ভারতে গত দু’দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সে দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শিখর ছুঁয়ে এখন ধীরে ধীরে কমবে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
‘কেমব্রিজ জাজ বিজনেস স্কুল’ এবং ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ’এর গবেষকরা এই আশার কথা শোনাচ্ছেন। ভারতে সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে আগামী দিনে কী হতে পারে তার একটা ধারণা দিয়েছেন এই গবেষকরা।
গত ৭ মে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮। বুধবার (১২ মে) সর্বশেষ পরিসংখানে দেখা যাচ্ছে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪২১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে।
সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই বলছেন গবেষকরা। আর ভারতের সার্বিক চিত্রে বদল হলেও কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই বলা হচ্ছে। আসাম, হিমাচল, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরার মতো কিছু রাজ্যে সংক্রমণের হার আগামী দু’সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে সেই গবেষণাকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা।
গবেষকরা বলছেন ভারতের ‘স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক’। অক্সিজেন, আইসিইউ শয্যা, ওষুধের অভাব দেখা যাচ্ছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে মৃত্যু ৪ হাজারের আশপাশেই থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
অন্যান্যদের মতই ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা ভাইরাসের যে প্রজাতি সক্রিয় তার সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি বলেই জানিয়েছেন কেমব্রিজের বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চলতি সপ্তাহেই করোনা ভাইরাসের ভারতীয় এই ধরণকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আজ বুধবার পর্যন্ত সে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৮ জন। এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৫৪ হাজার ১৯৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এই মুহূর্তে ভারতে মোট সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ চার হাজার ৯৯ জন।
অপরাধ ও দুর্নীতি: দেশে ও লন্ডনে আনোয়ারুজ্জামানের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক
অপরাধ ও দুর্নীতি: ৪৩ বছর ধরে প্লট দখলে আমলা-রাজনীতিকরা, বঞ্চিত স্থানীয় চাষিরা
নগর-মহানগর: আরও কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা