রাশিয়ার হাতে ইউক্রেনের পোকরোভস্ক চলে যাবে কি যাবে না, প্রশ্ন তা নিয়ে নয়। মূল প্রশ্ন হলো সেটা কখন ঘটবে। যদিও পূর্বাঞ্চলীয় শহরটির পতন হলেও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়বে না। তবে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে আলোচনা চলছে, সেই সংবেদনশীল সময়ে এটি কিয়েভকে বড় ধরনের দুর্বল অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া গত ১ ডিসেম্বর পুরোপুরি পোকরোভস্ক দখলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর দুদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত এবং তাঁর জামাতা মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। যুদ্ধের ইতি টানতে চলমান এই আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।
এর ১০ দিন পরও ইউক্রেন জানায়, তারা শহরটির উত্তরাংশে এখনও অবস্থান ধরে রেখেছে। যুদ্ধের আগে শহরটিতে ৬০ হাজার মানুষ থাকত এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের আগে এটি ছিল সামরিক লজিস্টিকসের বড় কেন্দ্র। ইউক্রেনের সামরিক বিশ্লেষক মাইকোলা বেলিয়েস্কভ বলেন, ‘ইউক্রেনকে অনুকূল নয়, এমন শর্তে যুদ্ধ থামাতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। একই সময়ে সম্মুখসারিতে তীব্র লড়াই চলছে। এতে রাশিয়ার লাভ হচ্ছে, কারণ এটি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহ করছে। এ জন্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ইউক্রেনের জন্য জরুরি। কিন্তু রাশিয়ার দাবি হলো, শান্তিচুক্তি চাইলে ইউক্রেনকে পুরো দোনবাস অঞ্চল থেকে সেনা সরাতে হবে। আর এ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে পোকরোভস্ক।
ইউক্রেনের ভাষ্য, ২০১৪ সাল থেকে দোনবাসে যুদ্ধ চলছে। সার্বভৌম ভূখ- কোনো আক্রমণকারী শক্তির কাছে হস্তান্তর করার নৈতিক বা আইনি অধিকার তাদের নেই। এই প্রশ্নটিই দুপক্ষের বিবাদের সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনে একটি নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করার সময় যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী যখন ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে একটি নতুন প্রতিরক্ষা সক্ষমতার পরীক্ষা করছিল, তখন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। ওই ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনায় আর কোনো ব্রিটিশ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত রোডিয়ন মিরোশনিক বলেছেন, কিয়েভ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সব শর্ত সামনে আনছে– যা মস্কোর জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া ইউক্রেন শান্তি আলোচনাকে ভেস্তে দিয়ে তার দায় রাশিয়ার ওপর চাপানোর জন্য এমনটা করছে বলেও জানান তিনি।
সারাদেশ: চিকিৎসক সংকটে চালুহয়নি ডেন্টাল মেশিন