ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করে ভারতের আসাম রাজ্যে একটি ‘বিতর্কিত’ বিল পাস করা হয়েছে। এতে একাধিক বিয়ে করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তফসিলি উপজাতিভুক্ত এলাকায় বিলটি প্রযোজ্য হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভায় ‘আসাম প্রোহিবিশন অব পলিগ্যামি বিল ২০২৫’ নামে এ বিল পাস করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বহুবিবাহের কারণে ভুক্তভোগী নারীদের চরম যন্ত্রণা ও কষ্ট ভোগ করতে হয়। তাই বিলে নারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ শাস্তিপ্রাপ্ত পুরুষকেই দিতে হবে।
স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছেদ না করে আরেক নারীর সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হওয়াকে বহুবিবাহ বলে বিলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিচ্ছেদের আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি, কিংবা আপিল প্রক্রিয়াধীন—এমন ক্ষেত্রে আরেক নারীকে বিয়ে করলেও সেটি বহুবিবাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর আগে গত মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলটি তোলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিরোধী কংগ্রেস, সিপিআই (এম) ও রায়জোর দলের বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে এই বিতর্কিত বিল পেশ করা হয়।
বিলটি উপস্থাপনের কিছুক্ষণ আগে বিরোধীরা বিধানসভা ত্যাগ করেন।
বিল পাস হওয়ার পর শুক্রবার, (২৮ নভেম্বর ২০২৫) হিমন্ত বলেন, আইনটি ‘সব ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অনেকের ধারণা, এটি ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। হিন্দুরাও বহুবিবাহ করেন না, এমন নয়। এটাও আমাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। এই বিল হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সব সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য প্রযোজ্য হবে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করে ভারতের আসাম রাজ্যে একটি ‘বিতর্কিত’ বিল পাস করা হয়েছে। এতে একাধিক বিয়ে করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তফসিলি উপজাতিভুক্ত এলাকায় বিলটি প্রযোজ্য হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভায় ‘আসাম প্রোহিবিশন অব পলিগ্যামি বিল ২০২৫’ নামে এ বিল পাস করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বহুবিবাহের কারণে ভুক্তভোগী নারীদের চরম যন্ত্রণা ও কষ্ট ভোগ করতে হয়। তাই বিলে নারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ শাস্তিপ্রাপ্ত পুরুষকেই দিতে হবে।
স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছেদ না করে আরেক নারীর সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হওয়াকে বহুবিবাহ বলে বিলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিচ্ছেদের আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি, কিংবা আপিল প্রক্রিয়াধীন—এমন ক্ষেত্রে আরেক নারীকে বিয়ে করলেও সেটি বহুবিবাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর আগে গত মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলটি তোলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিরোধী কংগ্রেস, সিপিআই (এম) ও রায়জোর দলের বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে এই বিতর্কিত বিল পেশ করা হয়।
বিলটি উপস্থাপনের কিছুক্ষণ আগে বিরোধীরা বিধানসভা ত্যাগ করেন।
বিল পাস হওয়ার পর শুক্রবার, (২৮ নভেম্বর ২০২৫) হিমন্ত বলেন, আইনটি ‘সব ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অনেকের ধারণা, এটি ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। হিন্দুরাও বহুবিবাহ করেন না, এমন নয়। এটাও আমাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। এই বিল হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সব সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য প্রযোজ্য হবে।’