মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করে বলেছে, ঘোষিত যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে, নতুন আক্রমণ চালাচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যের প্রবেশাধিকার সীমিত করছে।
দীর্ঘদিনের গণহত্যা যুদ্ধের অবসানের জন্য গত ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে - সাত সপ্তাহে ৫০০ বারেরও বেশি। এই সময়ে কমপক্ষে ৩৪৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৮৮৯ জন আহত হয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) অ্যামনেস্টি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, ইসরায়েল তার অপরাধের মারাত্মক প্রভাব ফিরিয়ে আনার জন্য গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়েছে - এমন কোনো প্রমাণ নেই।’
অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের নির্মম নীতি অব্যাহত রেখেছে, গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সাহায্য এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার সীমিত করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের শারীরিকভাবে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত শর্ত আরোপ করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে বোকা বানানো উচিত নয়। ইসরায়েলের গণহত্যা এখনো শেষ হয়নি।’ আল জাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালেও ইসরায়েল গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেইজ ক্যাম্প এবং পূর্ব খান ইউনিসের ভবনগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় কতদূর: যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আসন্ন জানুয়ারিতেই গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী আইএসএফ মোতায়েন করার পরিকল্পনা হচ্ছে। তাছাড়া গাজা পরিচালনায় আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ গঠনের কাজও চলছে। সমন্বয় কেন্দ্রের একজন আমেরিকান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইসরায়েলি চ্যানেল ফোরটিন জানিয়েছে, জানুয়ারিতে আইএসএফের প্রথম সেনাদল গাজায় পৌঁছাবে। ২০২৬ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে ‘নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া’। রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা করার জন্য গত মঙ্গলবার কায়রোতে তুরস্ক, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা বৈঠক করেন।
সুড়ঙ্গে আটকা যোদ্ধাদের বাঁচানোর আহ্বান হামাসের: দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় টানেলে কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা আটকে পড়েছে। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে বুধবার হামাস নেতারা কাতার ও মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি রাফার সুড়ঙ্গে ১০০ থেকে ২০০ হামাস যোদ্ধা আটকে পড়ে।
তাদের মধ্যে যারা বের হওয়ার চেষ্টা করে, তাদের অন্তত ২০ জনকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
ভারত থেকে ইহুদিদের নেবে ইসরায়েল: মিডলইস্ট আই জানায়, অধিকৃত ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের জন্য ভারত থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ বেনেই মেনাশে ইহুদিদের ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে। উত্তর অংশের গ্যালিলি অঞ্চলে তাদের জন্য বসতি স্থাপন করা হবে। বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদ প্রচারকারী সংস্থা দ্য ইহুদি এজেন্সি ফর ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বেনেই মেনাশে ইহুদি সম্প্রদায় হলো উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্য মিজোরাম এবং মণিপুরের একটি জাতিগত সম্প্রদায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করে বলেছে, ঘোষিত যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে, নতুন আক্রমণ চালাচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যের প্রবেশাধিকার সীমিত করছে।
দীর্ঘদিনের গণহত্যা যুদ্ধের অবসানের জন্য গত ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে - সাত সপ্তাহে ৫০০ বারেরও বেশি। এই সময়ে কমপক্ষে ৩৪৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ৮৮৯ জন আহত হয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) অ্যামনেস্টি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, ইসরায়েল তার অপরাধের মারাত্মক প্রভাব ফিরিয়ে আনার জন্য গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়েছে - এমন কোনো প্রমাণ নেই।’
অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের নির্মম নীতি অব্যাহত রেখেছে, গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সাহায্য এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার সীমিত করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের শারীরিকভাবে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত শর্ত আরোপ করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে বোকা বানানো উচিত নয়। ইসরায়েলের গণহত্যা এখনো শেষ হয়নি।’ আল জাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালেও ইসরায়েল গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেইজ ক্যাম্প এবং পূর্ব খান ইউনিসের ভবনগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় কতদূর: যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আসন্ন জানুয়ারিতেই গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী আইএসএফ মোতায়েন করার পরিকল্পনা হচ্ছে। তাছাড়া গাজা পরিচালনায় আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ গঠনের কাজও চলছে। সমন্বয় কেন্দ্রের একজন আমেরিকান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইসরায়েলি চ্যানেল ফোরটিন জানিয়েছে, জানুয়ারিতে আইএসএফের প্রথম সেনাদল গাজায় পৌঁছাবে। ২০২৬ সালের এপ্রিলের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে ‘নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া’। রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা করার জন্য গত মঙ্গলবার কায়রোতে তুরস্ক, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা বৈঠক করেন।
সুড়ঙ্গে আটকা যোদ্ধাদের বাঁচানোর আহ্বান হামাসের: দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় টানেলে কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা আটকে পড়েছে। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে বুধবার হামাস নেতারা কাতার ও মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি রাফার সুড়ঙ্গে ১০০ থেকে ২০০ হামাস যোদ্ধা আটকে পড়ে।
তাদের মধ্যে যারা বের হওয়ার চেষ্টা করে, তাদের অন্তত ২০ জনকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
ভারত থেকে ইহুদিদের নেবে ইসরায়েল: মিডলইস্ট আই জানায়, অধিকৃত ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের জন্য ভারত থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ বেনেই মেনাশে ইহুদিদের ইসরায়েলে নেওয়া হচ্ছে। উত্তর অংশের গ্যালিলি অঞ্চলে তাদের জন্য বসতি স্থাপন করা হবে। বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদ প্রচারকারী সংস্থা দ্য ইহুদি এজেন্সি ফর ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বেনেই মেনাশে ইহুদি সম্প্রদায় হলো উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্য মিজোরাম এবং মণিপুরের একটি জাতিগত সম্প্রদায়।