ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা বন্দী ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে চরম আলোচনা-সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি ১৬ ঘণ্টা পর আদিয়ালা সড়ক থেকে অবস্থান ধর্মঘট তুলে নিয়ে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ ইমরান খান সম্পর্কে কোনো তথ্য না দেয়ার বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করেন। গোরখপুর চেক পয়েন্টে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি বলেন, দলের কর্মীরা পুরো রাত প্রতিবাদ স্থলে কাটিয়েছেন।
আফ্রিদি বলেন, ‘আমরা কর্মীদের সঙ্গে এখানে রাত কাটিয়েছি। এটি মাত্র একটি রাত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার জন্য যদি আমাদের পুরো জীবনও এখানে কাটাতে হয়, আমরা তা ক বো।’
খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের এখনও কিছু বলা হয়নি।’ তিনি বলেন, তারা তাদের দাবি থেকে সরে আসবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে দেখা করতে তিনি ‘সব সাংবিধানিক ও আইনি পথ’ অনুসরণ করেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমি প্রতিটি সাংবিধানিক ও আইনি পথ ব্যবহার করেছি। আমার নেতার সঙ্গে দেখা করতে আর কোনো পথ বাকি রইল?’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাকে বা দলের অন্য নেতাদের কাউকেই ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সমালোচনা করে সোহেল আফ্রিদি বলেন, আগে যারা লন্ডনে পালিয়ে যেতেন, তাদের একসঙ্গে ৫০ জনের দলকে (কারাগারে) দেখা করার অনুমতি দেয়া হতো।
অবস্থান ধর্মঘট শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। আশা করা হচ্ছে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করবেন। আবেদন জমা দেয়ার পর সোহেল আফ্রিদি আদিয়ালা রোডে ফিরে আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আফ্রিদি ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও দেখা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি আরও বলেন, আদালত যদি তাদের আদেশ কার্যকর না করেন, তবে তা দেশে ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ প্রতিষ্ঠার শামিল হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দলের নেতাদের ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না দেয়ায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল রোডের গোরখপুর চেক পয়েন্টে পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা গত ১৬ ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
তেহরিক তাহাফুজ আইন-ই-পাকিস্তানের (টিটিএপি) প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাই, মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিমের (এমডব্লিউএম) প্রধান আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস, মিশাল ইউসুফজাই, সিনেটর গুরদীপ সিং, সিনেটর রুবিনা নাজ, এম এন এ জুলফিকার আহমেদসহ অনেকে এ অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন।
আগেরদিন সাংবাদিকদের আচাকজাই বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এ বিশ্বাস নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি এসেছিলেন যে ফেডারেল ইউনিটের প্রতিনিধি হিসেবে, বিশেষ করে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তাকে দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হবে।
আচাকজাই বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মনে করেছিলেন, তিনি ফেডারেশনের একজন সাংবিধানিক প্রতিনিধি। তিনি ভেবেছিলেন, আদালত যখন লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, তখন তার নেতার সঙ্গে তাকে দেখা করার অনুমতি দেয়া হবে। টিটিএপিপ্রধান আরও বলেন- কিন্তু তিনি এখন বুঝতে পেরেছেন, এখানকার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বা সম্মানের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।’
আচাকজাই বলেন, আফ্রিদির এ প্রতিবাদ সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক পশতুনদের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা বন্দী ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে চরম আলোচনা-সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদি ১৬ ঘণ্টা পর আদিয়ালা সড়ক থেকে অবস্থান ধর্মঘট তুলে নিয়ে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ ইমরান খান সম্পর্কে কোনো তথ্য না দেয়ার বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করেন। গোরখপুর চেক পয়েন্টে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি বলেন, দলের কর্মীরা পুরো রাত প্রতিবাদ স্থলে কাটিয়েছেন।
আফ্রিদি বলেন, ‘আমরা কর্মীদের সঙ্গে এখানে রাত কাটিয়েছি। এটি মাত্র একটি রাত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার জন্য যদি আমাদের পুরো জীবনও এখানে কাটাতে হয়, আমরা তা ক বো।’
খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের এখনও কিছু বলা হয়নি।’ তিনি বলেন, তারা তাদের দাবি থেকে সরে আসবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে দেখা করতে তিনি ‘সব সাংবিধানিক ও আইনি পথ’ অনুসরণ করেছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমি প্রতিটি সাংবিধানিক ও আইনি পথ ব্যবহার করেছি। আমার নেতার সঙ্গে দেখা করতে আর কোনো পথ বাকি রইল?’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাকে বা দলের অন্য নেতাদের কাউকেই ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সমালোচনা করে সোহেল আফ্রিদি বলেন, আগে যারা লন্ডনে পালিয়ে যেতেন, তাদের একসঙ্গে ৫০ জনের দলকে (কারাগারে) দেখা করার অনুমতি দেয়া হতো।
অবস্থান ধর্মঘট শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। আশা করা হচ্ছে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করবেন। আবেদন জমা দেয়ার পর সোহেল আফ্রিদি আদিয়ালা রোডে ফিরে আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আফ্রিদি ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও দেখা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী আফ্রিদি আরও বলেন, আদালত যদি তাদের আদেশ কার্যকর না করেন, তবে তা দেশে ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ প্রতিষ্ঠার শামিল হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দলের নেতাদের ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না দেয়ায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল রোডের গোরখপুর চেক পয়েন্টে পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা গত ১৬ ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
তেহরিক তাহাফুজ আইন-ই-পাকিস্তানের (টিটিএপি) প্রধান মাহমুদ খান আচাকজাই, মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিমের (এমডব্লিউএম) প্রধান আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস, মিশাল ইউসুফজাই, সিনেটর গুরদীপ সিং, সিনেটর রুবিনা নাজ, এম এন এ জুলফিকার আহমেদসহ অনেকে এ অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন।
আগেরদিন সাংবাদিকদের আচাকজাই বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এ বিশ্বাস নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি এসেছিলেন যে ফেডারেল ইউনিটের প্রতিনিধি হিসেবে, বিশেষ করে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর তাকে দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হবে।
আচাকজাই বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মনে করেছিলেন, তিনি ফেডারেশনের একজন সাংবিধানিক প্রতিনিধি। তিনি ভেবেছিলেন, আদালত যখন লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, তখন তার নেতার সঙ্গে তাকে দেখা করার অনুমতি দেয়া হবে। টিটিএপিপ্রধান আরও বলেন- কিন্তু তিনি এখন বুঝতে পেরেছেন, এখানকার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বা সম্মানের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।’
আচাকজাই বলেন, আফ্রিদির এ প্রতিবাদ সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক পশতুনদের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরেছে।