করোনাকালে মদ পানের ঘটনা হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে গাঁজা সেবনের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ড্রাগ’র (এনআইডি) সর্বশেষ এক জরিপে এ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রায় সকল কলেজ-ভার্সিটির ক্লাসই ভার্চুয়ালে অনুষ্ঠিত হওয়ায় গত বছর মদ পানের পরিমাণ কমেছে ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে। তবে গাঁজা সেবনের হার ২০১৫ সালের তুলনায় ৬% এবং ২০০৬ সালের চেয়ে ১৪% বেড়েছে। ১৯৮৩ সালের পর গত বছরই সবচেয়ে বেশী কলেজ ছাত্র-ছাত্রী এহেন নেশায় আক্রান্ত হন। এনআইডি এই জরিপ চালিয়েছে ‘মনিটরিং দ্য ফিউচার’ শিরোনামে।
এনআইডি পরিচালক নোরা ডি ভলকো এ প্রসঙ্গে বৃহস্প্রতিবার বলেছেন, করোনা মহামারিতে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন-যাপনে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে। জড়িয়ে চুমু দেয়া কিংবা পরস্পরকে আলিঙ্গন দূরের কথা, কাছে যাওয়াও দুরুহ ছিল ২০২০ সাল। এতদসত্বেও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক গ্রহনের হার কীভাবে বেড়েছে সেটিও ভাবনার বিষয়। কোথায় কীভাবে তারা তা পেল এবং বাসায় অবস্থান করেও এত বিপুল পরিমাণের গাঁজা সেবন কীভাবে সম্ভব হলো-এ প্রশ্ন জরিপ পরিচালনাকারিদেরও।
জরিপে দেখা গেছে, গত বছর কলেজের প্রতি ১০ জনের ৪ জনই ব্যাপকভাবে গাঁজা সেবন করেছেন। এটি হচ্ছে ৪৪%। ২০১৫ সালের তুলনায় তা ৬% বেশি। ১৫ বছর আগের চেয়ে তা ১৪% বেশি। মাদকের ওপর নজরদারি শুরুর পর গত বছরই সবচেয়ে বেশি ছাত্র-ছাত্রী নেশা করেছেন বলেও এনআইডির গবেষণায় উদঘাটিত হয়েছে।
গবেষণায় আরো জানা গেছে, কলেজের শিক্ষার্থী নন-এমন তরুণ-তরুণীর মধ্যেও গত বছর নেশার প্রবণতা বেড়েছে। ২০০৭ সালে এমন বয়সী তরুণ-তরুণীর (যারা কলেজে যায় না) ৩২% গাঁজা/মদ সেবন করেছেন। গত বছর সেই হার বেড়ে ৪৩% হয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী এবং ড্রপ আউট হওয়া একই বয়সী তথা ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবক-যুবতীর মধ্যে পরিচালিত গবেষণা জরিপে এনআইডি জানতে পেরেছে দৈনিক অন্তত: একবার করে কোন না কোন মাদক গ্রহণকারির সংখ্যা চরমে উঠে গত বছর।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, বেশ কটি স্টেটে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেয়া হয়েছে অথবা এটি কোন অপরাধ নয় বলে মেনে নেয়ার পরই কলেজগামীদের মধ্যে সিগারেটের স্থান দখল করেছে গাঁজা অথবা শুকনা কোন মাদক। অর্থাৎ মদের চেয়ে গাঁজা ক্রমশ: জনপ্রিয় হচ্ছে। আরো উল্লেখ্য, বেশ কটি স্টেটে গাঁজা চাষ এখন অর্থকড়ি ফসলে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, নেশাগ্রস্ত হয়ে গত বছর কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার সংখ্যা এখনো জানা সম্ভব না হলেও ২০১৯ সালে ৭০৬৩০ জনের প্রাণ গেছে বলে এনআইডি সূত্রে জানা গেছে। আগের বছরের চেয়ে তা প্রায় দ্বিগুণ।
শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
