তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে স্মোক গ্রেনেড ও ছুরি হামলার এক ঘটনায় হামলাকারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা ফাঁকি দিয়েছেন সন্দেহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার এক ফেরারি হামলাটি চালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি হামলাটি চালিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সে একাই সবকিছু করেছে।
এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় শহর তাওইউয়ানের বাসিন্দা চ্যাং ওয়েন (২৭) গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পুলিশের তাড়া খেয়ে তাইপের জনাকীর্ণ শপিং এলাকার একটি ভবন থেকে পড়ে মারা গেছে।
তাইওয়ানের জাতীয় পুলিশ সংস্থার মহাপরিচালক চ্যাং জং-সিন সাংবাদিকদের বলেন, “গত শুক্রবার থেকে চলমান ধারাবাহিক যাচাইকরণ তদন্তের ভিত্তিতে জানাচ্ছি, আমরা সন্দেহভাজনের অন্য কোনো সহযোগী খুঁজে পাইনি।”
কী উদ্দেশ্যে সন্দেহভাজন হামলাটি চালিয়েছে, তাই নিয়ে তদন্ত চলমান আছে বলে জানান তিনি।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জং-তাই শুক্রবার রাতে বলেছেন, তাইওয়ানের বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা ফাঁকি দিয়েছেন সন্দেহে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করে তাকে খোঁজা হচ্ছিল।
স্বশাসিত দ্বীপটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় ১১ জন আহত হয়েছেন আর তাদের মধ্যেই দুইজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন।
পুলিশের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, চ্যাং ওয়েন গতকাল শুক্রবার তাইপের প্রধান ট্রেন স্টেশনে কয়েকটি স্মোক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তারপর নিকটবর্তী একটি সাবওয়ে স্টেশনের একটি শপিং সেন্টারে যাওয়ার সময় পথে ও পরে শপিং সেন্টারের ভেতরে ছুরি নিয়ে লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
এ হামলার ঘটনার পর তাইপের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগরীটির মেয়র চিয়াং ওয়ান।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধ একটি বিরল ঘটনা। এ হামলা ঘটার পর পুরো তাইওয়ান দ্বীপজুড়েই পুলিশের উপস্থিতি বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।