যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ১৯টি দেশের নাগরিকদের ইস্যু করা গ্রিন কার্ড পুনরায় পরীক্ষা করা হবে বলে ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার প্রধান জোসেফ এডলো বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে “উদ্বেগজনক সব দেশের প্রতিটি বিদেশির প্রতিটি গ্রিন কার্ডের পূর্ণমাত্রার, কঠোর পুনর্মূল্যায়ন” পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দেশের একটি তালিকা বিবিসি চাইলে, সংস্থাটি হোয়াইট হাউজের জুন মাসের এক ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে, যেখানে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া ও ভেনেজুয়েলার নাম ছিল। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ডকে গুলি করার পর এই ঘোষণা দিল মার্কিন সরকার। প্রশাসনের দাবি, সন্দেহভাজন ব্যক্তি হচ্ছে আফগান অভিবাসী রহমানউল্লাহ লাখানওয়াল, যিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন একটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায়, যা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানদের বিশেষ অভিবাসন সুরক্ষা দিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেছেন, এ হামলা একটি বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি তুলে ধরেছে। এডলো বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রিন কার্ডের বিস্তৃত পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে পোস্ট দিলেও ওই হামলার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, এই দেশ ও মার্কিন জনগণের সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং পূর্ববর্তী প্রশাসনের বেপরোয়া পুনর্বাসন নীতির দায় মার্কিনিদের বহন করতে হবে না। অবশ্য পুনর্মূল্যায়ন কীভাবে হবে, এ বিষয়ে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
সংস্থাটি জুনের যে ঘোষণার কথা উল্লেখ করেছে, তাতে বলা হয়, “বিদেশি সন্ত্রাসী ও অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি” থেকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশিদের প্রবেশ সীমিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং ব্যবসা, শিক্ষার্থী ও পর্যটক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও থেকে যাওয়ার হার যে সব দেশের বেশি, সে দেশগুলো তালিকাভুক্ত হয়েছে।
ঘোষণায় বলা হয়, তালেবান, একটি বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে। দেশটিতে পাসপোর্ট বা সিভিল ডকুমেন্ট ইস্যুর কোনও সক্ষম বা সহযোগী কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ নেই এবং যথাযথ স্ক্রিনিং বা যাচাই ব্যবস্থাও নেই। যেসব দেশের গ্রিন কার্ডধারীরা এ পুনর্মূল্যায়নের আওতায় আসবেন তাদের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও লিবিয়া।
বুধবার মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় ট্রাম্প জোরালো প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, এই হামলা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি তুলে ধরছে। পূর্ববর্তী প্রশাসন সারা বিশ্ব থেকে দুই কোটি অজানা ও যাচাইবিহীন বিদেশিকে ঢুকতে দিয়েছে, যেসব জায়গার নামও বলতে চাইবেন না। কোনও দেশই এমন ঝুঁকি সহ্য করতে পারে না। গত সপ্তাহে, একই সংস্থা সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় গ্রহণ করা সব শরণার্থীর পুনর্বিবেচনা শুরু করার ঘোষণা দেয়। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের সব অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তা ও যাচাই প্রোটোকল পর্যালোচনার অপেক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ১৯টি দেশের নাগরিকদের ইস্যু করা গ্রিন কার্ড পুনরায় পরীক্ষা করা হবে বলে ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার প্রধান জোসেফ এডলো বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে “উদ্বেগজনক সব দেশের প্রতিটি বিদেশির প্রতিটি গ্রিন কার্ডের পূর্ণমাত্রার, কঠোর পুনর্মূল্যায়ন” পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
দেশের একটি তালিকা বিবিসি চাইলে, সংস্থাটি হোয়াইট হাউজের জুন মাসের এক ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে, যেখানে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া ও ভেনেজুয়েলার নাম ছিল। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ডকে গুলি করার পর এই ঘোষণা দিল মার্কিন সরকার। প্রশাসনের দাবি, সন্দেহভাজন ব্যক্তি হচ্ছে আফগান অভিবাসী রহমানউল্লাহ লাখানওয়াল, যিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন একটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায়, যা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানদের বিশেষ অভিবাসন সুরক্ষা দিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেছেন, এ হামলা একটি বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি তুলে ধরেছে। এডলো বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রিন কার্ডের বিস্তৃত পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে পোস্ট দিলেও ওই হামলার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, এই দেশ ও মার্কিন জনগণের সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং পূর্ববর্তী প্রশাসনের বেপরোয়া পুনর্বাসন নীতির দায় মার্কিনিদের বহন করতে হবে না। অবশ্য পুনর্মূল্যায়ন কীভাবে হবে, এ বিষয়ে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
সংস্থাটি জুনের যে ঘোষণার কথা উল্লেখ করেছে, তাতে বলা হয়, “বিদেশি সন্ত্রাসী ও অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি” থেকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশিদের প্রবেশ সীমিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং ব্যবসা, শিক্ষার্থী ও পর্যটক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও থেকে যাওয়ার হার যে সব দেশের বেশি, সে দেশগুলো তালিকাভুক্ত হয়েছে।
ঘোষণায় বলা হয়, তালেবান, একটি বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে। দেশটিতে পাসপোর্ট বা সিভিল ডকুমেন্ট ইস্যুর কোনও সক্ষম বা সহযোগী কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ নেই এবং যথাযথ স্ক্রিনিং বা যাচাই ব্যবস্থাও নেই। যেসব দেশের গ্রিন কার্ডধারীরা এ পুনর্মূল্যায়নের আওতায় আসবেন তাদের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও লিবিয়া।
বুধবার মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় ট্রাম্প জোরালো প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, এই হামলা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি তুলে ধরছে। পূর্ববর্তী প্রশাসন সারা বিশ্ব থেকে দুই কোটি অজানা ও যাচাইবিহীন বিদেশিকে ঢুকতে দিয়েছে, যেসব জায়গার নামও বলতে চাইবেন না। কোনও দেশই এমন ঝুঁকি সহ্য করতে পারে না। গত সপ্তাহে, একই সংস্থা সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় গ্রহণ করা সব শরণার্থীর পুনর্বিবেচনা শুরু করার ঘোষণা দেয়। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র আফগানদের সব অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তা ও যাচাই প্রোটোকল পর্যালোচনার অপেক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।