থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আসিয়ানের উদ্যোগে বুধবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন দুই দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। এর মধ্যেই নতুন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
বিবিসি জানায়, সীমান্তে টানা তৃতীয় সপ্তাহে সংঘর্ষ চলার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি পুনর্বহাল নিয়ে আলোচনা করতে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে গতকাল সোমবার আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিরাও। নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটি তাদের প্রথম সরাসরি বৈঠক। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বুধবার দুই দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার, (২৩ ডিসেম্বর ২০২৫) কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ঘটনা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত জুলাইয়ে মালয়েশিয়া সরকার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে নতুন করে কার্যকর করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ড বান্তে মিঞ্চায় প্রদেশে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে চারটি বোমা ফেলেছে ও প্রেই চ্যান গ্রামে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করেছে। কম্বোডিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মন্ত্রণালয় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছে, কম্বোডিয়ার সেনারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা সাহসী ও অটল অবস্থানে থেকে আগ্রাসনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন এবং কম্বোডিয়ার ভৌগোলিক অখ-তা রক্ষার দায়িত্বের প্রতি সতর্ক রয়েছেন।’
থাইল্যান্ডের মর্নিং নিউজ টিভি থ্রি-এর খবরে বলা হয়, সোমবার ভোরে সা কাও প্রদেশে গোলাগুলি হয়েছে। কম্বোডিয়ার বাহিনী ‘ভারী অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে, আগুন লাগিয়েছে এবং খোক সাঙ এলাকায় কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ছোট ছোট শিশুসহ সাধারণ মানুষ বোমা থেকে বাঁচতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। স্থানীয় মানুষ যখন একসঙ্গে জড়ো হন, তখন কিছু শিশুকে আতঙ্কে কাঁদতে দেখা যায়। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, সোমবার ভোরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের কার্যালয় থেকে বলা হয়, গত রোববার সন্ধ্যা নাগাদ তাদের সীমান্ত এলাকার পাঁচ লাখ ২৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের দেশের প্রায় চার লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল দাবি করেছেন, তাঁর দেশ থাইল্যান্ড কখনও আগ্রাসীর ভূমিকায় ছিল না।
মঙ্গলবার, সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আগে কম্বোডিয়ার বাহিনীর দখলে থাকা প্রায় সব এলাকাই এখন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উভয় পক্ষকে ‘শত্রুতা থামানো, ভারি অস্ত্র প্রত্যাহার, মাইন বসানো বন্ধ ও কুয়ালালামপুর শান্তি চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করার’ আহ্বান জানিয়েছে।
অর্থ-বাণিজ্য: চট্টগ্রামে আরও ইপিজেড করার দাবি ব্যবসায়ীদের
অর্থ-বাণিজ্য: কিছু এলাকার কারখানা বন্ধ রাখার পরামর্শ বিজিএমইএর
অর্থ-বাণিজ্য: রেজল্যুশনের আওতায় সব এনবিএফআই