image

লড়াই থামাতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, দাবি ট্রাম্পের

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার চলমান সংঘাত বন্ধে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। ওই পোস্টে বলা হয়, দুই প্রধানমন্ত্রী আজ ( শুক্রবারা) সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গুলিবর্ষণ বন্ধ করতে এবং আমার সঙ্গে করা মূল শান্তি চুক্তিতে ফিরে যেতে সম্মত হয়েছেন। উভয়ই শান্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত বাণিজ্যের জন্য প্রস্তুত।

সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত এবং প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর দুই দেশের নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেই এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের তরফ থেকে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি।

ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর চার্নভিরাকুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুদ্ধবিরতি তখনই কার্যকর হবে যদি কম্বোডিয়া হামলা থামায়, তাদের সেনা প্রত্যাহার করে এবং তারা যে সব স্থলমাইন পুঁতেছে, সেগুলো সরিয়ে নেয়।

ফরাসি উপনিবেশ আমলে কম্বোডিয়ার সীমান্ত নির্ধারণের পর থেকেই দুই দেশ তাদের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্তের বিভিন্ন অংশ নিয়ে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিরোধে জড়িয়ে আছে। দীর্ঘদিনের বিবাদ গত ২৪ জুলাই তীব্র আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের দিকে রকেট হামলা করে। এর জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা চালায়।

টানা কয়েক দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় দুই দেশ “তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে” সম্মত হয়।

তবে এরপরও উত্তেজনা কমেনি। চলতি সপ্তাহে থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ছয়টি প্রদেশ এবং কম্বোডিয়ার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি প্রদেশে আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

‘আন্তর্জাতিক’ : আরও খবর

সম্প্রতি