যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও বিস্তৃত করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের পাশাপাশি নতুন করে ফিলিস্তিনকেও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশ ও ভূখণ্ডগুলোর নাগরিকেরা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন নাম যুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। অভিবাসন বিষয়ে কঠোর নীতির অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হওয়া দেশগুলো হলো—সিরিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার ও দক্ষিণ সুদান। এসব দেশের পাশাপাশি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফিলিস্তিনকেও। এর আগে গত জুন মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সে তালিকায় ছিল ইরান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
যুক্তরাষ্ট্র এখনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এ কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নথিতে ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। একইভাবে ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড’ বলতেও নারাজ ট্রাম্প প্রশাসন। সরকারি নথিতে ফিলিস্তিনিদের উল্লেখ করা হয়েছে ‘পিএ বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ভ্রমণ নথি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা ব্যক্তি’ হিসেবে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের দুজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের একজন মারা যান। এই ঘটনার পর থেকেই অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর অবস্থান নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প ‘তৃতীয় বিশ্ব’ থেকে অভিবাসনের ওপর ‘স্থায়ী স্থগিতাদেশ’ ঘোষণার কথা বলেন। তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা সম্প্রসারণের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলো।
ট্রাম্প প্রশাসনের এ উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রাশিদা তায়েব। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ও ডেমোক্রেটিক পার্টির এই কংগ্রেস সদস্য অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার পরিকল্পিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জনমিতিক কাঠামো পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন।
সারাদেশ: কলমাকান্দায় লরির ধাক্কায় শিশু নিহত
আন্তর্জাতিক: বৃষ্টিতে তলিয়ে গেল আশ্রয় শিবির, তীব্র শীতে দুর্ভোগ
আন্তর্জাতিক: ট্রাম্পের অভিবাসী ফেরত অভিযান কি আরও জোরালো হবে