alt

বিভাজনের প্রচারই কী গড়ে দিলো ব্যাবধান

দীপক মুখার্জী, কলকাতা : রোববার, ০২ মে ২০২১

কংগ্রেসের দুই ঘাঁটিতে চমকে দেয়ার মত ফল। মুর্শিদাবাদ ও মালদার ফলাফল দেখলেই বোঝা যায় সংখ্যালঘু ভোট একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কতটা একাট্রা হয়ে তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছে। মালদার একটা কেন্দ্র সুজাইপুরে কংগ্রেস কোনোদিন হারেনি । এই আসনে বহুবার বিপুল জয় পেয়েছেন প্রয়াত এবিএ গনি খান চৌধুরী। এবার সেই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী তৃণমূলের কাছে হেরে গেলেন ১লাখ ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

বিভাজনের রাজনীতির প্রচারে বড় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। যেমন বাঙালি-অবাঙালি বিভেদের ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর ‘অভিমত’ বাঙালি ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলেছে। বিজেপির ‘এনআরসি’ ইস্যুটি সংখ্যালঘুদের যে বিপদ ডেকে আনবে এই বার্তাটি তৃণমূল ভালো মত ঢুকাতে পেরেছে তাদের মনের মাঝে। তাই সংখ্যালঘুরা তৃণমূলকে এক যোগে ভোট দিয়েছে।

এর পাশাপাশি এই নির্বাচনে বিভিন্ন প্রতশ্রুতি নিশ্চিতভাবে অনেক এগিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। সেই সঙ্গে নারীদের প্রবল সমর্থন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসলে বিধবারা প্রতিমাসে পাবেন এক হাজার টাকা ভাতা, প্রত্যেক গৃহবধূকে হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা এবং তপশিলী জাতি ও উপজাতির ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে হবে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া কণ্যাশ্রী, রুপশ্রী এ সব কর্মসূচী মেয়েদের আকৃষ্ট করেছে।

সব চেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক পরিবারকে স্বাস্থ্যসেবার জন্য এককালীন পাঁচলক্ষ টাকার সুবিধা দিতে ভোটের মুখে সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌছে দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি বিশেষ করে নারীদের আকৃষ্ট করেছে। এর সাথে আরও অনেকগুলো মাত্রা যোগ হয়ে তৃণমূলকে ২শরও বেশী আসনে জয়লাভ করতে সহায়তা করেছে।

নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায় পায়ে গুরুতর আঘাত পান। এর পর দেখা যায় তিনি হুইল চেয়ারে বসে রোডশো, সমাবেশ ও জনসভা করেছেন। পশ্চিমবাংলার অনেকেই তার এই চোটকে সহনুভূতির চোখেই দেখেছেন। বিশেষ করে নারীরা।

নির্বাচনের আগে বিজেপিও তাদের দলীয় ইস্তেহারে প্রচুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য কি কি করবেন তারা, সেই সমস্ত বিষয় বহুবার তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মানুষ ভরসা রেখেছেন এতদিন ধরে যেগুলি পেয়ে এসেছেন তার ওপরেই। অর্থাৎ চেনা নেতৃত্বকেই ধরে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আর সেখানই বাজিমাত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

ছবি

দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯ জন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি’ চায় ইরান

ছবি

জোহরান মামদানির কাজে কীভাবে ট্রাম্প বাগড়া দিতে পারেন

শুল্কের বিরোধীরা ‘মূর্খ’, রাজস্ব থেকে মার্কিনদের ২০০০ ডলার ‘লভ্যাংশ’ দেয়া হবে: ট্রাম্প

ছবি

বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি ট্রাম্পের, ক্ষমা চাইলেন সমির শাহ

ছবি

বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, নেতৃত্বহীন প্রতিষ্ঠান: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার

ছবি

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ সম্মাননা বাদশাহ আব্দুল আজিজ মেডেল পেলেন পাকিস্তানের শীর্ষ জেনারেল

