রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও মিসাইল হামলায় ইউক্রেনের আটটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বেশ কিছু এলাকায় ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয় এবং তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়। শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেন বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া তাদের জ্বালানি অবকাঠামো, বিশেষ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রেলওয়ে হাবকে লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে এবং যুদ্ধ চার বছর পূর্তির দিকে এগোতে থাকায় এ হামলা আরও ঘন হচ্ছে। মার্কিন মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনাও এ সপ্তাহে কোনও অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।
আইএইএ জানায়, দেশের তিনটি সক্রিয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাতভর ব্যাপক সামরিক কার্যক্রমের কারণে উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর দাবি, রাশিয়া রাতভর মোট ৬৫৩টি ড্রোন ও ৫১টি মিসাইল ছোড়ে। এর মধ্যে ৫৮৫টি ড্রোন ও ৩০টি মিসাইল ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের কমিউনিটি ও টেরিটরি ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয় জানায়, চেরনিহিভ, জাপোরিজ্জিয়া, লভিভ ও দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন স্থাপনা হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা অঞ্চলে ৯ হাজার ৫০০ গ্রাহক তাপ এবং ৩৪ হাজার গ্রাহক পানি সরবরাহবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, ওডেসার বন্দর স্থাপনাও হামলার শিকার হয়েছে। অবকাঠামোর একটি অংশ অচল হয়ে পড়েছে। জেনারেটর থেকে ব্যাকআপ বিদ্যুৎ দিয়ে জরুরি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল হলেই জরুরি মেরামত কাজ শুরু হয়েছে বলে জানায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
কিয়েভের কাছাকাছি একটি রেলহাবে হামলায় ডিপো ও রেলকোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় রেলওয়ে সংস্থা ইউক্রজালিজনিতসিয়া। ফাস্তিভ শহরের এ হামলায় কেউ নিহত হয়নি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, রাশিয়া বারবার শান্তি প্রচেষ্টাকে অগ্রাহ্য করছে এবং জ্বালানি ব্যবস্থা ও রেলওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করছে। ইউক্রেনকে শক্তিশালী করা ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্তগুলো আর বিলম্ব করা যাবে না।
হামলার পর কিয়েভ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চেরনিহিভ এলাকায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে বলে সংস্থাটি টেলিগ্রামে জানিয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বাহিনী বৃহৎ পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তারা বলছে, এ হামলায় কিনঝাল হাইপারসনিক মিসাইলসহ দূরপাল্লার আকাশ-স্থলভিত্তিক উচ্চ-নির্ভুলতার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের সামরিক শিল্প স্থাপনা, এসব স্থাপনার সহায়ক জ্বালানি অবকাঠামো এবং সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বন্দর স্থাপনা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও মিসাইল হামলায় ইউক্রেনের আটটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বেশ কিছু এলাকায় ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয় এবং তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়। শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেন বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া তাদের জ্বালানি অবকাঠামো, বিশেষ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রেলওয়ে হাবকে লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে এবং যুদ্ধ চার বছর পূর্তির দিকে এগোতে থাকায় এ হামলা আরও ঘন হচ্ছে। মার্কিন মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনাও এ সপ্তাহে কোনও অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।
আইএইএ জানায়, দেশের তিনটি সক্রিয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাতভর ব্যাপক সামরিক কার্যক্রমের কারণে উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর দাবি, রাশিয়া রাতভর মোট ৬৫৩টি ড্রোন ও ৫১টি মিসাইল ছোড়ে। এর মধ্যে ৫৮৫টি ড্রোন ও ৩০টি মিসাইল ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের কমিউনিটি ও টেরিটরি ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয় জানায়, চেরনিহিভ, জাপোরিজ্জিয়া, লভিভ ও দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন স্থাপনা হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা অঞ্চলে ৯ হাজার ৫০০ গ্রাহক তাপ এবং ৩৪ হাজার গ্রাহক পানি সরবরাহবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, ওডেসার বন্দর স্থাপনাও হামলার শিকার হয়েছে। অবকাঠামোর একটি অংশ অচল হয়ে পড়েছে। জেনারেটর থেকে ব্যাকআপ বিদ্যুৎ দিয়ে জরুরি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূল হলেই জরুরি মেরামত কাজ শুরু হয়েছে বলে জানায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
কিয়েভের কাছাকাছি একটি রেলহাবে হামলায় ডিপো ও রেলকোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় রেলওয়ে সংস্থা ইউক্রজালিজনিতসিয়া। ফাস্তিভ শহরের এ হামলায় কেউ নিহত হয়নি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, রাশিয়া বারবার শান্তি প্রচেষ্টাকে অগ্রাহ্য করছে এবং জ্বালানি ব্যবস্থা ও রেলওয়েসহ গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করছে। ইউক্রেনকে শক্তিশালী করা ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্তগুলো আর বিলম্ব করা যাবে না।
হামলার পর কিয়েভ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চেরনিহিভ এলাকায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে বলে সংস্থাটি টেলিগ্রামে জানিয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বাহিনী বৃহৎ পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তারা বলছে, এ হামলায় কিনঝাল হাইপারসনিক মিসাইলসহ দূরপাল্লার আকাশ-স্থলভিত্তিক উচ্চ-নির্ভুলতার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের সামরিক শিল্প স্থাপনা, এসব স্থাপনার সহায়ক জ্বালানি অবকাঠামো এবং সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বন্দর স্থাপনা।