পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক দুটি পৃথক অভিযানে ভারত–সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ গোষ্ঠীর ৯ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
শনিবার সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার ট্যাংক ও লাক্কি মারওয়াত জেলায় সন্ত্রাসীদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে।
আইএসপিআর জানায়, ট্যাংক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থান চিহ্নিত করে তীব্র গোলাগুলির মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু বানায় এবং সেখানে সাত সন্ত্রাসী নিহত হয়। লাক্কি মারওয়াতে পরিচালিত অপর অভিযানে আরও দুই সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত ভারত–সমর্থিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে একাধিক হামলায় জড়িত ছিল। ওই এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে কি না, তা শনাক্ত করে নির্মূল করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তানে বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগ ‘আজম–এ–ইস্তেহকাম’ পূর্ণ উদ্যমে চলতে থাকবে।
ট্যাংক ও লাক্কি মারওয়াতে ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সফল আইবিও পরিচালনার জন্য প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইসলামাবাদ বলছে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব হামলার পেছনে থাকা কিছু গোষ্ঠীকে ভারত মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে পাকিস্তান। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগান তালেবান ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তান বারবার আফগান তালেবান সরকারকে জানিয়ে আসছে, তাদের ভূখণ্ড যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতে না পারে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় মাঝেমধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক দুটি পৃথক অভিযানে ভারত–সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ গোষ্ঠীর ৯ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
শনিবার সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার ট্যাংক ও লাক্কি মারওয়াত জেলায় সন্ত্রাসীদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে।
আইএসপিআর জানায়, ট্যাংক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থান চিহ্নিত করে তীব্র গোলাগুলির মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু বানায় এবং সেখানে সাত সন্ত্রাসী নিহত হয়। লাক্কি মারওয়াতে পরিচালিত অপর অভিযানে আরও দুই সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত ভারত–সমর্থিত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে একাধিক হামলায় জড়িত ছিল। ওই এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে কি না, তা শনাক্ত করে নির্মূল করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তানে বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগ ‘আজম–এ–ইস্তেহকাম’ পূর্ণ উদ্যমে চলতে থাকবে।
ট্যাংক ও লাক্কি মারওয়াতে ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সফল আইবিও পরিচালনার জন্য প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইসলামাবাদ বলছে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব হামলার পেছনে থাকা কিছু গোষ্ঠীকে ভারত মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে পাকিস্তান। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আফগান তালেবান ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তান বারবার আফগান তালেবান সরকারকে জানিয়ে আসছে, তাদের ভূখণ্ড যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতে না পারে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় মাঝেমধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।