গাজায় যুদ্ধবিরতির দুই মাস হতে চললেও বাস্তবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হয়নি। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহ বা ৪২ দিন শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা এগোচ্ছে না। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাঁবুতে চরম দুর্ভোগে দিনযাপন করছেন। শীতের তীব্রতা তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ করছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত বুধবার রাতে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গাজায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। গাজার কথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ খান ইউনিসের আল মাওয়াসিতে এ হামলা হয়। এ অবস্থায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, তারা গাজায় বলপ্রয়োগ চালিয়ে যাবেন। আনাদোলুর খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ‘শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি’ শুরুর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই হামলার বিষয়ে বলেন, ‘বোমা হামলায় তারা (ফিলিস্তিনিরা) সমস্যায় পড়েছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন, কয়েকজন মারাও গেছেন।’ দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, শুক্রবার, (০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) পূর্ব রাফায় হামাসের প্রতিরোধের খবর পাওয়া গেছে।
এতে ইসরায়েলের অন্তত পাঁচ সেনা সদস্য আহত হন। গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ৩৬৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত ৯৩৮ জন। দুই বছর ধরে চালানো ইসরায়েলের গণহত্যায় ৭০ হাজার ১২৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭১ হাজার ১৫ জন আহত হন। হাজার হাজার মরদেহ এখনও ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে। শুক্রবার, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইউরোপে জনপ্রিয় ইউরোভিশনের সংগীত প্রতিযোগিতা থেকে ইসরায়েলের প্রতিদ্বন্দ্বীকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেভায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। জনপ্রিয় এ সংগীতের প্রতিযোগিতা ইউরোপসহ বিশ্বের নানা দেশের টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
বিবিসি জানায়, গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতি ও ভোটদানে দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদের মধ্যে ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা– তা নিয়ে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বিতর্ক করবে। আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, স্লোভেনিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ বলেছে, ইসরায়েল অংশগ্রহণ করলে তারা ইউরোভিশন বয়কট করবে। আবার জার্মানি ইঙ্গিত দিয়েছে, ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া হলে তারা প্রতিযোগিতা থেকে সরে যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতির দুই মাস হতে চললেও বাস্তবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হয়নি। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহ বা ৪২ দিন শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা এগোচ্ছে না। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাঁবুতে চরম দুর্ভোগে দিনযাপন করছেন। শীতের তীব্রতা তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ করছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত বুধবার রাতে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গাজায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। গাজার কথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ খান ইউনিসের আল মাওয়াসিতে এ হামলা হয়। এ অবস্থায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, তারা গাজায় বলপ্রয়োগ চালিয়ে যাবেন। আনাদোলুর খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ‘শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি’ শুরুর বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই হামলার বিষয়ে বলেন, ‘বোমা হামলায় তারা (ফিলিস্তিনিরা) সমস্যায় পড়েছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন, কয়েকজন মারাও গেছেন।’ দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, শুক্রবার, (০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) পূর্ব রাফায় হামাসের প্রতিরোধের খবর পাওয়া গেছে।
এতে ইসরায়েলের অন্তত পাঁচ সেনা সদস্য আহত হন। গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ৩৬৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত ৯৩৮ জন। দুই বছর ধরে চালানো ইসরায়েলের গণহত্যায় ৭০ হাজার ১২৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭১ হাজার ১৫ জন আহত হন। হাজার হাজার মরদেহ এখনও ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে। শুক্রবার, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইউরোপে জনপ্রিয় ইউরোভিশনের সংগীত প্রতিযোগিতা থেকে ইসরায়েলের প্রতিদ্বন্দ্বীকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেভায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। জনপ্রিয় এ সংগীতের প্রতিযোগিতা ইউরোপসহ বিশ্বের নানা দেশের টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
বিবিসি জানায়, গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতি ও ভোটদানে দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদের মধ্যে ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা– তা নিয়ে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বিতর্ক করবে। আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, স্লোভেনিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ বলেছে, ইসরায়েল অংশগ্রহণ করলে তারা ইউরোভিশন বয়কট করবে। আবার জার্মানি ইঙ্গিত দিয়েছে, ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া হলে তারা প্রতিযোগিতা থেকে সরে যাবে।