমিশনার, হাউজিং চিফ, বাজেট ডিরেক্টর এবং অন্যান্য এজেন্সির কমিশনার বেছে নিতে কমিটিগুলোর ভূমিকা থাকবে। এর মধ্যে দিয়ে নির্ধারিত হবে পুরো শহরের ভবিষ্যৎ। ফলে নির্ভরযোগ্য, অভিজ্ঞ, দক্ষ কর্মী নির্বাচন এই ট্রানজিশন টিমের গুরু দায়িত্ব।
বিশেষ করে মেয়রের নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো যেমন- বাড়ি ভাড়া কমানো, গণপরিবহন উন্নয়নসহ বাস সার্ভিস ফ্রি করা, নিরাপত্তা বাড়ানো, স্কুল সংস্কার, গৃহহীনতা কমানোর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য ট্রানজিশন টিম দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালা তৈরি করবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির নব নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির ট্র্যানজিশন টিমে গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্ধারণী দায়িত্ব পেয়েছেন নয়জন বাংলাদেশি আমেরিকান। নতুন বছরের প্রথম দিন দায়িত্ব নেবেন নতুন মেয়র। সেজন্য গত ২৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ৪০০ সদস্যের ১৭টি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ছয়টি কমিটিতে বাংলাদেশিরা রয়েছেন।
কমিটি অন কমিউনিটি অরগানাইজিংয়ে জায়গা পেয়েছেন হিলসাইড ইসলামিক সেন্টারের আব্দুল আজিজ ভুইয়া। কমিটি অন কমিউনিটি সেইফটিতে আছেন ‘রাইজ আপ নিউইয়র্ক’-এর সামশুল হক। সিএভির ফারিয়া আক্তার কমিটি অন ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিসে জায়গা পেয়েছেন। কমিটি অন ওয়ার্কার জাস্টিসে আছেন ‘এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার’-এর মোহাম্মদ করিম চৌধুরী, সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের স্কুল অব ল-এর অ্যাটর্নি সমতলী হক এবং ড্রাম বিটের কাজী ফৌজিয়া। মুনার আরমান চৌধুরী এবং ভালোর (বাংলাদেশি হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড লিডারশিপ আউটরিচ) শাহারিয়ার রহমান কমিটি অন স্মল বিজনেসে রয়েছেন। তাজিন আজাদ জায়গা পেয়েছেন কমিটি অন ইয়্যুথ অ্যান্ড এডুকেশনে।
গত ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে মামদানির পক্ষে গণজোয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সরব ছিলেন। বাসায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা, ফোন-টেক্সট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি মামদানির নির্বাচনি তহবিলেও তারা অংশ নেন। যে ৯ বাংলাদেশিকে ট্রানজিশন কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সমাজ সংগঠনে সক্রিয় রয়েছেন অনেকদিন ধরেই। মামদানির ৪০০ জনের এই ট্রানজিশন টিমে ১৬ জন ভারতীয় এবং ১১ জন পাকিস্তানিও রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশের সময় জোহরান মামদানি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রমীদের প্রতি আমার ভালবাসার অন্ত নেই, নিউইয়র্ক সিটির ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারের প্রতিও আমার অগাধ আস্থা রয়েছে। সব কর্মসূচি যথাযথভাবে সম্পাদনের অঙ্গীকার থেকেই মানবতার কল্যাণে বিশেষভাবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৪০০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। প্রতিভাসম্পন্ন স্মার্ট লোকজনের সমন্বয়ে কমিটিগুলো সামনের চার বছরের করণীয় নির্ধারণে সক্ষম হবে।’
এর আগে পাঁচ নারীকে কো-চেয়ার করে ট্রানজিশন টিমের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেন মামদানি। তারাই সমন্বয় করবেন এই ১৭ কমিটির সব কার্যক্রম।
ট্রানজিশন টিমের কাজ
নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের ট্রানজিশন টিম হলো একটি অন্তর্বর্তীকালীন দল, যারা নির্বাচিত মেয়র অফিসে বসা পর্যন্ত সময়টায় পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ বাহিনী, দমকল বাহিনী, শিক্ষা, গৃহায়ন, পার্ক, স্যানিটেশনসহ শতাধিক এজেন্সি রয়েছে। এসব এজেন্সির কাজ, বাজেট, দুর্বলতা, জরুরি সমস্যা সব একসঙ্গে পর্যালোচনা করে নতুন মেয়রকে প্রতিবেদন দেবে কমিটিগুলো। এছাড়া নতুন মেয়রের প্রশাসনের জন্য কর্মী বাছাই করাও তাদের বড় কাজ। ডেপুটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার, শিক্ষা কমিশনার, হাউজিং চিফ, বাজেট ডিরেক্টর এবং অন্যান্য এজেন্সির কমিশনার বেছে নিতে কমিটিগুলোর ভূমিকা থাকবে। এর মধ্যে দিয়ে নির্ধারিত হবে পুরো শহরের ভবিষ্যৎ। ফলে নির্ভরযোগ্য, অভিজ্ঞ, দক্ষ কর্মী নির্বাচন এই ট্রানজিশন টিমের গুরু দায়িত্ব।
বিশেষ করে মেয়রের নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো যেমন- বাড়ি ভাড়া কমানো, গণপরিবহন উন্নয়নসহ বাস সার্ভিস ফ্রি করা, নিরাপত্তা বাড়ানো, স্কুল সংস্কার, গৃহহীনতা কমানোর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য ট্রানজিশন টিম দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালা তৈরি করবে।