করোনাকালে মদ পানের ঘটনা হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে গাঁজা সেবনের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ড্রাগ’র (এনআইডি) সর্বশেষ এক জরিপে এ তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রায় সকল কলেজ-ভার্সিটির ক্লাসই ভার্চুয়ালে অনুষ্ঠিত হওয়ায় গত বছর মদ পানের পরিমাণ কমেছে ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে। তবে গাঁজা সেবনের হার ২০১৫ সালের তুলনায় ৬% এবং ২০০৬ সালের চেয়ে ১৪% বেড়েছে। ১৯৮৩ সালের পর গত বছরই সবচেয়ে বেশী কলেজ ছাত্র-ছাত্রী এহেন নেশায় আক্রান্ত হন। এনআইডি এই জরিপ চালিয়েছে ‘মনিটরিং দ্য ফিউচার’ শিরোনামে।
এনআইডি পরিচালক নোরা ডি ভলকো এ প্রসঙ্গে বৃহস্প্রতিবার বলেছেন, করোনা মহামারিতে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন-যাপনে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে। জড়িয়ে চুমু দেয়া কিংবা পরস্পরকে আলিঙ্গন দূরের কথা, কাছে যাওয়াও দুরুহ ছিল ২০২০ সাল। এতদসত্বেও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক গ্রহনের হার কীভাবে বেড়েছে সেটিও ভাবনার বিষয়। কোথায় কীভাবে তারা তা পেল এবং বাসায় অবস্থান করেও এত বিপুল পরিমাণের গাঁজা সেবন কীভাবে সম্ভব হলো-এ প্রশ্ন জরিপ পরিচালনাকারিদেরও।
জরিপে দেখা গেছে, গত বছর কলেজের প্রতি ১০ জনের ৪ জনই ব্যাপকভাবে গাঁজা সেবন করেছেন। এটি হচ্ছে ৪৪%। ২০১৫ সালের তুলনায় তা ৬% বেশি। ১৫ বছর আগের চেয়ে তা ১৪% বেশি। মাদকের ওপর নজরদারি শুরুর পর গত বছরই সবচেয়ে বেশি ছাত্র-ছাত্রী নেশা করেছেন বলেও এনআইডির গবেষণায় উদঘাটিত হয়েছে।
গবেষণায় আরো জানা গেছে, কলেজের শিক্ষার্থী নন-এমন তরুণ-তরুণীর মধ্যেও গত বছর নেশার প্রবণতা বেড়েছে। ২০০৭ সালে এমন বয়সী তরুণ-তরুণীর (যারা কলেজে যায় না) ৩২% গাঁজা/মদ সেবন করেছেন। গত বছর সেই হার বেড়ে ৪৩% হয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী এবং ড্রপ আউট হওয়া একই বয়সী তথা ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবক-যুবতীর মধ্যে পরিচালিত গবেষণা জরিপে এনআইডি জানতে পেরেছে দৈনিক অন্তত: একবার করে কোন না কোন মাদক গ্রহণকারির সংখ্যা চরমে উঠে গত বছর।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, বেশ কটি স্টেটে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেয়া হয়েছে অথবা এটি কোন অপরাধ নয় বলে মেনে নেয়ার পরই কলেজগামীদের মধ্যে সিগারেটের স্থান দখল করেছে গাঁজা অথবা শুকনা কোন মাদক। অর্থাৎ মদের চেয়ে গাঁজা ক্রমশ: জনপ্রিয় হচ্ছে। আরো উল্লেখ্য, বেশ কটি স্টেটে গাঁজা চাষ এখন অর্থকড়ি ফসলে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, নেশাগ্রস্ত হয়ে গত বছর কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার সংখ্যা এখনো জানা সম্ভব না হলেও ২০১৯ সালে ৭০৬৩০ জনের প্রাণ গেছে বলে এনআইডি সূত্রে জানা গেছে। আগের বছরের চেয়ে তা প্রায় দ্বিগুণ।