ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করছে। দখলদার দেশটির জনপ্রিয়তা কমলেও তাদের অস্ত্র বাণিজ্য বেড়েছে। প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে গত সোম ও মঙ্গলবার একটি বড় অস্ত্রমেলার আয়োজন করে তারা। এতে ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক দেশ অস্ত্র কেনার আগ্রহ দেখায়। এমনকি সেখানে গাজায় হামলার ভিডিও দেখিয়ে অস্ত্রের সক্ষমতা প্রমাণ করা হয়, যাতে দেশগুলো অস্ত্র কিনতে আরও বেশি আগ্রহী হয়।
অস্ত্র প্রদর্শনীটির আয়োজন করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএইচজে) জানায়, প্রদর্শনীর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার একটি ভবনে দুটি ইসরায়েলি ড্রোন আক্রমণাত্মক হামলা চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বে হামলার পর থেকেই গাজায় গণহত্যা শুরু করে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত দুই বছরের হামলায় তারা ৭০ হাজার ৩৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলভিত্তিক অধিকার সংস্থাসহ বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা এটিকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা হচ্ছে। মরছে ফিলিস্তিনি নারী-শিশু।
ইসরায়েলের ওই অস্ত্র প্রদর্শনীতে বিভিন্ন দেশের দুই হাজারের বেশি বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন। ডব্লিউএইচজে জানায়, প্রদর্শনীতে উজবেকিস্তান, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ এশিয়ার অনেকগুলো দেশের প্রতিনিধিদের দেখা যায়। ইউরোপের কয়েকটি দেশও তাতে অংশ নেয়।
যুক্তরাজ্য সরকার গাজায় চলমান হামলার কারণে লন্ডনে অনুষ্ঠেয় অস্ত্র প্রদর্শনীতে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অথচ তারাই তেল আবিবের প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহৃত সামরিক প্রযুক্তি খতিয়ে দেখেন। এ ছাড়া নরওয়ের কর্মকর্তারাও অস্ত্রমেলায় যোগ দেন।