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগ দেবে না

ছবি

সারকোজিকে মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ফরাসি আদালত

ছবি

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে নৌকাডুবিতে মৃত্যু বেড়ে ১১

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

ছবি

নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেইটে দূষণবিরোধী বিক্ষোভ, ডজনের বেশি আটক

ছবি

একুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গার মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু

ছবি

মামদানির নিউইয়র্ক পরিকল্পনায় বাদ সাধতে পারেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় মৃত্যু ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করলো হামাস

ছবি

পাকিস্তানে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল সিনেটে উপস্থাপন

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা বিরোধী জোটের

ছবি

লেবাননে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি

সিরিয়া- যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, ওয়াশিংটনে আল শারা

ছবি

তীব্র দূষণের ঝুঁকিতে গাজার জনস্বাস্থ্য

ছবি

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি ইংল্যান্ড

tab

বিভাজনের প্রচারই কী গড়ে দিলো ব্যাবধান

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

রোববার, ০২ মে ২০২১

কংগ্রেসের দুই ঘাঁটিতে চমকে দেয়ার মত ফল। মুর্শিদাবাদ ও মালদার ফলাফল দেখলেই বোঝা যায় সংখ্যালঘু ভোট একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কতটা একাট্রা হয়ে তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছে। মালদার একটা কেন্দ্র সুজাইপুরে কংগ্রেস কোনোদিন হারেনি । এই আসনে বহুবার বিপুল জয় পেয়েছেন প্রয়াত এবিএ গনি খান চৌধুরী। এবার সেই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী তৃণমূলের কাছে হেরে গেলেন ১লাখ ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

বিভাজনের রাজনীতির প্রচারে বড় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। যেমন বাঙালি-অবাঙালি বিভেদের ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর ‘অভিমত’ বাঙালি ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলেছে। বিজেপির ‘এনআরসি’ ইস্যুটি সংখ্যালঘুদের যে বিপদ ডেকে আনবে এই বার্তাটি তৃণমূল ভালো মত ঢুকাতে পেরেছে তাদের মনের মাঝে। তাই সংখ্যালঘুরা তৃণমূলকে এক যোগে ভোট দিয়েছে।

এর পাশাপাশি এই নির্বাচনে বিভিন্ন প্রতশ্রুতি নিশ্চিতভাবে অনেক এগিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। সেই সঙ্গে নারীদের প্রবল সমর্থন। তৃণমূল ক্ষমতায় আসলে বিধবারা প্রতিমাসে পাবেন এক হাজার টাকা ভাতা, প্রত্যেক গৃহবধূকে হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা এবং তপশিলী জাতি ও উপজাতির ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে হবে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া কণ্যাশ্রী, রুপশ্রী এ সব কর্মসূচী মেয়েদের আকৃষ্ট করেছে।

সব চেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক পরিবারকে স্বাস্থ্যসেবার জন্য এককালীন পাঁচলক্ষ টাকার সুবিধা দিতে ভোটের মুখে সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌছে দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি বিশেষ করে নারীদের আকৃষ্ট করেছে। এর সাথে আরও অনেকগুলো মাত্রা যোগ হয়ে তৃণমূলকে ২শরও বেশী আসনে জয়লাভ করতে সহায়তা করেছে।

নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দোপাধ্যায় পায়ে গুরুতর আঘাত পান। এর পর দেখা যায় তিনি হুইল চেয়ারে বসে রোডশো, সমাবেশ ও জনসভা করেছেন। পশ্চিমবাংলার অনেকেই তার এই চোটকে সহনুভূতির চোখেই দেখেছেন। বিশেষ করে নারীরা।

নির্বাচনের আগে বিজেপিও তাদের দলীয় ইস্তেহারে প্রচুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য কি কি করবেন তারা, সেই সমস্ত বিষয় বহুবার তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মানুষ ভরসা রেখেছেন এতদিন ধরে যেগুলি পেয়ে এসেছেন তার ওপরেই। অর্থাৎ চেনা নেতৃত্বকেই ধরে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আর সেখানই বাজিমাত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

back to top